"পুখু সুবু কুরু রুবু রুতু পুহুল, কুনুনু কুসুমু কুলু সুকুলু ফুটুলু
ওসামা বিন লাদেন মারা পড়লে বিশ্বে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন আল কায়দা নেতার ছেলে ওমর।
তার ভাষায়, "ভাগ্যিস বাবা এখনো মারা যাননি। তিনি মারা গেলে বিশ্ব খুবই বাজে একটি পরিস্থিতিতে পড়বে। "
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওমর এ কথা বলেন। এটি শুক্রবার প্রকাশ হবে।
ওসামার ১১ ছেলের একজন ওমর দাবি করেন, আফগানিস্তান ও সুদানের জিহাদি শিবিরে তার শৈশব কেটেছে। তবে এখন তিনি আল কায়দার সংস্রবমুক্ত। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার কয়েকমাস আগে তিনি বাবাকে ছেড়ে আফগানিস্তান থেকে চলে আসেন।
সিরিয়ার দামেস্কের একটি ক্লাবে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে ওসামাপুত্র বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভুল করছেন।
"এর অর্থ হচ্ছে বালুর মধ্যে পানি ঢালা, বালুকে এটা শুধু আরও ভারী করবে।
আমি তার জায়গায় হলে প্রথমেই যুদ্ধবিরতিতে যেতাম। পরবর্তী ছয়মাস, এক বছর- কোনো লড়াই নেই, কোনো সেনাও নেই। "
আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না ওমর।
ওসামাপুত্র বলেন, "আফগানিস্তানে কখনো যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হতে পারবে না। এটা আমার বাবার জন্য নয়, আফগানিস্তানের জনগণের জন্য।
"
নিজেকে আল কায়দা বিরোধী বলে দাবি করলেও ওমর মনে করেন, আল কায়েদা নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের দম্ভ চূর্ণ করতে সফল হয়েছে।
তিনি জানান, ২০০০ সালের নির্বাচনে জর্জ ডাব্লিউ বুশ জয়ী হলে তার বাবা বেশ খুশি হয়েছিলেন।
"কারণ তিনি মনে করতেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন একজন প্রেসিডেন্ট দরকার যিনি হামলা ও অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে দেশের ঐক্যে ফাটল ধরাবেন। "
২০০৭ সালে নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী এক ব্রিটিশ নারীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন ওমর।
এর পর এ দুজনকে স্পেন রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর যুক্তরাজ্য, কাতার এবং মিসরও আশ্রয় দেয়নি তাকে।
রোলিং স্টোন আরো জানায়, ওমর নিজেকে চলচ্চিত্র তারকা মেল গিবসনের সঙ্গে তুলনা করেন এবং জাতিসংঘের হয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন।
যুক্তরাষ্ট্রের 'দুশ্চিন্তা' ওসামার এ ছেলে ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে পত্রিকাটি জানায়।
লিঙ্কঃ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।