আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতাঃ কত টুকু তুমি অস্তিত্বে নিয়েছিলে ঠাই

বলার নেই কিছু।
বলো কত টুকু তুমি অস্তিত্বে নিয়েছিলে ঠাই আমি নিড়ে ফিরে এসে আমার আমিকে পেয়েছি অস্তিত্বহীন শুন্য! বুকের আরক্ত ভূমির নিঃস্ব নগরীর নিস্তব্ধ শ্মশানের দেয়াল লিখনে সীমাহীন জিজ্ঞাসা, কেন এমন করে দয়িত প্রহর বিষাদে ঢেকে যায়? কেন শান্ত স্নিগ্ধ চোখের নদীতে সাঁতরে চলে হিংস্র বিষাক্ত কালনাগ? উই পোকাদের কুঁড়ে কুঁড়ে নিংড়ে খাওয়া শিল্পে আঁকা জগতের বৃহৎ অশিল্প! কি জানি এক অশ্রাব্য প্রশ্ন কিউটের মত দলা পেকে ফণায় তোলে আর্তনাদের বিষ! উত্তরও জানি আছে ছলনার খুব গভীরে লজ্জাপতির মত কুঁকড়ে যাওয়া ত্রাসিত দুর্বাচ্য কোন গল্পের নিঃশেষিত হৃদয়ের পরাজয়ে! আছে ভালোবাসার ভ্রান্ত উপাখ্যান, অসীম সরলতার বুকে কোন হৃদয়হীনের অদৃষ্ট প্রহার! তারপর এগিয়ে গেছে সভ্যতা! তির তির করে কাঁপা চোখের তারায় নতুন সূর্যের আহ্বান! একটু একটু করে অর্বাচীন হয়ে দন্ডায়মান সবুজ মিনারের মুমূর্ষু দুর্ভিক্ষের কাক ডাস্টবিনের দুর্গন্ধে হয়েছে তীক্ষ্ণ শিকারি! শুঁয়োপোকার গুটিকা ভেঙে নীলাকাশে ডানা মেলে ইন্দ্রধনুর সঙ প্রজাপতি, গোলাপের লালিমা ছাড়িয়ে টোবের নিংড়ানো ছাঁচে অর্কিডের নীলাভ সন্ধ্যা! শুধু থাকি প্রাচীন আমি! নস্টালজিক ভাবনারা প্রেতাত্মার মত তাড়িয়ে নিয়ে দাঁড় করায় সেই সান্ধ্য নদীর পাড়ে, যেখানে শুকতারার স্তমিত হাসিতে চাঁদের লুটোপুটি! তারপর হঠাৎ গ্রহণ! কালো অপচ্ছায়ার পাড় ঘেঁসে একটু একটু করে দূরে সরে যাও তুমি! অনেক দূরে! আমি হাত বাড়িয়েও ছুঁতে পারি না! তারপর কপালের বিন্দু বিন্দু ঘামে জমা প্রাণপণ প্রচেষ্টা শুধু একবার তোমায় ভুলে কলহান্তরিতার কড়চাকে বিসর্জন দেবো নষ্ট ভালোবাসার দীর্ঘশ্বাসের অতীতের আস্তাকুড়ে! মুক্ত ভাবনায় জলদ হয়ে দূর আকাশে পাড়ি জমাবে চোখের জলীয় বাষ্পীভূত হাহাকার! আদিম থেকে আমি অর্বাচীন হবো বাবুই পাখির ঠোটে গড়া নিখুঁত শান্ত তিলোত্তমার নীড় বোনার বাসনায়! কিন্তু হঠাৎ ধূলির ঝড়ের মত আসো তুমি তন্দ্রালু আঁখি মেলো আমার আমিত্ব জুড়ে তছনছ কর স্বপ্নগুলোকে দুঃস্বপ্নের পসরা সাজিয়ে আমার অস্তিত্ব জুড়ে নিভৃতে করে যাও অহর্নিশ অবলীলায় বসবাস!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।