আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুনতাসির মামুন,শিক্ষকদের কাপুরুষতা এবং অন্যান্য



মুনতাসির মামুন একজন ইতিহাসিবদ, শিক্ষক, রাজনীতিবিদের ভাই এবং প্রগতিশীলতার ছদ্মবেশে এক চরম প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ। ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের পরম শত্রূ, পরবর্তীতে ভাইএর মতই দল বদলি চরম আওয়ামী পন্থী ( ভাই মখা আলমগীর মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি প্রভূদের সেবাদাস এস ডি ও,সময়ের সাথে তাল দিয়ে জনতার মন্চ আরএখন আওয়ামী সংসদ সদস্য। ) এসব নীতি বিবর্জিত মানুষের নীতি কথা শুনলে নিজেকে প্রতারিত মনে হয়। ২০০৭ এর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে এমন একজন সংসদ সদস্যের সাথে ঘোঁট পাকাচ্ছেন (রাশেদ খান মেনন)যার পরিবারে সব সময় সরকার দলীয় একজন নীতি নির্ধারক থাকেন। বাংলাদেশের সবচে সুবিধাভোগীদের একজন এই সাংসদের ভাইবোন পালা করে মণ্ত্রী এম পি হন, কেউ জোটের কেউ মহাজোটের, দেশের কেউ নন।

তো মুনতাসির মামুন সাহেবের যে কথা বলছিলাম, ২০০৭ এ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের একটা তুচ্ছ ঘটনাকে উসকে দিয়ে তার সহকর্মীরা দেশ ব্যপী অরাজকতা সৃষ্টি করে ছিল, এটাই প্রথম নয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের রঙিন শিক্ষকরা (সাদা, নীল,গোলাপী ইত্যাদি)এসব কাজে বরাবরই সিদ্ধ হস্ত, তবে প্রতিবারই তারা বেঁচে যান, ধরা পড়ে ছাত্ররা। শাস্তি হয় তাদেরই। এবার ঘটনাটি ঘটলো একটু আলাদা। শিক্ষকরা ধরা পড়লেন, সেনাবাহিনীর জেরার মুখে সাহস হারিয়ে দোষ কবুল করলেন। অথচ এ সব মহারথিরা নিজেদের কখনও মাষ্টারদার উত্তরসুরী মনে করেন।

তত্বাবধায়ক সরকার সবচে' বড় ভুলটি করে এসব জল স্বভাবের মহাপুরুষদের ক্ষমা না করে। ওই সময় ক্ষমা করে দিলে এসব কাপুরুষের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তখনই শেষ হয়ে যেত। মুনতাসির মামুনের একটি কথা বলি, ২০০১ এর নির্বাচনে তিনি মখা আলমগীরের নির্বাচনী এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখলের জন্যে সেনাবাহিনীর ক্যম্প কমান্ডারকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে বিব্রত হন। তার চাতুরি ধরা পড়ে যায। বুদ্ধিজীবিদের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি অগ্রহনযোগ্য।

তার ভন্ডামি স্বল্প শিক্ষিত সেনাবাহিনী কেন ধরবে? এই ক্ষোভ থেকেই জাতিসংঘ বাহিনীতে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহনকে তিনি ভাড়া খাটা বলে তুচ্ছ করতে চান। দেশের জন্যে সেনাবাহিনীর অর্জন ও উপার্জনকে কটাক্ষ করেন অথচ একটি বিশেষ দূতাবাস থেকে মাসোহারা নিতে বাঁধেনা। বিডিআরের হত্যাকান্ডের পর শহীদ পরিবার গুলির প্রতি এখন পর্যন্ত সহমর্মীতা প্রকাশ করতে দেখিনি এই মহানায়ককে, অথচ বিডিআর পুনর্গঠনের সংবাদে তিনি বিচলিত, নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে তিনি ক্ষুদ্ধ। সেনাবাহিনীর নাম পরিচয়ে তিন উত্সাহী, আর শিস্যদের বলেন সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই এ দেশে। হায়রে ইতিহাসের শিক্ষক, ইতিহাস ও তাকে কিছু শেখাতে পারেনি।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.