আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিশুতি রাতের কাব্য

মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে...

তিনটে শব্দ মাঝরাত্রিরে নিরালা বনে, পথ হারিয়ে এদিক ওদিক তাকায় ক্ষণে ক্ষণে এক শব্দের কর্তব্যজ্ঞান হঠাৎ উঠলো টনটনিয়ে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই যে রাত্রি হয় - সে কথা দিল স্মরণ করিয়ে। শোনা মাত্র অন্য দুজন তাকালো কটমটিয়ে। পথের খুজে ফিরে যখন তারা ক্লান্ত হঠাৎ শুনে কাছেপিঠে আলাপনের শব্দ। এক শব্দ ফিসফিসিয়ে বললো সাহস করে, "শুনছ?, ওগো কে তুমি দাওনা বলে," আরেক শব্দ উঠলো বলে, "ঝিঁঝি ভায়া ওকি তুমি?" শুনে ঝিঁঝি বললো রেগেমেগে মাধবীর সাথে করছি প্রেম, যা ভাগ দূরে।

ওরি বাবা! এখন কি হবে? তাদের কথা বনমল্লিকা শুনছিল নীরবে সুযোগ বুঝে সেও উঠলো হা হা করে হেসে। পত্রপল্লব ও ফাঁকতালে গাইলো মড়মড়িয়ে শুনে, শব্দ তিনের আত্মারাম গেল খাঁচা ছেড়ে। শশী তার গাইছিল গান এতক্ষণ আপন মনে। হাসছিল মিটমিটিয়ে, তার রুপ ভক্তদের প্রেমনিবেদন শুনে। কখন যেন সেও গিয়ে মুখ লুকালো মেঘেরও আড়ালে।

উপায় না দেখে যখন তারা দিশেহারা দেখলো তারা বনের মাঝে- এক কুটিরের খোলা জানালা। নেমে গেল তারা টপটপিয়ে সেই খোলা জানালা পেরিয়ে। এদিকে সেই জানালায় সারারাত ধরে বসা ছিল একজন। অভিমানী শব্দদের অনেক ডেকেও সারা না পেয়ে সে জানালা খোলা রেখেই শুয়ে পরেছিল। সকাল উঠে সে দেখে তার খোলা খাতায় তিনটে শব্দ শব্দ তিনটে, 'নিশুতি রাতের কাব্য'' : মামা, তারপর? : তারপর? তারপর সে সেটা একটা ব্লগে পোষ্ট করলো।

নে, ঘুমো এবার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।