আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর কাছে পাঁচ কোটি টাকার বিজয় একুশে সফটওয়ার বিক্রি করতে চেয়ে ছিলেন!


ফেসবুক থেকে দেখলাম প্রশ্নোত্তরে মোস্তফা জব্বার বলেছেন, “When you support a pirated product & when you use that who are you? Look at the law and define yourself. If you are hurt by mp3, why I am not hurt by my patent? You know AVRO has killed my 50 million taka business of Election Commission. What I do to stop piracy is known to almost everybody who follows the track. Do not make comments on elders if you are not sure about his/her activities. I am not debating on AVRO-I am just asking you to read the laws of the land mentioned in my earlier mail....” উনি দাবি করেছেন অভ্র তার ৫০ মিলিয়ন টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন করেছে। ঘটনা ছিল এই রকম, নির্বাচন কমিশন ভোটার ডাটা এন্ট্রি, ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে বাংলা লেখার একটি সফটওয়ার এর প্রয়োজন ছিল। এই কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা ইউএনডিপি যথারীতি মোস্তফা জব্বারের কাছে যোগাযোগ করেন। ঝানু ব্যবসায়ী মোস্তফা জব্বার নির্বাচন কমিশনকে বোঝান তাদের প্রয়োজন বিজয় একুশে। মোস্তফা জব্বার যুক্তি দেখায় বাংলা ভাষায় লেখার জন্য বিজয় একমাত্র এবং প্রকৃষ্ট পন্থা।

ইউএনডিপি মোস্তফা জব্বারের কাছ থেকে বিজয় একুশে ক্রয় জন্য তাদের মূল্য কোট দিতে বললেন। এখানে উল্লেখ্য, ভোটার ডাটা এন্ট্রি, ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা এই সবে মোট দশ হাজার ল্যাপটপ ব্যবহৃত হবে। দশ হাজার ল্যাপটপে দশ হাজার বিজয় একুশের লাইসেন্স কপি দরকার। প্রতিটা বিজয়ের সাইজ ২৩৭ মেগাবাইট। একটা বিজয় একুশের লাইসেন্স ফি পাঁচ হাজার টাকা হলে দশ হাজার লাইসেন্স কপির দাম পড়ে পাঁচ কোটি টাকা।

মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কাছে দাম হাঁকায় পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন খবর পেলেন বাংলা লেখার একটা সফটওয়ার অভ্র একদম বিনা মুল্যে পাওয়া যায়। সেটা পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে কেনা বিয়ের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। তাই তারা অভ্র ব্যবহার করেন। হায়রে দুনিয়া, লজ্জায় মরে যাই।

মোস্তফা জব্বার আর একটু হলেই আমাদের দরিদ্র দেশের পাঁচ কোটি টাকা মেরে দিতেন। গরিব খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টকর টাকা মেরে দিতে না পারার কি কষ্ট জব্বার সাহেবের। এখন তিনি অভ্র এর বিরুদ্ধে পাইরেসি, হ্যাকিং,চুরি করা সফটওয়ার এইসব অভিযোগ আনছেন। অভ্রকে মামলার হুমকি দেখাচ্ছেন । আসলে অভ্র এর প্রতি তার রাগার মূল কারণ তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় মার খাওয়া।

আমাদের একটা ছোট্ট অনুরোধ, জব্বার সাহেবের বাসায় এবং অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন ছোট্ট একটা অভিযান চালান। উনি একটা এসাইনমেণ্ট থেকে পাঁচ কোটি টাকা পেলে ১৯৯০ সাল থেকে এই পর্যন্ত কত টাকার সফটওয়ার বিক্রি করেছেন?উনি কত টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন। একটু খোঁজ নিলে ধলির বিড়াল বের হয়ে আসবে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।