আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেমেয়েদের আদালতে দেখতে আবেদন সাকা চৌধুরীর

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় এই আবেদন জানানো হলে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর বিএনপি নেতার সন্তানদের ইতোপূর্বে ট্রাইব্যুনালে দেখার কথা জানান।
তখন বিএনপি নেতার আইনজীবী আহসানুল হক বলেন, একদিন কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢোকার সময় বাধা পাওয়ার পর আসামির সন্তানরা আর ট্রাইব্যুনালে আসেনি।
এরপর ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদেরের সন্তানদের দুজন করে আসতে বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এদিন সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার ৩৯তম সাক্ষী মো. লাল মিয়া সাক্ষ্য দেন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগারের বুক সর্টার।


তার সাক্ষ্য নেয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিতে আগামী ২৬ মে দিন ঠিক করেছে আদালত।
সাক্ষী লাল মিয়া জানান, ২০১১ সালের ১০ মার্চ ওই গ্রন্থাগারের সংবাদপত্র রক্ষণাগার থেকে বিভিন্ন পত্রিকার মোট ২৮টি পেপার কাটিং জব্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দৈনিক পাকিস্তানের দুটি কপি, দৈনিক আজাদীর ১৯৭০ সালের নয়টি এবং ১৯৭১ সালের ১৭টি পেপার কাটিং।
সাক্ষ্য দেয়া শেষ হলে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক।
জেরার পরপরই সালাউদ্দিন কাদের দাঁড়িয়ে বলেন, “আমার ওয়াইফ খুব অসুস্থ।

তার জন্য প্রতিদিন এখানে এসে বসে থাকা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। যদি আমার দুই ছেলে, আমার বৌমা ও আমার মেয়েকে ট্রাইব্যুনালে আসার অনুমতি দেয়া হতো, তাহলে আমি বাধিত হতাম। ”
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি ফজলে কবীর বলেন, “আপনার ছেলে-মেয়েরা তো আগে এখানে আসতো। আমরা তাদের দেখেছি। ”
আইনজীবী আহসানুল হক তখন বলেন, “একদিন কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হলে তারা আর ট্রাইব্যুনালে আসেননি।


২০১২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একদল সদস্যকে নিয়ে মিছিলের মতো করে সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সদস্যরা ট্রাইবুনালে ঢুকতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হয়।
শুধু তালিকাভুক্ত আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা ঢুকতে পারবে বলে জানানো হলে ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধককে সালাউদ্দিন কাদেরের এক ছেলে গালাগালি করেন।  
সালাউদ্দিন কাদের আদালতে বলেন, “আমার ছেলে-মেয়েরা এখানে এসেছে। আপনারা দেখেছেন, তাদের কোনো আচরণ কি কখনো অশোভন মনে হয়েছে?
“আমার ছেলে-মেয়েরা ব্রিটিশ স্কুল আর আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা, তাদের মধ্যে সভ্যতার কমতি আছে, এটা কেউ বলতে পারবে না। ”
তখন ট্রাইব্যুনালের অন্যতম বিচারক আনোয়ারুল হক বলেন, “আমরা তো তাদের আসতে বাধা দিইনি।


বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ঠিক আছে, তারা দু’জন আসতে পারবে। ”
সালাউদ্দিন কাদের বলেন, তাদের সবারই ছোট ছোট বাচ্চা আছে।
বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন তখন বলেন, “আমরা তো কোনো আদেশ দিইনি। আগে যেটা ছিলো, সেটাই আমরা আবার চালু করতে চাচ্ছি। ”
এ সময় সালাউদ্দিন বলে উঠেন, “ফাঁসিতে তো ঝোলাবেনই।

তবে তার আগে বাবাকে দেখতে পারলে তাদের একটু ভালো লাগবে আর কী। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.