আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাহাড়ে শান্তি - সেনাবাহিনী , বাংলাদেশ , ইউপিডিএফ, শ্রীলংকা, তামিল টাইগার

Why does life keep teaching me lessons, i have no desire to learn.
পাহাড়ে কিছু হলেই দেখি আমরা সমতলীরা আমাদের সেনাবাহিনীর মোটামুটি গোষ্ঠী উদ্ধার থেকে শুরু করে তাদের বিপক্ষে বলিনা এমন কিছু নেই। কেউ কেউত ভারতের সাথে আমরা পারবনা তাই আমাদের সেনাবাহিনীর কোন দরকার নাই- এই ঘোষনা দিতেও কোন দেরী করেনা। যত দোষ- সব ঐ শালা জলপাই ওয়ালাদের। ভাবখানা এমন তারা যেন ভীন গ্রহ থেকে পাহাড়ে এসে জুড়ে বসেছে। তারাই যত সমস্যার জন্য দায়ী।

সুশীলদের সুশীলিয় ভক্ষনে মাঝে মাঝে বাগড়া দেয় এই সেনাবাহিনী। রাজনীতিকদের পা চাটা সুশীলদের বড় অপছন্দ এই সেনাবাহিনী। কারন সেনারা অষ্ত্রের জোড়ে যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই সুশীলদের ভাগে উচ্ছিট্ট টুকুও জোটেনা। ভুখা নাঙ্গা সময় কার পছন্দ বলুন । তাই যত দোষ এই উর্দিওয়ালাদের।

উর্দি নিয়ে আলোচনায় বাড়েবাড়ে আসে ভারতের মোকাবেলায় কতটা নিষ্কাম প্রমানিত হবে এই সেনারা সে আলোচনা। বড় আফসোস হয় আমাদের সেনাবাহিননির জন্য, যদিও বাড়ে বাড়ে তারা আমাদের শাষনের নামে নির্যাতন করেছে। আবার পরক্ষনেই আমাদের রাজনৈতিক শাসন গুলো যখন দেখি তখন মনে হয় ওদের কেই বা দোষ দিয়ে লাভ কি। আমাদের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়া আমাদের নেতারাই বা আমাদের কি এমন মধু দিয়েছেন, নিজেরাইত ব্যস্ত মধু নিয়ে আর আমরা আছি হাঙ্গামায়। এই মুহুর্তে আগুন আর রক্ত ঝড়ছে পাহাড়ে ।

দোস গিয়ে পড়ল তাও ঐ জলপাইওয়ালাদের ঘাড়ে। মেনে নিলাম সব দোষ তাদের। কিন্তু তারা কারা। অনেকের বলা কথায় মনে হয় ঐ পাহাড়ের সব কিছুর মালিক এই জলপাই ওয়ালারা। ধরে নিলাম তারাই মালিক।

কিন্তু তাদের কে পাঠিয়েছে কারা । আমাদের রাজনৈতিকরা সে দায়ভার এরান কি করে বুঝিনা। যেন পাহাড় বাংলাদেশের থাকলে সব লাভ ঐ সেনাদের। এটা ঠিক আজ যদি অখন্ডাতা বিনষ্ট হয় তবে ঐ সেনারা দায় এড়াতে পারবেনা- যেমন পারবেনা তখন তাদের রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে। সেখানে যে সমস্যার সূত্রপাত এটা করা হয়েছিল রাজনৈতিক ভাবে, আর পরে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের ভুলকে জায়েয করার জন্য ডিপ্লয় করেন সেনা বাহিনী।

সেনারা তাদের প্রথাগত ভাবেই পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনবেন এর ব্যত্যয় কামনা করা বোকামী। তারা মাঠে গেলে গুলি বোমা বের হবেই সে যার বিপক্ষে হউক । অধিকার আদায়ের দাবীতে পাহাড়ীরা ধীরে ধীরে মুখের কথা বাদ দিয়ে হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। আর যায় কোথায়। সেনারা পেয়ে যান নেয়া ট্রেনিং প্রয়োগের আর নতুন জয়েন করা সৈনিকদের তৈরি করার আদর্শ জায়গা।

গুলি আসে, তারাও গুলি ছোরে, কখনো আগেই ছুড়ে বসে -শত্রু বলে কথা। আর এদিকে বসে আমরা ভাবি সব দোষ তাদের । আরে তাদেরকে ওখানে পাঠিয়েছে কারা তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন বুলি নেই। যেন সেনারা নিজের ইচ্ছায় চলে, রাষ্ট্রের কোন নির্দেশ নেই তাদের কাছে । তারা কি করে তাকি তা যেন তারা কাউকে বলেনা ।

পেপারে দেখলাম সেনাসদর হয়ে সরকারের কাছে তারা উত্তেজনার খবর পাঠিয়েছে। মহান সরকার চুপ করে না থাকলে আজকে এমন হত কিনা জানিনা। বিশ্লষনে আর না গিয়ে বলি- আমাদের সেনাবাহিননিকে অপরাধী করতে পারলে আমরা শিক্ষিত মানুষেরা বেশ আনন্দ পাই- অথচ ঐ পাহাড়ে যেতে নিজে থেকে কোন সেনা চায় কিনা আমি জানিনা। পরিবার পরিজন হীন সেখানে যেতে নিজ ইচ্ছায় কার অত দায় পড়েছে। আর সে যখন যায় তখন সে তার মতই থাকবে- এ নিয়ে দ্বিমতের কি আছে।

পাহাড়অঞ্চল নিয়ে আমাদের এখনই সময় সঠিক রাজনৈতিক ডিসিশান নেয়ার, না হলে আরও পস্তাতে হবে আমাদের। পাহাড়ে অস্ত্র - ভারতের সরাসরি সাহায্য নিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল শান্তিবাহিনী, ইউ পি ডি এফ। সেনাবাহিননির কাছে এটা অখন্ডতা রক্ষার লড়াই ছাড়া অন্য কিছু ভাবার কোন কারন নেই। শ্রীলংকা, তামিল টাইগার- এই বিসয়টি যদি আমরা দেখি, সেখানেও তামিলরা স্বায়ত্বশাসনের জন্যই আন্দোলন করছিল, আর এটা যে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দিকেই যাবে তাতে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই। সে আন্দোলনে চূড়ান্ত ইন্ধন দেয় ভারত- সবধরনের সহযোগীতা দিয়ে।

ক্লান্ত শ্রীলংকা আর পারছিলনা - শেষমেষ রক্তাত্ত সমাধানই সে বেছে নেয়- আন্দোলন নিশ্চিন্হ করা ভিন্ন তার কাছে আসলে অন্য পথ ছিল কিনা সন্দেহ । তারা পেরেছে- কারন ততদিনে ভারতের তামিল মোহ কেটে গিয়েছিল বলে । রাজীব হত্যার মধ্য দিয়ে তামিলরা ভুলটি করে বসে- নস্যাৎ হয় তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন। ভারত চায় উপমহাদেশে যেন কোন শক্তি না থাকে। তাই নিজের দেশ বাদে বাকী সবার অখন্ডতায় তার আপত্তি।

তার ইন্ধনে শ্রীলংকায় যেমন তামিল তেমনি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী আর ইউ পি ডি এফ। আজ আপনি আপনার জেলা নিয়ে স্বাধীনতার ডাক দেন তাতে কাউকে না পেলেও ভারতীয় আশীর্বাদ দেখবেন হয়ত ঠিকই জুটে যাবে। শান্তিবাহিনী আর ইউ পি ডি এফ কে তারা মদদ দিয়ে যেতে থাকে। আমাদের দেশ হয় রক্তে রঞ্জিত। আমরাই সে সুযোগ তাদের করে দিয়েছি- নিজেরা ভুল করে।

আর সে ভুলের রক্ষা করতে আমাদের সেনাদের মুখোমুখি করে দিয়েছে আমাদের দেশের ই নাগরিকদের। তারা তাদের মত করে সমাধান করছে, রাজনৈতিক সমাঢান তাদের কাজ নয়। তাদের চোখে বিষয়টা রাজনৈতিক হবার কোন চান্স নেই- তারা দেখছে এটা শত্রুর মোকাবেলা রূপে। যেহেতু এটা ভারতের আধিপত্যবাদের সামরিক নীল নকশা সো সেনাবাহিনী সেটা ঠেকাবেই, সেটা তাদের কাজ । শান্তিবাহিনী আর ইউ পি ডি এফ যদি সামরিক পন্হায় সব সমস্যার সমাধান চায় তবে সেখানে আরেকটা জাফনা উপদ্বীপ তৈরিতে সেনা বাহিনীকে কে রুখবে ।

এলটিটিই যেভাবে সামরিক ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে সেভাবে শান্তিবাহিনী আর ইউ পি ডি এফ কে নিশিহ্ন করাই হবে সেনাবাহিননির টার্গেট। তাদেরকে আমি আপনি কোন যুক্তিতে দোষারোপ করব !!!! তাদের তাক করে রাখা অস্ত্র নামানোর একমাত্র উপায় রাজনৈতিক সমাধান। সরকারকেও বুঝতে হবে, শান্তিবাহিনী আর ইউ পি ডি এফ কে ও বুঝতে হবে। ভুল শোধরানোর এখনই সময়.................অনেক হয়েছে আর নয়। নেতারা খেলবেন, খেলাবেন- আর কত !!!!
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।