আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন আশরাফুলের মুখ



কাল চট্টগ্রাম থেকে জিএমজির রাত ৮টা ৩৫ এর ফ্লাইট দেরী হতে হতে শেষ পর্যন্ত ১০টা ২৫ এ উড়লো। সকালে জিএমজির ফ্লাইটে চট্টগ্রাম গিয়ে সকাল সোয়া ৯টা থেকে টানা সাড়ে দশ ঘন্টা সাগরের বুকে দীর্ঘ অফিসিয়াল ভ্রমনের সময় রোদে পুড়ে শরীর মন দুটোই রেগে লাল হয়ে ছিলো। তাই শুরুতে চোখে পড়েনি বিমানটিতে বাংলাদেশ ''এ'' দলও উঠেছে। আমার ঠিক পেছনের সিটে বসেছিলেন ''এ'' দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। পুরো দলকে বেশ খোশ মেজাজে পাওয়া গেলো।

সবাই নানারকম ফান করছিলো। আশরাফুলও তাতে যোগ দিচ্ছিলেন। সারাদিন সাগরে থাকায় তখন পর্যন্ত জানতাম না ইংল্যান্ডের সাথে তিনদিনের ম্যাচের ফলাফল কী ? আমার সারাদিনের ভ্রমনসঙ্গীদেরও আমার মতো সে খবর জানা ছিলো না। পেছনে আশরাফুল বাহিনী। ওদের কাছে খেলার ফলাফল জানতে চাওয়া কোন রকমের ভদ্রতার মধ্যে পড়ে না।

তাই ও নিয়ে বাসায় ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিকল্প ছিলো না। তবে আশরাফুল যেহেতু ঢাকা ফিরে আসছেন, তার মানে তিনি টেস্ট দলে ঠাঁই পাননি এটা তখনই নিশ্চিত হয়ে গেছি। তাই আশরাফুলের মুখে বাদ পড়ার ছাপ আছে কিনা, আমার কৌতুহলী চোখ সেটাই খুঁজে বেড়াচ্ছিলো। আশরাফুল পরেছিলেন জিনস আর সর্ট শার্ট। এটাও আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।

ওদেরকে তো জার্সিতে আর দলীয় ক্যাজুয়াল পোষাকে সাধারণত দূর থেকে বা ছবিতে দেখতে পাই। কাছ থেকে স্বাভাবিক পোষাকে দেখার অনুভূতিই আলাদা। প্রথম দিকে বেশ কিছু সময় তাঁকে খোশ মেজাজেই পাওয়া গেলো। কিন্তু শেষ দিকে এসে মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছিলো আশরাফুল দলে থেকেও কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলেন, আনমনা হয়ে যাচ্ছিলেন। যে দলে এতোদিন ছিলেন অপরিহার্য সে দলে এখন তিনি নেই।

তাঁকেও আবার নিজেকে প্রমান করে দলে ফিরতে হবে। এ অবস্থা তিনি আগেও মোকাবেলা করেছেন। বহুদিন পর আবার সেই খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এই নতুন চাপও তাঁকে আনমনা করছে কী ? ঢাকায় দেখি ওদের টিম বাস নেই। যার যার মতো চলে যাচ্ছেন।

আমরাও নিজের রাস্তায় চললাম। আসতে আসতে চোখে ভাসছিলো অন্য এক আশরাফুলের মুখ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.