দ্য ইনভিজিবল
যখন হিজলের বনে বৃষ্টি শেষে রাতের নিষ্তব্ধতা,
ঝিঁঝিঁপোকার মৃদু আলো জ্বলা প্রকৃতির নি:সঙ্গ প্রহরে
জোসনার নীল চাঁদোয়ায় ঢেকে যায় বন-বাদাড়
টুপটাপ ঝরে পড়ে বৃষ্টির কণা বটগাছের পাতায়।
ফসলি মাঠে ছড়িয়ে থাকে ঘোমটা পরা শস্যবধু
কৃষাণবর আগমনের অপেক্ষায় অস্থির।
দূর আকাশে উড়ে যায় নিশাচর কোন পাখি।
আমার ভাঙ্গাবুকে তখন কোন বিরহের বর্ষা হয়
বেদনার্ত মন খুঁজে ফেরে নিরাপদ আশ্রয়।
তোমার সেই হারিয়া যাওয়া শেষ হাসির স্মুতিসুধা
আকন্ঠ পান করি অবলিলায় নীলকষ্টগন্ধম।
আমি ভেঙ্গে খানখান হওয়া কাঁচের টুকরো,
ভেঙ্গে যাওয়া বাঁশের বাঁশরী।
ঝড়ে ভাঙ্গা পাখির বাসা যেন আহত মন।
আপ্নুত মন বারবার ডেকে মরে নি:সঙ্গ অরণ্যে
কোথায় সে কোকিল যে ছিল আমার বসন্তবেলায়!
কোথায় সে কবিতাপ্রহর যা রাতের নির্জনে
এখন নৈ:শব্দবতীর মহাকাল হয়ে আছে।
তুমিতো এখন রোদজ্বলা শস্যপ্রান্তর।
অরণ্যের আগুনে পোড়া আশ্চর্য ফিনিক্স পাখি।
বিচূর্ণ আয়নায় ছায়াশরীরী নারীর আধেক প্রচ্ছদ।
কিছু কল্প কিছু হাওয়ায় উড়ানো বাস্তবতা
অথবা নিতান্তই অবাস্তব দু:খপোকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।