এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো... বর্ষা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে নদীভাঙনের আতঙ্কে ভুগছেন পদ্মাপারের মানুষ। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে পদ্মার ভাঙন বেশি থাকে। এখন আষাঢ় মাস চলছে। পদ্মাপারের মানুষের এখন রাতে ঘুম হয় না।
ভাগ্যক‚ল বাজারের অর্ধেকের বেশি গত বছর পদ্মা গ্রাস করেছে। এ বছর বর্ষার শুরুতে পদ্মার তর্জন-গর্জনে এখানকার দোকানদাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের নামমাত্র অংশটুকু টিকে আছে। ইতিমধ্যে বাজারের মূল অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শেষ অংশটুকু টিকিয়ে রাখার সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।
অথচ ২শ বছরের পুরনো এই বাজারটি টিকিয়ে রাখা দরকার। ভাগ্যকূল বাজারের দোকানদারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা স্থানীয় এমপিকে দায়ী করেন। তারা বলেন, প্রচুর টাকা এ ব্যাপারে সরকারি বরাদ্দ এলেও এমপি তার দলীয় লোকদের সে টাকা ভাগ করে দিয়ে বাঁশ আর বালুর বস্তা দিয়ে নামমাত্র বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করছেন। বালু কি আর পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে পারে? দোকানদাররা এখন নিজেরাই চেষ্টা করছেন টাকা তুলে বাঁশের বাঁধ দেয়ার। এদিকে ভাগ্যকূল বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রাম মান্দ্রা, চারিপাড়া, মাগডাল, কবুতর খোলা, কেদারপুরসহ জসলদিয়া ও তার আশপাশের গ্রামগুলো ঘুরে একই চিত্র চোখে পড়েছে।
স্থানীয় বিল্লাল শেখ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে অহন আমরা নিজেরাই বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করতাছি। জানি না কী হইব! এই বর্ষাটা টিকতে পারমু কি না জানি না!’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, ‘বর্তমানে এখানকার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়। সঙ্গে সেখানে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে আশা করি পদ্মার ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।