আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি হেরে গেলাম সমাজের কাছে কিন্তু কেউ একজন (এক দাম্পতি) জিতল।



View this link গত বৃহস্পতিবার বাটা সিগনালের মোড়ে আমার অফিস থেকে বরে হলাম। দেখলাম মোড়র বাটার দোকানের বামাপাশে যে আইল্যাড সেখানে বেশ মানুষরে জটলা। আমি প্রথমে মনকরলাম কেই সম্ভবত একসিডেন্ট করেছে। আমি এগিয়ে গেলাম। দেখলাম এক ৮/৯ বছরের বাচ্চার কোলে একটি শিশু বাচ্চা কান্নাকাটি করছে।

আমি খেয়াল করলা শিশু বাচ্চাটার গায়ে জামাকাপড়ও আছে। বৃঝলাম একবারে নবজাতক না। তবে বাচ্চাটাকে যেভাবে পাওয়াগেছে তাতে বাচ্চাটা মারা যেতে পারত। রাস্তার মাঝখানে কাটাতারের যে বেড়াগুলো আছে তার আংটার সাথে রাস্তার উপর কাগজ টোকাইদের একটা বস্তার ভিতর। যেকোন গাড়ির একটা বাড়ি লাগলেই শিশূ বাচ্চাটা শেষ হয়ে যেত।

আমার মনের মধ্যেও ইচ্ছা করছিল বাচ্চাটাকে নিয়ে যাই। কিন্তু আমি নিজে ব্যাচেলর আমার নিজের থাকার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। থাকি মেসে। কিভাবে এই বাচ্চাকে সামলাবো। তারউপর পাছে লোকে কিছু বলার ভয়তো আছেই।

বাচ্চাটার কিছু করতে পারবনা এই জন্য ওখান থেকে চলে আসলাম। পরে একজনকে এই ঘটনাটা বলছিলাম। কাটাবন মোড়ে দাড়িয়ে। যাকে বলছিলাম সে বলল দেখেন কোন বড় লোক জানতে পরলে ওকে নিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পরযখন আবার আসলাম এদিকে তখণ দেখলাম এই রাস্তায় (এলিফ্যান্ট রোড এলাকায়) খই বিক্রি করে একমেয়র কোলে বাচ্চাটা সাথে দামি শাড়ি পরা এক ভদ্রমহিল।

কাটাবন মড় থেকে রিকশা নিল। আর একজন ট্রাফিক পুলিশ তাদের পিছণে আর একটা রিকশা গেল। এই ঘটনাটা ঐদিনই লিখব মনে করেছিলাম। কিন্তু নানা বিধ ব্যস্ততা ও কাজের চাপে লিখতে পারিনি, আর বাচ্চাটার কি হলো সেটা ঐহাকার মেয়েটার কাছ থেকে জেনে নিয়ে লিখব এটা মনে করেও একটু লেট হয়েছে। যখন নয়া দিগন্তে এই রিপোর্টটা দেখলাম তথন চিন্তা করলাম এখনই লিখেফেলি তা নাহলে পরে দেরি হয়ে যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।