আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইডসের টিকা: একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার

ঝিনুকের মতো পরান খুলে দিয়েছিলাম যারে.........

গত বিশ বছরে যে ছয়টি রোগের প্রার্দুভাবে পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে এইডস্ সবচেয়ে ভয়ংকর। ১৯৮১ সালে এইডস্ আবিষ্কারের পর এই রোগে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ মারা গেছে এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এখনও প্রতিদিন প্রায় ৭৪০০ মানুষ আক্রান্ত হয়। সারা পৃথিবীতে নানা রকম প্রচেষ্টা সত্বেও এই রোগের প্রতিকারমূলক কোন ঔষধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। জনসচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল একমাত্র অবলম্বন।

সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোতে এইডস্ সবচেয়ে ভয়ংকর ভাবে আঘাত হেনেছে। কিন্তু জাতিসংঘ ২০০৮ সালের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, নতুন ভাবে বাংলাদেশ, চীন এবং ইন্দোনেশিয়াতে এইডস্ দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করছে। ২৪ সেপ্টেম্বর’২০০৯ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এইডস্ এর টিকা আবিষ্কারের জন্য পরিচালিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গবেষনার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে (এএফপি)। এই গবেষনামূলক পরীক্ষায় ১৬০০০ হাজার স্বেচছাসেবী অংশগ্রহণ করেছে। আমেরিকান সেনাবাহিনী এবং থাইল্যান্ড সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগ গবেষনাটি পরিচালনা করেছে।

বিজ্ঞানীরা এইডসের এই টিকা পুরাতন দু’টি ঔষধের সমন্বয়ে তৈরী করেছেন। ঔষধ দু’টি হলো ক্যানারীপক্স ভ্যাকসিন এ্যালভ্যাক এবং এইডসভ্যাক্স (ঈধহধৎুঢ়ড়ী াধপপরহব অখঠঅঈ এবং অওউঝঠঅঢ) । আবি®কৃত এই টিকা এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধে ৩২.২% সফলতা পেয়েছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের এইডস্ বিষয়ক দপ্তরসহ পৃথিবীতে এইডস্ বিষয়ক কর্মকান্ডে নিয়োজিত প্রায় সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে স্বাগত জানিয়েছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি ব্রেকথ্রু বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।

গত ২৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এই সফলতা পাওয়া গেছে। এই টিকার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গবেষক দল কাজ করছেন। এই গুরুত্বপুর্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার পৃথিবী ব্যাপী এইডস্ মহামারী প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা হচেছ। যদিও পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে এই টিকা সমানভাবে কার্যক্ষম কিনা তা দেখা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আরো গবেষনা করতে হবে। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক, ইউনির্ভাসিটি অফ নিউক্যাসল, অষ্ট্রেলিয়া।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.