আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষানীতি নিয়ে রাজনীতি



প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির খসড়াটা পড়েছি। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. জাফর ইকবালের কয়েকদিন আগে প্রথম আলোর লিখাটাটিও বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কিন্তু প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়েও দেশে রাজনীতি শুরু হয়েছে। ওই নীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বন্ধ করার কথা বলা হয়নি কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ এটির অপব্যাখা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলোতে শুধু মুসলমান নয় হিন্দুরাও ভর্তি হয়।

কারণ, মাদ্রাসার শিক্ষার মান ভালো। আমাদের মাদ্রাসাগুলোকেও মানসম্মত শিক্ষার স্তরে নিয়ে আসার কথাটাই শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে। ছোট একটি স্মৃতিচারণ করছি। গত বিএনপি-জোট সরকারের আমলে কওমী মাদ্রাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতি নিয়ে বেশ আন্দোলন চলছিল। এমনই এক সময়ে চট্টগ্রামে কওমি মাদ্রসার আলেমরা এক হয়ে একটি সমাবেশ আহ্বান করেন এবং সেখানে প্রধান অতিথি করেছিলেন জোট সরকারেরই এক মন্ত্রীকে (বিএনপি)।

ওই মন্ত্রী যথাসময়ে মঞ্চে বসে তাদের বক্তব্য শুনলেন। শেষে মন্ত্রী বক্তব্য দিতে উঠে বললেন, আপনাদের সব বক্তব্য আমি শুনেছি। আমার মতামত হচ্ছে, শিক্ষার উদ্দেশ্য যা-ই হোক, প্রচলিত দুনিয়ার সাথে যদি তাল মিলিয়ে চলার মতো শিক্ষা পাওয়া না যায় তাহলে জীবনটাকে চালাবেন কীভাবে। কওমী মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক পড়ে যা শিখছে শিক্ষার্থীরা তা দিয়ে চাকরির বাজারে অসহায়। কারণ তারা মাদ্রাসায় পড়ছে এক রকম, চাকরির ইন্টারভিউর প্রশ্ন হচ্ছে অন্যরকম।

সুতরাং আমার মতামত হচ্ছে, আপনারা আগে পড়ালেখার মাধ্যমকে মানসম্মত করুন, তারপর সনদের স্বীকৃতি পাবেন। ' মন্ত্রীর ওই বক্তব্যে তারা ক্ষুব্ধ হলেও বিষয়টি সত্য ছিল। নতুন শিক্ষানীতিতেও একই কথা বলা হয়েছে। আসল কথা হচ্ছে, এখন আমাদের একটি শিক্ষানীতি দরকার। এবং তা অবশ্য যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে রাজনীতি কাম্য নয় কারোরাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.