আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গঃ ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতাবোধ ও রাষ্ট্রীয় আচার

সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!!

পৌরাণিক কাহিনী বা যাত্রাপালাগুলোতে দেখি পুরনো দিনে রাজা-বাদশাহরা কারো উপর খুশি হলে তাঁকে দেদারসে ধনরত্ন উপহার দিতেন। কোন কবি তাঁকে নিয়ে প্রশংসাসূচক কবিতা রচনা করলে বা কোন নর্তকী নেচেগেয়ে তাঁকে খুশি করতে পারলে তাদের বহু স্বর্ণমুদ্রা দিতেন। নিজের জন্মদিন বা কোন যুদ্ধ জয় করলে বা তাঁর ব্যক্তিগত কোন খুশি উপলক্ষ্যে রাজকোষ থেকে দেদারসে অর্থ বিলাতেন। শুধু যাত্রাপালা নয়, বাস্তবিক অর্থেই তাঁরা এমনটা করতেন। রাজকোষের অর্থকে নিজেদের ইচ্ছামাফিক যেমন ইচ্ছা তেমন লুটাতেন, বিলাতেন।

এনিয়ে কোন প্রকারের জবাবদিহিতা বা প্রশ্ন ছিলনা। কারণ তখনকার রাষ্ট্রের কাঠামো বা রাষ্টের আচারে রাজকোষ ছিল সম্পূর্ণ শাসকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তিনি এ কোষ নিয়ে নিজের মর্জিমাফিক যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেন। গত ৭ জানুয়ারী, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ গঠিত মন্ত্রীসভা-কে চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে পৌরাণিক কাহিনীর রাজাদের খেয়াল-খুশির আরেক চর্চা দেখতে পাই। দিনবদলের মন্ত্রীসভা বলে কথিত এ মন্ত্রীসভার সদস্যদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিগত সময়ে খুশি করতে পেরেছেন বা তার আশেপাশে থেকেছেন তিনি তাদের এ মন্ত্রীসভায় ঠাই দিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীসভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন এমন একজন ব্যক্তি যার আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই অর্থাৎ যিনি সংসদ নন। এটা সংসদ তথা সংসদ সদস্যদের পরিহাস করা ছাড়া আর কিছুই। এ সংসদেই জনগণের নির্বাচিত অনেক সদস্য আছেন যারা এ পদটি সামলানোর মতো যোগ্যতা রাখেন। অথচ তাদেরকে পাশ কাটিয়ে তিনি একজন অনির্বাচিত ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এর একটাই কারণ এ ব্যক্তিটি গত দু' বৎসর যাবত তার মামলাগুলো পরিচালনা করেছেন।

ঠিক তেমনি প্রশাসন সম্পর্কে কোনরূপ ধারণা না থাকা সত্ত্বেও তিনি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক-কে পূর্ণ মন্ত্রী মর্যাদায় উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। কারণ জেলে থাকাকালীন এই লোকটি তাকে চিকৱসা সুবিধা দেওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করেছিলেন। একইভাবে প্রশাসন বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এবং প্রথমবারের মতো নির্বাচিত দু'জন ভদ্র মহিলাকে তিনি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এদের একজন তাঁর মামলাগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান কৌশলীকে টুকটাক সহায়তা করেছেন। লোকমুখে শুনি ওনি নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবীও বটে।

দ্বিতীয়জন বিভিন্ন আন্দোলন ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে একান্ত অনুগতের ন্যায় অবস্থান করেছেন। উপরের নাতিদীর্ঘ আলোচনা হতে বুঝা যায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভায় এ সমস্ত সন্মানীতদের স্থান দিয়ে তাদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আবার অনেককে তাঁর প্রতি অনুগত থাকার পুরস্কার দিয়েছেন। যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার বিষয়টি এখানে গৌণ ছিল। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্রে শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে যেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগত সুবিধা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

কারণ রাষ্ট্র এখন আর কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। রাষ্ট্র সম্পূর্ণই জনগণের সম্পত্তি। সরকার প্রতিনিধি মাত্র। রাজনৈতিক বিবেচনায় চরম বিরোধীও যদি যোগ্যতাসম্পন্ন তবে তাঁর যোগ্যতাকে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারে কোন বাধা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজ দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বারাক ওবামাকে সিনেটর হিলারী ক্লিনটনের সাথে তীব্র প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে।

বলা যায় চূড়ান্ত নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সিনেটর ম্যাকেইন তাকে যতোটা না বেগ দিয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি বেগ দিয়েছেন প্রাইমারী নির্বাচনে সিনেটর হিলারী। অথচ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বারাক ওবামা তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে তার সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পদে নিয়োগ দিলেন। কারণ একটাই, পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে হিলারির অভিজ্ঞতাকে তিনি রাষ্ট্রের কল্যাণে ব্যবহার করতে চেয়েছেন। অথচ তিনি কিন্তু ইচ্ছা করেলেই তাঁর ক্যাম্পেইন ম্যানেজম্যান্টের সাথে জড়িত কাউকে এ পদটা দিতে পারতেন। দেননি, কারণ দায়িত্ব ও দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নিতান্ত কৃতজ্ঞতাবশে এবং আনুগত্যের কারণে এদের নিয়োগ দিলেও তারা যদি স্বক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতেন তাহলে তাঁরা কিভাবে এ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠতনা। আমার মনে হয় এ যোগ্যতা প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত সময়ও তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু তারা কি তা করতে পেরেছেন? আমরা জানি আধুনিক কুটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সত্য বা মিথ্যা যেকোন প্রকারেই নিজ দেশের স্বার্থরক্ষা করা। নীতি-নৈতিকতার কোন স্থান নেই। দেশের স্বার্থরক্ষার খাতিরে ডিপ্লোমেট-কে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানাতে হয়।

ঠিক যে কাজটি এ মুহুর্তে সফলভাবে সম্পন্ন করছেন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। বিষয়টি নিয়ে এদেশে অনেক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন এনিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন। নিজ দেশের পক্ষ্যে সাফাই গাইছেন। অথচ আমাদের দিনবদলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এটিকে আন্তজার্তিক পর্যায়েতো দুরের কথা ভারতের কাছেও আমাদের বক্তব্য ঠিকমতো উপস্থাপন করতে পারছেন না। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ০৬ মাসের মধ্যে সরকারি খরচে প্রায় ১৫টি দেশ সফর করলেও রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফেরত প্রসঙ্গে এ পর্যন্ত কোন বক্তব্য বা উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন বলে শুনিনি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে মন্ত্রীসভা গঠন করা হল। আমরা সবাই আপ্লুত হলাম। ভুলে গেলাম বা এখনও ভুলে আছি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন টেকনিক্যাল লোক। অথচ আপনি যদি খুজ নেন তাহলে দেখবেন এই মন্ত্রীসভার অর্ধেক সদস্যও নিজের মেইলটিও নিজে করার যোগ্যতা রাখেননা। এই সরকারের একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শপথ গ্রহণের পর দোয়া নেয়ার জন্য মধ্যযুগীয় কায়দায় এক মধ্যযুগীয় ফকিরের কাছে গেলেন।

এটা দ্বারাই বুঝা যায় তিনি কতোটা ডিজিটাল মন-মানসিকতার। যাহোক, এনিয়ে বেশি কথা বলা উচিত নয়। কারণ এটা সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত জীবনাচারণ। তবে গত ছয়মাস তিনি যে দায়িত্বে ছিলেন তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা বা প্রশ্ন তুলা যায়। দায়িত্বগ্রহণের পরেই তাঁকে বিডিআর বিদ্রোহের মতো একটি মর্মান্তিক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।

পৃথিবীর যেকোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে হলেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বা এর সাথে রিলেটেড সংস্থার প্রধানকে পদত্যাগ করতে হত। আমাদের দেশে এ কালচার নেই। তাই তিনি পদত্যাগ করেননি। তার গোয়েন্দা প্রধানদের কেউও পদত্যাগ করেননি বা কোন শাস্তির সম্মুখীন হননি। তবে ঘটনার প্রায় ছয় মাস পরে তিনি বুঝতে পারলেন যে, গোয়েন্দ সংস্থার ব্যর্থতার কারণেই এ বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়েছে।

বটে, সত্য কথা। কিন্তু এ গোয়েন্দাদের পরিচালনা করা কার দায়িত্ব? কে তাদের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা? নিঃসন্দেহে আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই নয় কি? কাজেই গোয়ান্দের এ ব্যর্থতাতো প্রকৃত অর্থে তাঁরই ব্যর্থতা। গত শুক্রবার কারওয়ানবাজারে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। অথচ আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাঁরা নিজ অভিজ্ঞতার আলোকেই বুঝতে পারি এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

প্রতিদিনই ঢাকা শহরে এ ধরণের অসংখ্য খুনের ঘটনা ঘটছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, রাহাজানি, ডাকাতি দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা বা জীবনধারণ এখন অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক দুর্নাম থাকলেও তাদের সময়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নত ছিল, সাধারণ মানুষের চলাফেরা বা জীবনের নিরাপত্তা ছিল। কিন্তু এখন আর আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে কিংবা সাধারণের নিরাপত্তা আছে বলে মনে হয়না।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আসলেই বিচ্ছিন্ন। তবে ঘটনাগুলো নয়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন মাননীয় মন্ত্রী নিজে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ জনগণ থেকে। এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে বর্তমান বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারবেন না।

নিজেকে শুধু জনবিচ্ছিন্নই করতে পারবেন। এবার আসা যাক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের বিষয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা কেউ নির্বাচিত নন। এদের কেউ হচ্ছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, কেউ আবার বিগত নির্বাচনে তার দলের নীতি-নির্ধারণে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রত্যেকেই অবসরপ্রাপ্ত আমলা।

তাদের কোন সুনির্দিষ্ট কার্যবন্টন বা কার্যপরিধি নেই। কার্যবন্টন বা কার্যপরিধি কোন কিছু না থাকলেও তাঁদের মর্যাদা পূর্ণ মন্ত্রীর সমান। তারা পূর্ণ মন্ত্রীর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। মন্ত্রীর মতোই তাদের রয়েছে পিএস, এপিএস, পিআরও এবং প্রিভিলেজ স্টাফ। অর্থাৎ একজন মন্ত্রীকে পোষতে জনগণের যে পরিমান টাকা খরচ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পোষতেও জনগণের সে পরিমান টাকা খরচ হচ্ছে।

অথচ বিপুল টাকা দিয়ে পোষা এ উপদেষ্টাদের কোন সুনির্দিষ্ট কার্য নেই। হ্যা, কাজের মধ্যে একটা কাজ থাকতে পারে তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর উপর খবরদারি করা। ঠিক এমনই একটি তথ্য সরকার দলীয় সদস্য জনাব রাশেদ খান মেনন গত সপ্তাহে সংসদে উপস্থাপন করেছেন। বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, সামগ্রিক কর্মকান্ডে মনে হয় বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীর কোন ক্ষমতা নেই। সমস্ত ক্ষমতা ও তদারকি যেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহীর হাতে।

ঠিক একই রকমের ঘটনা বা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হয়তো অন্যান্য মন্ত্রণালয়েও ঘটছে। যদি বাস্তবিকই তেমনটা ঘটে তবে সরকারের সর্বত্র সমন্বয়ের অভাব দেখা দিবে এবং সরকারি কর্মে বিশৃংলা এবং স্থবিরতা দেখা দিবে। এসবের কিছু নমুনা অবশ্য আমরা ইতোমধ্যেই পাচ্ছি। রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যক্তিপ্রিয়তা বা ব্যক্তি অনুগ্রহের কোন স্থান নেই। এখানে তাকেই দায়িত্ব প্রদান করা উচিত যে ব্যক্তি ঐ কার্যটি সম্পাদনের যোগ্যতা রাখেন।

কোন ব্যক্তি বিশেষ সময়ে আমার উপকারে আসতেই পারেন। তাই বলে আমি এর প্রতিদান রাষ্ট্রীয় পদ প্রদানের মাধ্যমে দিব তা কোন অবস্থায়ই নৈতিক নয়। ব্যক্তির কৃতজ্ঞতা ব্যক্তির মাধ্যমেই প্রকাশ করা উচিত, রাষ্ট্রের মাধ্যমে নয়। তথাকথিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে যেয়ে কিছু অনভিজ্ঞ ও অনির্বাচিত লোকদের রাষ্ট্রীয় পদ প্রদান করে প্রশাসনে তিনি যে স্থবিরতা এনেছেন তার কিছুটা নজির আমরা ইতোমধ্যেই পাচ্ছি। তবে খুব বেশি দেরি হয়নি বা সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।

আমার মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এখনও ব্যক্তিপ্রিয়তার উপরে ওঠে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য পদ প্রদান করেন তবে এই স্থবিরতা ও সমন্বয়হীনতা কাটানো সম্ভব। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল। একটা কথা বলা হয়, আওয়ামী যখন জিতে তখন একাই জিতে। আর যখন হারে তখন পুরো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই হারে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আর হারতে দেখতে চাইনা।

তাই একান্তভাবেই আশা ও প্রার্থনা করি গত ছয় মাসে সরকারের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার যে কারণগুলো উপরে বর্ণনা করা হয়েছে সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিবেন এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।