আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রীরা নাকি দুঃখিত!



সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা। আনু মুহাম্মদ বিশ্রাম নেবেন কী, ভিজিটরদের সঙ্গে কথাই বলতে হচ্ছে সর্বক্ষণ। তবুও, যতক্ষণ ছিলাম, ওনাকে ভালই দেখাচ্ছিল। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কথা বলছিলেন। তবে ওনার উপর দিয়ে যে ধকল গিয়েছে তার চিহ্ন চেহারায় স্পষ্ট।

সবচেয়ে বেশি অত্যাচার ছিল বোধহয় মন্ত্রীদের। সারাদিনই একের পর এক মন্ত্রীরা ওনাকে দেখতে (কিংবা নিজেদের চাঁদমুখ দেখাতে) আসছিলেন। আরও ভাল হয় যদি বলি হাজিরা দিতে আসছিলেন। জ্বালানী মন্ত্রী তো একলাই এক ঘণ্টা খেয়ে ফেললেন। শুনলাম এমনভাবে কথা বলছিলেন যেন কতদিনের চেনা দু'জনে! গরু মেরে জুতা দান আর কি! তবে হাসপাতালে উপস্থিত আমরা কেউ ই একটা কথা শুনে হাসি চাপতে পারিনি।

মন্ত্রীরা যারা এসেছিলেন তারা সবাই বলেছিলেন যে আনু মুহাম্মদের এই অবস্থায় তারা নাকি দুঃখিত, মর্মাহত। এ কথায় সবার মুখেই এক চিলতে হাসি দেখা গিয়েছিল...বিদ্রুপের হাসি। অবশ্য হাসি তো পাবারই কথা। হাসবার মতনই ব্যাপার যে! এ দেশে যা কিছু ন্যায্য, যা কিছু সঠিক তার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য মানুষের উপর হামলা করা হয়; আস্কারা পেয়ে পেয়ে পুলিশদের এমনই স্পর্ধা হয় যে একজন শিক্ষকের গায়ে পা তুলতেও তারা দ্বিধা করে না; আর এইসব দেখে মন্ত্রীরা দুঃখিত হন, সমবেদনা জানান। আমাদের মন্ত্রীরা দুঃখিত।

তারা অতীতে দুঃখিত ছিলেন, তারা এখনও দুঃখিত। তারা বছরের পর বছর দুঃখিতই হচ্ছেন এবং বলাই বাহুল্য তারা ভবিষ্যতেও দুঃখিতই হবেন। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত এসব ঘটবার পরও তারা আজীবন দুঃখিতই হতে থাকবেন, আর ফলস্বরূপ ভুগতে হবে আমাদের সবাইকে। আর একটি কথা না বললেই নয়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় দর্শন পেয়েছিলাম একজন এর।

তিনি আনহা, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষক আনু মুহাম্মদকে। এই সাহসিকতার জন্য আনহা'র প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সম্মাননা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.