আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীলিমার নীলে জোনাকী গাঙচিল........

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)

বহুদূর... ভাবনা গুলো একটু একটু করে পুড়ে যাচ্ছে। আবাসের কোণায় কোণায় ছাইয়ের স্তূপ; যার মাঝে আর কোনো প্রেমাগ্নি চাপা নেই। সর্বশেষ সুখস্মৃতিও মুছে গেছে কাল রাতে থিকথিকে কাঁদার মত অন্ধকারে। যার মাঝে আর কোনো ভালোলাগা নেই। শত ক্রোশ দূরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকা চোখগুলো ভোর দেখার স্বপ্নে যেখানে ত্বরিতাখিঁ চলন।

ছাইদানি টা ভরে উঠছে নিকোটিনের লাশে শ্বেত-প্রসাদে মগ্ন চিত্তে কোনো বিকার নেই। এসব কাল রাতের ঘটনা;যখন আমি ভিজে গিয়েছিলাম নিঃসঙ্গ কান্নায়। ভোরে কোনো সূর্য ছিলো না;শুধু লালাভ আকাশ। ক্ষুদ্রপ্রায় পাখির শব্দে পাতার ঘুমও ভাঙ্গলো। বহুদূরের চোখগুলোয় ভোর পার্থিব হয়ে ছিলো; আর আমি পাপড়ির দরজায় তালা মেরে দিলাম ছাইদানিতে নিকোটিনের আরও একটা লাশ ফেলে।

============================================ রোদের মায়া একটানা হাঁটছি। মাথায় রোদের তেজ;পায়ের তলায় গলিতপ্রায় ফুটপাথ;চারপাশে তৃষ্ণার্ত কাক আর পেছনে বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ে হাঁটছি। অবিরাম হাঁটছি। বাম হাত ঘেঁষে ছুটে যাচ্ছে যন্ত্রদানব নাগরিক মিছিলের উল্টোমুখী স্রোত হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়া পরিচিতের চিমসে মুখ আর রোদের অবয়ব। দেখছি।

আর হাঁটছি। মানুষ আর কুকুরের পাশাপাশি শুয়ে থাকা কিংবা নগ্ন শিশুর তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া উচ্ছিষ্ট, কাক ও কুকুরের সাথে ভাগাভাগি করে। ইচ্ছে করে শুয়ে পড়ি কিংবা নেমে যাই ডাস্টবিনে; কতো দিন দেয়া হয় নি শান্তির ঘুম। কতো দিন খাওয়া হয় নি অমন তৃপ্তি নিয়ে। ইচ্ছে ইচ্ছে ই থাকে;আমি হেঁটে যাই রোদ পোড়া শ্রমিকের নিকষ কালো দেহ আর ঝরে যাওয়া তাঁর প্রতি ঘর্ম পানে।

মনে পড়ে,একদিন কেউ একজন বলেছিলো, রোদে হেঁটো না। কালো হয়ে যাবে। আমি হাঁটছি। অবিরাম একটানা হাঁটছি। ঝিক ঝিক ট্রেন হতে উপচেপড়া বাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে টাইগারপাস-ব্রীজ-আগ্রাবাদ ধরে হাঁটছি।

কালো হতে,রাজপথ হতে একটানা হাঁটছি। চেতনার অস্বস্তি হতে দূরে সরে যেতে রোদের মায়ায় সূর্য ছায়ায় হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছি ওপারে। যেখানে আমার মৃত স্বপ্নে রা বসবাস করে। ========================================== ভারী নিঃশ্বাস দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ফিরে যখন আসি আমার নিঃস্ব কুঠুরি তে; খুব বেশী মনে পড়ে যায় চেনা এক ভারী নিঃশ্বাস। উষ্ণ কিছু স্পর্শ-অনুভূতির দেয়াল জুড়ে নাড়া দিয়ে যায় প্রতিক্ষণ অলস সময়ের।

নিরাবরণ চিত্র আর মগ্ন আলিঙ্গন ফিসফাস স্বর্গে যাবার সে আহবান আমায় ক্লান্ত করে তোলে;আজ অলস সময়ে। খুব বেশী পেতে ইচ্ছে করে কাছে। ক্ষরণ শুধু ভেতরেই হয়;চোখে নামে না। ভারী নিঃশ্বাস নিয়ে সরে থাকে সে জন; কাছে আসে না। যুক্তবর্ণ সেজে মুক্ত হাওয়ায় আজ আমি বন্দি আর অবাক আমি আমার সাথেই অপরাধ-আবার আমি ই অপরাধী! বুঝতে পারিনি গভীরের স্পর্শ মুছে যেতে পারে কালকেউটে মানসিকতার মানুষগুলোর! বুঝতে পারিনি ক্ষুদ্রপ্রায় হয়ে গিয়েও পদদলিত হয় তিল তিল মরে যাওয়া অর্ধমৃত লাশ আর তারই স্বপ্ন বিক্রি করে হাততালি নেয় কেউ কেউ! শুধু বুঝতে পারি,সে নিঃশ্বাসে কোনো অধিকার নেই আর অন্য স্পর্শে তাতে আজ মৃত্যুর মতোন ধূসর অন্ধকার।

তবু এখনো দিনের কর্মযব্যস্ততা শেষে ফিরে যখন আসি আমার নিঃস্ব কুঠুরি তে;খুব বেশী মনে পড়ে যায় চেনা এক ভারী নিঃশ্বাস। ============================================= চিহ্ণ .................. একটা একটা করে সব'কটা বাতি নিভিয়ে দাও। এদিকের,ওদিকের,এ বারান্দার,ও বারান্দার সবদিকের সব বাতি। মোড়ের লাইটপোস্ট টাও। একেকটা বাতি একেকটা স্পন্দন, একেকটা চিহ্ণ।

আনন্দের। জীবনের। আমার কোনো চিহ্ণ প্রয়োজন নেই। আমি মৃত। পৌরাণিক কল্পনা।

গত দিবসের ভালবাসা যে চিহ্ণ রেখে গেছে আকাঙ্খার শরীরে,তার দগদগে ক্ষত শুকাবো না আরও কয়েক জন্মেও। আমার আলো চাই না,আঁধার চাই। চিহ্ণের ক্ষত কিংবা ক্ষতের চিহ্ণ চাই না, প্রেম চাই। বাঁচার মতো প্রেম চাই। নির্জন দেহে আরেক বার চিহ্ণ চাই।

প্রেমের চিহ্ণ চাই। ============================================= যাবতীয় অন্ধকারে............. আকাশের শেষ প্রান্তে,যারে দিগন্ত বলো যেখানে নীল মেঘেরা রোদ্দুর জড়ায় গায়ে, ইচ্ছে ছিলো তোমায় নিয়ে যাবো সেখানে। পাখির মতোন ডানা মেলে হাসবে তুমি আমি স্তব্ধ-বিকলাঙ্গ হয়ে যাবো সে হাসি দেখে। ঢলে পড়বো তোমার গায়ে ঠিক যেমন পড়ে পাঁড় মাতালেরা। অথবা মিশে যাবো তোমার দেহের সনে যেমন মিশে যায় মেঘ আর জল; আর মেতে উঠবো মেঘে মেঘে আদিম উল্লাসে যেমন টা করে নির্লজ্জ চড়ুই কিংবা টিকটিকি।

তুমি গিয়েছিলে। তবে অন্য কোনো হাত ধরে নীল মেঘের সে দেশে আমার চোখে অন্ধকার নামিয়ে। এখন আমি কল্কি টা ভালো সাজাতে পারি জেনেছি কতোটা জল মেশালে মদ আর মাতাল করে না। এখন খুব সহজেই ডুবে যেতে পারি ভেতরের বধ্যভূমিতে; তোমার রেখে যাওয়া যাবতীয় অন্ধকারে। যেখানে কৃষ্ণপক্ষ রোদ্দুর ছড়ায় রোজ হয়তো আজো ভালোবাসি বলে।

============================================= ============================================= =============================================

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।