আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্যের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ



শরীর সুরক্ষায়, রোগ প্রতিরোধে এমনকি রোগ নিরাময়ে খাদ্যের বিকল্প নেই। অতি ভোজন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও পরিমিত পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণে সহজেই রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় খাবারঃ দেহ গঠনে, শারীরিক শক্তি রক্ষায় ছয় ধরনের খাদ্য উপাদান খুব জরুরি। এগুলো হলো শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার, ভিটামিন, খাদ্য লবণ ও পানি। আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সচল রাখার পাশাপাশি উপকারী হরমোন তৈরিতে, রোগ প্রতিরোধে খাদ্যের এ ছয়টি উপাদান খুবই জরুরি।

এর মধ্যে ভিটামিন সুস্থ দেহের জন্য খুব অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হলেও দেহের জৈবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এর বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ও খাদ্য লবণের ভূমিকাঃ দেহের ঘাটতি পূরণে কিংবা রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন রাতকানা রোগটি ভিটামিন-এ এর অভাবে হয়ে থাকে। এছাড়া ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি, থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি, ভিটামিন-ডি-এর অভাবে হাড়ের রোগ যেমন রিকেটস, ভিটামিন বি১২-এর অভাবে এক ধরনের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন জাতীয় খাদ্য থাকা জরুরি।

মনে রাখবেন ভিটামিনের অভাব পূরণে প্রতিদিনের খাবারই যথেষ্ট, ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষক্ষেত্রে যেমন হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ফলিক এসিড, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ ইত্যাদি ভিটামিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। এসব ভিটামিন রক্তে হোমোসিস্টিনের পরিমাণ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ফলিক এসিড বা অন্যান্য ভিটামিন জাতীয় ওষুধ গর্ভবতী মায়েরা গ্রহণ করলে সন্তানের জন্মগত শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিতঃ ওজন কমাতে কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম শক্তিদায়ক খাবার গ্রহণ করতে হবে।

শাক-সবজি এবং ফলমূলে অল্প পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায়। ফলে এসব খাবার আপনি ইচ্ছামতো খেতে পারেন। চর্বিজাতীয় খাবার, স্ন্যাকস, ডিমের কুসুম, ফ্রাইড ফুড, মিষ্টি ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে। তাই এগুলো খুবই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন উচ্চ শক্তিদায়ক খাবারে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং সম্পৃক্ত চর্বি থাকে।

এক কথায় সুস্থ থাকতে হলে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে হলে শাক-সবজি, ফলমূল, ফ্যাটমুক্ত দুধের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ফাস্টফুড, চিপস, ডিম ইত্যাদি খুব কম পরিমাণে খেতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.