আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট আসছে..........................

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......

নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কারে হঠাৎ সাড়ে চার কোটি টাকার বাজেট হঠাৎ ছিমছাম হয়ে উঠছে নগরী। রাস্তায় আস্তর উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করপোরেশনের একদল কর্মী এসে ঠিক করে দিচ্ছে তা। রোদে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ফুটপাতে দেওয়া হচ্ছে রঙের প্রলেপ। ভাঙাচোরা যে রাস্তা দিয়ে এতদিন চলাফেরা কষ্টকর ছিল এখন সেখানেও দেওয়া হচ্ছে ব্রিক সলিং। নির্বাচনের মাত্র ৩০ দিন বাকি থাকায় পরিবর্তনের এমন চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে।

ভোটারদের মন জয় করতে শেষ মুহূর্তে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য সাড়ে চার কোটি টাকার বাজেটও পাস করেছেন মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। রাস্তাঘাট সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ১০ লাখ টাকা ও মহিলা কাউন্সিলরকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আজ মেয়র হিসেবে শেষ কর্মদিবস তার। তাই আগেভাগে বরাদ্দকৃত টাকার আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করে ফেলেছেন তিনি। হঠাৎ রাস্তাঘাট সংস্কারে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া প্রসঙ্গে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য সবসময় সচেষ্ট ছিলাম আমি।

এখন শেষ বেলায় যাতে জনগণ দুর্ভোগে না পড়ে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য প্রত্যেক পুরুষ ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ১০ লাখ টাকা, মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তারা যাতে বরাদ্দকৃত এ টাকায় উন্নয়ন কাজ চালাতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশও দিয়েছি। ' নির্বাচন সামনে আসায় এমন তৎপরতা কি-না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের আগেও নগরবাসীর দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে ছিল করপোরেশন। ' জানা গেছে, নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য কাউন্সিলররা বেশ কয়েক মাস আগেই করপোরেশনে চাহিদাপত্র দেয়।

কিন্তু নানা কারণে বিলম্বিত হয় এটি। এখন নির্বাচন কাছে চলে আসায় বর্তমান কাউন্সিলররা এ বরাদ্দ পেতে তোড়জোড় শুরু করে। সামনে মেয়র নির্বাচন থাকায় মহিউদ্দিন চৌধুরীও এখন রাস্তাঘাট সংস্কারের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরই অংশ হিসেবে এতদিন ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলো ছাড় করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তড়িঘড়ি করে সেরে নেন আনুষ্ঠানিকতাও।

এ প্রসঙ্গে নগরীর ২১নং জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এমএ নাসের সমকালকে বলেন, 'রাস্তাঘাট সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আমরা বেশ কিছুদিন আগে প্রকল্প জমা দিয়েছি। নানা কারণে এটি এতদিন পাস হয়নি। এখন শুনেছি মেয়র নিজে এসব প্রকল্পের অর্থ ছাড় করাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় এখন যে কোনো সময় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা যাবে। ' তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই রাস্তা সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে সিটি করপোরেশন। ২৫ নং রামপুরা ওয়ার্ডে সংস্কার কাজ চলছে ঈদগাহ-হালিশহর সড়কের। রাস্তা বর্ধিত করার কাজ চলছে নগরীর হালিশহর এ ব্লকে। আবার রাস্তার পাশের ফুটপাতে নতুন করে রং দিতে দেখা গেছে সিটি করপোরেশনকে। দেওয়ানহাট ও ওয়াসা সড়ক এভাবে রঙিন করার কাজ চলছে এক সপ্তাহ ধরে।

তবে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, রাস্তা সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট হচ্ছে। সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী বলেন, 'গত সপ্তাহে শুনলাম রাস্তা সংস্কারের জন্য নারী কাউন্সিলররা পাবেন তিন লাখ টাকা। এ কথা শুনে এনায়েতবাজারের গোলাপ সেন সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠাই। কিন্তু আমাকে কিছু না জানিয়ে বরাদ্দকৃত এ অর্থের কাজ তড়িঘড়ি করে শুরু করে দিয়েছেন মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা। এসব টাকা কোত্থেকে এলো, টেন্ডারের মাধ্যমে এ কাজ হচ্ছে কি-না_ এসবের কিছুই জানি না আমি।

'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।