আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসুন্ধরার 'সবুজে সাজাই পৃথিবী' কর্মসূচির যাত্রা

নতুন কর্মসূচি চালু করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। 'সবুজে সাজাই পৃথিবী' এ স্লোগান নিয়ে এবার বিনামূল্যে সবুজ বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে এ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশসহ বিশ্বময়। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বসুন্ধরার কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান-এর নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনুন্নত জনপদ বাঞ্ছারামপুর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

প্রথম দফায় ৩ হাজার বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষ বিতরণের মাধ্যমে সবুজে সাজাই পৃথিবীর যাত্রা শুরু হলো। এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুধু বাঞ্ছারামপুরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বাংলাদেশের সবখানেই চলবে এ কর্মসূচি। বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ মার্কেটিং প্রমোশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম হেলালী জানান, বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে উপজেলার ৮৬০টি দরিদ্র পরিবার ও ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৩ সহস্রাধিক ফলদ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ বিতরণ করা হয়।

উপজেলার দুর্গারামপুর গ্রামে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে 'সবুজে সাজাই পৃথিবী' কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচিতে সহায়তা করছে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা সিমেন্ট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক যুগ্ম সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। রোপণের পাশাপাশি গাছের নিবিড় পরিচর্যা জরুরি। বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবদুল মালেক বলেন, সরকারি বন বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।

আপাত দৃষ্টিতে এই কর্মসূচির আর্থিক মূল্যমান কম মনে হলেও এর সুদূর প্রসারী প্রভাব রয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ মার্কেটিং প্রমোশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম হেলালীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক সাইফুল্লাহ তালুকদার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবদুল মালেক, কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মাহমুদ কবির, বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের শীর্ষ বাণিজ্য গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের জন্মস্থান বাঞ্ছারামপুরে। এ এলাকা আদর্শ এলাকা হিসেবে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

অবহেলিত এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক, শিক্ষার মানন্নোয়নে স্কুলে মিডডে মিল প্রদান, শীতার্তদের জন্য গরম কাপড় বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে বসুন্ধরা গ্রুপ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ২০০৫ সালে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। দারিদ্র্য বিমোচনে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন পশু পালন, ক্ষুদ্র ব্যবসাসহ ৩৩ খাতে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে আসছে। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১১৮টি গ্রামের মধ্যে ৭২টি গ্রামে এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ৭ হাজার ১৬৭ পরিবারকে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করেছে।

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন এ ঋণ প্রদানের দিন থেকে পরবর্তী তিন মাসে কোনো কিস্তি আদায় করা হয় না। তিন মাস পর থেকে ৫০টি সমান সাপ্তাহিক কিস্তিতে আদায় করা হয়। ঋণ পরিশোধ সাপেক্ষে আবার ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঋণ প্রদানের সময় কোনো রকম জামানতও নেওয়া হয় না।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.