আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুলিশ-র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বাড়লে কমে খুনের ঘটনা



অপরাধ প্রতিবেদক কুষ্টিয়ায় পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বাড়লে কমে হত্যাকান্ড। আর আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সাথে বন্দুকযুদ্ধ থেমে গেলে বেড়ে যায় খুনোখুনির ঘটনা। গত ২৫ দিনে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা পড়েছে ১৪ চরমপন্থি-সন্ত্রাসী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো এক ডাকাত। এসময় খুন হয়েছে মাত্র একজন।

আর আগের ২৫ দিনে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ২ জন, এসময় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে খুনের সংখ্যা ১৩। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো একজন। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান গত ২০ আগষ্ট কুষ্টিয়া ঘুরে যাবার পর শুরু হওয়া সাড়াসি অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধের সময় একের পর এক চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় কুষ্টিয়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো কঠোর অবস্থান নেয়ায় আবার গর্তে ঢুকে পড়েছে চরমপন্থি-সস্ত্রাসীরা। কমে এসেছে হত্যাকান্ডের ঘটনা।

অন্যান্য এলাকা থেকে ধরে এনে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটায় শীর্ষ চরমপন্থিরা শেষ মেষ ভারতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। এরপরও সাধারন মানুষের ভেতর থেকে এখনো আতংক কাটেনি। তাদের আশংকা আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো একটু ছাড় দিলেই আবার জেকে বসবে ওইসব মুর্তিমান আতংক। ঈদের সামনে করে তার বড় ধরনে দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারে বলে সাধারন মানুষের আশংকা। তবে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন খান অভয় দিয়েছেন।

ই-বার্তাকে তিনি বলেছেন আমরা প্রস্তুত আছি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গত ২০ আগষ্ট কুষ্টিয়া আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার। তারা এখানে এক সুধী সমাবেশ করেন। আইজি ঘোষনা দেন, সন্ত্রাসীরা একটি গুলি করলে পুলিশের ৫০টি করতে বাধা কোথায়। র‌্যাব প্রধান বলেন, চরমপন্থি-সন্ত্রাসীদের মদতদাতাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না, তিনি যে দলেরই হোক না কেন।

কুষ্টিয়া অঞ্চলে পুলিশ ও র‌্যাবের শক্তি বৃদ্ধিসহ তারা একযোগে কাজ করবে বলে ঘোষনাও দেয়া হয় ওই সভায়। এরপরই শুরু হয় পুলিশ র‌্যাবের সাড়াসি অভিযান। তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একের পর এক চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা মারা পড়তে থাকে। পালানো শুরু করে বাকীরা। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরের আগের ২৫ দিনে অর্থাত ২৫ জুলাই থেকে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় ১৩ জন।

এর মধ্যে চরম বিভৎসভাবে দেহ থেকে মাথা কেটে ফেলে আলাদা স্থানে রেখে দেয়া হয় ৪ জনের। ২৫ জুলাই চরমপন্থিদের গুলিতে খুন হন কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামিল হোসেন বাচ্চু। ২৮ জুলাই আইলচারা থেকে চালক কাজিবুল ইসলাম দৌলতকে হত্যা মাইক্রো নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ২৯ আগষ্ট শহরের রাজাহাট এলাকায় প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে কমান্ডো স্টাইলে রাজু নামের এক যুবককে মাথায় গুলি করে চরমপন্থিরা। ভাগ্যক্রমে বেচে আচে রাজু।

১ আগষ্ট মিরপুরের সদরপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে যুবলীগ নেতা টিপুকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় আরো দুজন। ৭ আগষ্ট রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রিফায়েতপুরে গলার ভেতরে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে নয়ন ওরফে ফিকার নামের এক যুবককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১০ আগষ্ট কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ অফিসের প্রধান ফটকের দুই গজ ভেতরে তিনটি কাটা মাথা পাওয়া যায়। নিহত তিনজনই বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির ক্যাডার।

এরা হলো-বরইটুপি গ্রামের আইয়ুব, বংশীতলা গ্রামের জোয়াদ ও ভবানীপুরের কাইয়ুম শকাতি। কাটা মাথা থেকে ১৭ কিলোমিটার দুরে সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন মাঠে একটি শসার ক্ষেতে দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। জানা গেছে, ওই এলাকা থেকেই প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা তাদের ধরে ওই মাঠের মধ্যে জবাই করে। ১৫ আগষ্ট ভেড়ামারায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কলেজ শিক্ষক বান্দা ফাত্তাহ মোহন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেরুল আলম পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

১৬ কুমারখালী-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগরে সকালে পাওয়া যায় খাইরুল নামের এক ব্যবসায়ীর কাটা মাথা। পরদিন ৪ কিলোমিটার দুরে শিলাইদহের একটি ডোবায় পাওয়া যায় তার দেহ। এদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক থেকে গলাকাটা গলিত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হয়। ১৯ আগষ্ট শহর থেকে অপহরন করে নিয়ে হত্যার পর পদ্মা নদীতে লাশ ফেলে রাখা হয় শাওন ও লিটন নামের দুই যুবকের। একই দিনে জগতি সুগার মিলের নিকটে রেল লাইনের উপর জবাই করে হত্যা করা হয় কদম আলী নামের এক জামায়াত নেতাকে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দরদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্যই কুষ্টিয়া অঞ্চলে শক্তিধর দুটি চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজ ও গণবাহিনী এসব নৃশংসতা চালাতে থাকে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত খুনের ঘটনা ঘটেছে ৬৯টি। এর অধিকাংশই চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। এদিকে ২০ আগষ্ট পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরের পর থেকে গত ২৫দিনে চরমপন্থি-সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে মাত্র ১জন। ৩০ আগষ্ট মিরপুর উপজেলার কালিনাথপুরে আব্দুর রহিম নামের এক ভ্যানচালককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

তবে নিহত ব্যক্তির শরীরে কোথাও আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। স্থানীয় একজন ঠিকাদার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্রসফায়ার থেমে যাওয়ায় সন্ত্রাসীরা গর্ত থেকে বের হয়ে এসে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দিনদিন অশান্ত করে তোলে এই জনপদ। তিনি বলেন, দেশের অন্য অঞ্চলের সাথে এ অঞ্চলের চিত্রের মিল নেই। তাই এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতিও অন্য রকম।

আমরা মনে করি সাধারন মানুষের অধিকার রক্ষা করাই হলো মানবাধিকার। যে পদ্ধতিতে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা পাবো সেটাই আমাদের কাছে কাম্য। আর এর জন্য ক্রসফায়ারের কোন বিকল্প নেই। কথা হয় একজন শিশু সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতার সাথে। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধ অব্যাহত রেখে চাপে ফেলে চরমপন্থিদের আত্মসমর্পন করাতে পারলে একটা স্থায়ী সমাধান হয়।

তবে গত ৩০ আগষ্ট স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের আত্মসমর্পনের আহবান জানালেও এখনো কেউ সাড়া দেয়নি। ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার শুরুর পর থেকে কুষ্টিয়া জেলায় এ পদ্ধতিতে মৃত্যু হযেছে মোট ৩০২ জনের। চলতি বছরে এর সংখ্যা মাত্র ১৮। যে সময়টুকু সবচেয়ে অশান্ত চিল অর্থাৎ পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কুষ্টিয়া সফরে আসার আগের ২৫ দিনে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন চরমপন্থি নিহত হয়। ০২ আগস্ট মিরপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জনযুদ্ধের ক্যাডার জাহাঙ্গীর ও ইয়ারুল।

আর তারা ঘুরে যাবার পরের ২৫ দিনে অর্থাৎ ২১ আগষ্ট থেকে গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে নিহত হযেছে ১৪জন চরমপন্থি সন্ত্রাসী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো একজন। ২২ আগষ্ট দৌলতপুর উপজেলার জগন্নাথপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলার কমিউিনিষ্ট পার্টি(এমএল জনযুদ্ধ) ক্যাডার নাহারুল নিহত হয়। ২৫ আগষ্ট কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন মহাশ্বশান এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের কমান্ডার শাহীনুর রহমান ডাবলু নামের এক চরমপন্থি নিহত হয়। পুলিশ জানায়, ২৬ আগষ্ট শহরের মজমপুরে সন্ত্রাসীদের দুইপক্ষ ও পুলিশের ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে সুমন ও সোহেল খুন হয়।

পরে ভারত থেকে ফোন করে পূর্ব বাংলার কমিউিনিষ্ট পার্টির কুষ্টিয়া জেলা কমান্ডার পরিচয়ে সাংবাদিকদের নিকট এ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। ২৯ আগষ্ট সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বামনগ্রামে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গণবাহিনীর কমান্ডার বাউল মেম্বার নিহত হয়। ০৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার কয়া এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর হরিপুর ইউনিটের অন্যতম ক্যাডার মুরাদ হোসেন ওরফে ভোলা ডাকাত নিহত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের আমবাড়িয়ায় গণবাহিনীর সিরাজ গ্র“পের নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হানা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দুর্বাচারায় জাসদ গণবাহিনী (লাল) এর অন্যতম ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশা নিহত হয়।

০৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার আমলা-মহদীপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল-লাল পতাকা)’র শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে কালো আনোয়ার নিহত নিহত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি মিস্ত্রিপাড়ার একটি বাগানে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় গণমুক্তিফৌজের ক্যাডার সোহেল আহম্মেদ ওরফে টোকন নিহত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার জিকে ক্যানেলের কাছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথদলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার জিকো পারভেজ ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর শহরতলীর বাড়াদিতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় ডাকাত রেজাউল। ১৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার আইলচারা স্টিল ব্রিজের নিকটে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা মারফত বিশ্বাস।

এদিনই শহরের হাউজিং ঈদগাহ’র পাশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ ক্যাডার বিপ্লব। ১৪ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার বেড়বাড়াদী জিকে ক্যানেলের ধারে পুলিশের সংগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে জাসদ গণবাহিনীর সামরিক কমান্ডার সমির উদ্দিন ওরফে সমির মন্ডল। এছাড়াও জোরদার করা হয়েছে নানামুখী অভিযান। গত ২৬ আগষ্ট রাতভর কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে ব্যাপক তল্লাশ করেছে শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাবের বিশাল বাহিনী। এ অভিযানে কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।

গ্রেফতার হয় বাউই ও জহুরুল নামের দুজন। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ যাবার খবর আগেই পৌছে যাওয়ায় অভিযানে বড় কোন সফলতা আসেনি। চারিদিকে নদী বেষ্টিত হরিপুর ইউনিয়নে অবস্থানকারি চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের নদী ঘাটে সোর্স বসানো আছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থার লোক নদী পার হলেই তাদের কাছে খবর পৌছে যায়। ২৮ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রাম থেকে একটি দোনলা ও দুইটি একনলা বিদেশী বন্দুকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

৩ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ পোড়াদহ্ এলাকা থেকে ৪জনকে গ্রেফতার করে। এদের নিকট থেকে উদ্ধার হয় রাইফেল, বন্দুক, রিভলভার ও সাটার গান। ৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাব শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে বিদেশী পিস্তলসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের অপরাধ বিশ্লেষন করতে গিয়ে পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এ অঞ্চলে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা যখন চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের দমনে কোন বিশেষ ব্যবস্থা (ক্রসফায়ার) গ্রহণ করে তখন হত্যাকান্ডের ঘটনা কমে আসে। আবার পরিস্থিতি শান্ত হবার পর কিছুটা ঢিলাভাব চলে আসলে সক্রিয় হয়ে ওঠে চরমপন্থিরা।

তিনি সরকারকে পরামর্শ দেন বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যাবার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.