আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেপালে শিক্ষা সফর

জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি

পর্ব-২: বিরক্তিকর ও tension এ কিছুটা সময় আমাদের ফ্লাইট নাকি দুপুর ২টায়। আর, এয়ারপোর্টে রিপোর্ট করতে হবে তার তিন ঘন্টা আগে। কাল রাত ১১টা পেরিয়ে ১২টা বেজে যাচ্ছিলো, তখন আমাদের যাওয়া কনফার্ম হলো। তখন ঘুম পেয়ে গেছে। আবার সকাল ৯টায় কলেজে উপস্থিত হতে হবে।

কখন কি গুছাবো! তারপরেও সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি। ট্রলি ব্যাগে নাম আর পাসপোর্ট নাম্বার লিখে সব কিছু রেডি করে তবেই ঘুমাতে গেলাম। তারপর, আবার ভোরবেলা উঠে পরেছি। আমার সাথে সাথে আমার পরিবারও জেগেছে। অত সকালে।

অথচ,কলেজে পৌঁছে দেখা গেলো আমার মত দু একজন ছাড়া বাকি সবাই'ই লাগেজে নাম ধাম কিছুই লিখেনি। কলেজে সবার পৌঁছাতেই ১০টা পেরিয়ে গেলো। মা ঠিকই বলেছিলো, 'দেখা যাবে তুমিই সবচেয়ে আগে গিয়েছ। ঐরকম তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা বলেই। ' সবার যার যার পাসপোর্ট আর টিকেট বুঝে নিয়ে লাগেজে নাম-ধাম লেখালাখি শেষে আমাদের মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয় আমাদের শিক্সা সফরের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র বক্তৃতা দিলেন।

তারপর, আমাদের ৩৮ জনের গ্রুপে স্যার ও ম্যাডামের মধ্য হতে দুজন প্রতিনিধি ঠিক করে দিলেন। যেন সব জায়গায় আমরা এক হয়ে চলি। এইসব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে করতেদুপুর ১২টা। তারপর এলো বাস। আমাদের নিয়ে যাবে এয়ারপোর্টে।

এর মধ্যে বাসে সবাইকে গোনা শুরু হলো, কয়েকজন নেই। কেন নেই? বাস এখন ছেড়ে দেবে গেলো কই ওরা? গেছে ডলার এনডোর্স করতে! ওমা, এই কয়দিনেতো ওদের কোনও ছোটাছুটি করতে হয়নি। তবে, কি করেছে বসে থেকে থেকে! শেষ মুহুর্তে এসে ঐ পাঁচ-ছয় জনের জন্য আমাদের না আবার প্লেন মিস হয়ে যায়। শোনা গেলো, রাপা প্লাজার সামনে আরো কয়েকজন নাকি ডলার এনডোর্স করাবে। হায় কপাল!! যারা আগেই করে ফেলেছে, তাদের মধ্যে বিরক্তির ছায়া।

কেউ কেউ একটু গর্জেও উঠলো। কিন্তু, কিছুই করার নেই। রাপা প্লাজার সামনে আবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা। কখন যে পৌঁছবো এয়ারপোর্টে! পর্ব-৩: ইমিগ্রেশন চেক আপ শেষে অবশেষে প্লেনের পেটের ভেতর এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেলাম অবশেষে । তবে, এখন কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে।

আমি শুধু দোয়া পড়ে যাচ্ছি। শুধু আমি নই । অনেকেই । এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর শিক্ষক আছেন। তাদের দেশের বাইরে ট্যুর করার কিছু আইনী জটিলতা থাকে।

আবার না কোন গ্যান্জাম বেঁধে যায়! যাহোক অবশেষে ইমিগ্রেশন চেক আপ ও সব আনুস্ঠানিকতা শেষ করে প্লেনে ওঠার কিছুটা আগে বাসায় ফোন করে মা-বাবার সাথে কথা বললাম। আবিদাকে ফোন দিলাম। আবিদা বললো, " কিরে তোদের প্লেন না বলে দুপুর ২টায় ফ্লাই করার কথা! এখন দেখি ৩টা ১০ বাজে!" ওকে জানালাম আমাদের প্লেন লেট করার কথা। ৩টা বেজে ২০ মিনিটে প্লেন এর পেটে ঢুকে পড়লাম। যার যার সিটে বসার আয়োজন।

প্রথম প্লেনে চড়ার অভিগ্ঞতা বেশির ভাগেরই; আমরা ৩৮ জন শিশুর মত কিচিমিচি লাগি্য়ে দিয়েছি। ছবি তুলছি। একেবারে হুলুস্হুল কান্ড! ---------------------------------------------------------(চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।