আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুটির শিল্পের অগ্রপথিক জাহানারা বেগম আর নেই


কুটির শিল্পের অগ্রপথিক জাহানারা বেগম আর নেই বাংলাদেশের কুটির শিল্প আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী, সমাজ উন্নয়নকর্মী মিসেস জাহানারা বেগম ১৭ জানুয়ারি ২০১০ রোজ রবিবার ১২ঃ ৪৫ মিনিটে কুমিল্লা শহরে নানুয়াদীঘির পারস্থ নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না..............) মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৮ বছর। রবিবার বাদ জোহর কুমিল্লার নবাববাড়ী ও চাঁদপুর হারুন স্কুল মাঠে জানাজা শেষে মিয়াবাড়ীস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। বাংলাদেশের কুটির শিল্পের বিকাশ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও পুর্নবাসনের অসামান্য অবদানের স্বীকৃত স্বরুপ ১৯৯৩ সালে রাষ্ট্রীয় সর্ব্বোচ সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এছাড়া ১৯৬২ সালের রানী এলিজাবেদ গর্ভনর স্বর্ণপদক, ১৯৭৭ সালে কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ন পদক, ১৯৮২ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট সমবায়ী পুরুস্কার, ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ মহিলা পুরুস্কার, ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ট সমাজসেবী পদক, ২০০০ সালে অনন্যা শীর্ষ পদক, ২০০০ সালের রোটারি পদক, ২০০১ রোটারি মিলেনিয়াম পদক, ২০০৭ জাতীয় কন্যা শিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম এর সম্মাননা এবং পল্লী উন্নয়নে শ্রেষ্ট কর্ম হিসেবে বার্ড সম্মাননা ২০০৯ পদকসহ অসংখ্য জাতীয় ও আন্তজার্তিক পুরস্কার লাভ করেন।

সমাজসেবী ও নারী সংগঠক হিসেবে তিনি জীবনে প্রায় ১২৬ টি পদক লাভ করেন। দুস্থ ও অসহায় মানুষ বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা বিস্তার তার অসমান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৮ সালে জাহানারা বেগমকে ”সাদা মনের মানুষ” সম্মাননায় ভূষিত হন। মানুষ গড়ার কারিগর এই নারী সংগঠন আজীবন কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে মাধ্যমে মানুষকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। দেশের কুটির শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে সংগঠিত করতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে।

তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ, রাজনৈতিক ও নারী অন্দোলনের নেত্রীবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, সামাজিক সংগঠক, গনমাধ্যমকর্মী, সমাজকর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অগুনিত তার শিক্ষানূধ্যায়ী, অনুসারীরা ও জনতা তাঁর বাসভবনে এসে তাঁকে সম্মাননা জানান।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।