আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রায়াল ভার্সনকে পরিণত করুন ফুল ভার্সনে!

ভাবতে ভালোবাসি

ট্রায়াল ভার্সন (Trial Version) হল কোন সফটওয়্যারের (Software) এর এমন একটি সংস্করণ, যেটি ব্যবহারকারী সীমিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন কিছু সফটওয়্যারের ট্রায়াল ভার্সন ইনস্টল করার পর 10 দিন, 15 দিন বা 30 দিন পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যায়। আবার কিছু সফটওয়্যারের ট্রায়াল ভার্সন করার পর 10 বার, 15 বার বা 30 বার পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যায়। আবার এমন কিছু সফটওয়্যার আছে, যাদের ট্রায়াল ভার্সনে উভয় প্রকার সীমাবদ্ধতাই বিদ্যমান। সীমাবদ্ধতা যেরকমই হোক না কেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসব সফটওয়্যারের আর কোন রকম কার্যকারিতা থাকে না।

এরকম অবস্থায় কোন সফটওয়্যার পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলে হয়তো রেজিস্ট্রেশন কী (Registration Key) প্রবেশ করিয়ে একে সক্রিয় (Reactive) করতে হয়, অথবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে এর ফুল ভার্সনটি ক্রয় করে তা ইনস্টল (Install) করতে হয়, আর নয়তো উইন্ডোজ (Windows) রি-ইনস্টল করে ঐ ট্রায়াল ভার্সনটিই পুনরায় সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এই তিন পদ্ধতি ছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই এসব ট্রায়াল ভার্সনকে প্রায় ফুল ভার্সনের মত ব্যবহার করা যায়। তবে এর জন্য আপনার কম্পিউটারের অন্তত একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (Hard Disk Drive) (যে ড্রাইভে আপনি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করবেন – সাধারণত C ফ্রিজ (Freeze) করা থাকতে হবে। http://www.faronics.com এই ওয়েব সাইট থেকে প্রাপ্ত ডীপ ফ্রিজ (Deep Freeze) সফটওয়্যারটি দিয়ে আপনি আপনার কম্পিউটারকে ফ্রিজ করতে পারেন। আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগা খুব স্বাভাবিক যে, ডীপ ফ্রিজ কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? ডীপ ফ্রিজ হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারকে অনাকাংখিত পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করে।

ব্যাপারটা এরকম যে, আপনি কোন একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভকে ফ্রিজ করার সময় এতে যেসকল ফাইল-ফোল্ডার (File-Folder) থাকবে, বা এতে যেসকল সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকবে, একবার ফ্রিজ করার পর আপনি সেগুলো যতই পরিবর্তন করুন না কেন, কম্পিউটার রিস্টার্ট (Restart) করা মাত্রই সব আবার আগের মত হয়ে যাবে। অনেক দেশেই প্রায় প্রতিটি সাইবার ক্যাফের (Cyber Cafe) কম্পিউটারগুলোতে ডীপ ফ্রিজ ইনস্টল করা থাকে। এর ফলে সারাদিন যত ব্যবহারকারী যত রকম সফটওয়্যার এতে ইনস্টল-আনইনস্টল করে, যত ফাইল-ফোল্ডার কাট-কপি-পেস্ট (Cut-Copy-Paste) করে, দিন শেষে কম্পিউটার রিস্টার্ট করার সাথে সাথে সব ফ্রেশ হয়ে ডীপ ফ্রিজ ইনস্টল করার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। কাজেই আপনি যেসকল সফটওয়্যারের ট্রায়াল ভার্সনকে ফুল ভার্সনের মত ব্যবহার করতে চান, সেগুলো ইনস্টল করার আগেই ডীপ ফ্রিজ ব্যবহার করে আপনার কম্পিউটারের C: ড্রাইভটিকে (রুট ড্রাইভ) ফ্রিজ করে নিন। এরপর যখন খুশি ট্রায়াল ভার্সন ইনস্টল করে তা ব্যবহার করুন।

10 দিন, 15 দিন বা 30 দিন নয়, 10 বছর, 15 বছর বা 30 বছর পেরিয়ে গেলেও এর মেয়াদ ফুরাবে না। কারণ রিস্টার্ট করার সাথে সাথেই উইন্ডোজ ভুলে ভুলে যাবে যে, আপনি ঐ ট্রায়াল ভার্সনটি ইনস্টল করেছিলেন। ফলে প্রতিবারই উইন্ডোজ ঐ ট্রায়াল ভার্সনটিকে একটি নতুন ইনস্টল করা সফটওয়্যার হিসেবে গণ্য করবে। এ পদ্ধতিতে সমস্যা একটাই – সেটা হল প্রতিবার প্রয়োজনের সময় আপনাকে নতুন করে ট্রায়াল ভার্সনগুলো ইনস্টল করতে হবে। কাজেই যে সব সফটওয়্যার বেশ কয়েকদিন পরপর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত কার্যকর।

ডীপ ফ্রিজ সফটওয়্যারটা ইনস্টল এবং ব্যবহার করা খুবই সহজ। এর নতুন সংস্করণগুলোতে কিছু জটিলতা থাকলেও পুরানো সংস্করণগুলো খুবই সিম্পল। এখানে আমি আপনাদের জন্য ডীপ ফ্রিজ 5.70 ভার্সনের লিঙ্ক দিলাম Click This Link এর সাইজ মাত্র 2.35 মেগাবাইট। এটি ইনস্টল করার সময় আপনাকে ঠিক করে দিতে হবে আপনি কোন কোন ড্রাইভ ফ্রিজ করে রাখতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু আপনার রুট ড্রাইভের (যে ড্রাইভে আপনি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করবেন – সাধারণত C আইকনের পাশের চেকবক্সে টিকমার্ক দিতে হবে।

আপনি যদি ভুলক্রমে D: বা E: এর পাশে টিকমার্ক দেন, তাহলে ঐ ড্রাইভগুলোও ফ্রিজ হয়ে যাবে এবং এরফলে আপনি ঐ সব ড্রাইভে কোন কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না। ডীপ ফ্রিজ সফটওয়্যারটিকে আপনি ইচ্ছে করলে বিকল্প এন্টিভাইরাস (Anti-virus) হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুন : Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.