আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযোদ্ধার ক্যামেরায় একাত্তর

আমার দেশ আমার সংস্কৃতি

একাত্তরের রণাঙ্গনে তাঁর এক হাতে অস্ত্র এবং অন্য হাতে ছিল ক্যামেরা। যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন যুদ্ধদিনের নানা দুর্লভ মুহূর্ত। সেই সব ছবি নিয়েই প্রদর্শনী। তাতে আছে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, ধানক্ষেত পেরিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে চলছে তরুণ মুক্তিযোদ্ধার দল। ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি।

এমনি ৮৮টি ছবি। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘একাত্তরের যাত্রী’ শিরোনামে গতকাল সোমবার থেকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে প্রকাশনা সংস্থা ম্যাগনাম ওপাস। এ উপলক্ষে তারা তিন দিনের উত্সবেরও আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত ছবিগুলো নিয়ে ‘ম্যাগনাম ওপাস’ নামের একটি আলোকচিত্র অ্যালবামও প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ করে স্মারক সংকলন হারুন হাবীব: একাত্তরের যাত্রী এবং হারুন হাবীবের নিজের লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস সোনালি ঈগল উদ্বাস্তু সময়।

প্রদর্শনী চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। হাসন রাজা উত্সব অতৃপ্তি রয়ে গেল। মরমি শিল্পী হাসন রাজাকে নিয়ে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো উত্সবের আয়োজন। কিন্তু সেই তুলনায় শিল্পী এবং গানের পরিবেশনা ছিল কম। আলোচনাই হয়েছে বেশি।

অবশ্য শ্রোতারা তাতেও খুশি, তবুও তো হাসন রাজাকে নিয়ে উত্সব হয়েছে। তাঁকে নিয়ে কথা হয়েছে, হয়েছে তাঁর গান। সোমবার জাতীয় হাসন উত্সব উদ্যাপন পরিষদ ও অনলাইন সংবাদপত্র রেডটাইমস বিডিডটকম ‘জাতীয় হাসন উত্সব’ আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘হাসন রাজা সুখের সন্ধান করেছেন এবং তিনি সুখী ছিলেন।

কিন্তু আমরা সে সুখ খুঁজতে গিয়ে অসুখে ভুগি। প্রকৃত সুখ তখনই খুঁজে পাব, যখন হাসন, লালন ও রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে পারব। ’ অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, হাসন রাজার জীবন নাটকের মতো। রবীন্দ্রনাথ তিনজন বাউলকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন। তাঁরা হলেন হাসন, লালন ও গগন হরকরা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় হাসন উত্সব উদ্যাপন পরিষদের সদস্যসচিব সৌমিত্র দেব। তিনি বলেন, লালনের গানে কবিত্বশক্তি ও জীবনীশক্তির ভেতরে লুকানো ছিল গভীর দর্শন। হাসন রাজার প্রপৌত্র তাছাওয়ার রাজা বলেন, ‘হাসন রাজা আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা হচ্ছে, সৃষ্টিশীল মানুষই অমরত্ব লাভ করে। ’ আলোচনা শেষে উত্সবে প্রবীণ শিল্পী আব্দুল লতিফকে ‘হাসনরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। আলোচনা শেষে ছিল সংগীত পর্ব।

শুরুতে জান্নাত-ই-ফেরদৌস শোনাল ‘নেশা লাগিল রে এবং লোকে বলেরে-সহ বেশ কয়েকটি গান। হাসন রাজার মূল সুরে আব্দুল লতিফ শোনান ‘বিচার করিয়া চাইয়া দেখি’, ‘প্রেমের আগুন লাগিল রে’, ‘পাখি কইও বন্ধুয়ার লাগাল পাইলে’, ‘খোদা মিলে প্রেমিক হইলে’, ও ‘প্রেমের মানুষ নয় যারা’। বাউল মায়া রানী শোনালেন ‘বাউলা কে বানাইল রে’সহ বেশ কয়েকটি গান। তরুণ শিল্পীদের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী শুরু চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সাজ সাজ রব। ছোট ছোট প্লাকার্ড দিয়ে গ্যালারি ও সামনের চত্বর সাজানো।

একজন, দুজন করে দর্শকের সংখ্যাও বাড়ছিল। বার্জার পেইন্ট লিমিটেড বাংলাদেশ প্রতি বছরের মতো এখানে আয়োজন করেছে তরুণ শিল্পীদের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী। গতকাল সোমবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালি চৌধুরী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী রফিকুন নবী প্রমুখ। প্রদর্শনীতে রয়েছে ৪০ জন তরুণের চিত্রকর্ম।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত্ত প্রদর্শনী খোলা থাকবে। টরন্টোতে শিল্পী মহিবুল ইসলামের চিত্র প্রদর্শনী টরন্টো প্রতিনিধি জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে কানাডার টরন্টো স্কায়কোরো সিভিক সেন্টারে বাংলাদেশি শিল্পী মহিবুল ইসলামের ১৫ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শেষ হয়েছে গতকাল। ৫ ডিসেম্বর টরন্টোর বৃহত্তম সিভিড সেন্টারের গ্যালারিতে এ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অটোয়া প্রাদেশিক পরিষদের এমপি সরেঞ্জো। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল ৩৭টি শিল্পকর্ম, যাতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিমূর্ত চিত্রকর্ম ছিল। সুত্রঃ প্রথম আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২২-১২-২০০৯


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.