আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিফার পোশাক রহস্য

/

’জানেন, গতকাল বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম ! বাচ্চাদের নিয়া গেলাম !’ সোহেলের ভাবখানা কথা বলার সময় এমন থাকে যেন বাণিজ্য মেলা যাওয়া কোন বিশাল কিছু। আমরাও ততখানি ভাব নিয়া বলি ‘তাই নাকি ! আমরা না এখনও যাইনি। ’ ‘বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু কিনলাম। নিজের জন্য তেমন কিছু পেলাম না। আসলে অর্জিনাল চেনা খুব মুশকিল।

এই যে শার্টটা দেখছেন এইটার দাম আটচল্লিশশো টাকা। ’’ তো আমাদের একজন বললো, ‘ও !!!!!!!! তাই যেন একটু কেমন কেমন লাগছে !’ আরেকজন, ‘ভাই, পাঁচশো টাকার ওপরে আমি তেমন শার্ট পড়ি না। আমি তাই বুঝতে পারতাছি না। ’ সোহেল আমাদের মাঝে মাঝে গার্মেন্টেস্-এর শার্ট কম টাকায় বিক্রি করে। কিছু সাদা শার্ট দেখছিলাম।

তার চাপাবাজি নিয়ে মৃদুলের আগে ধারণা ছিল না। মৃদুল বললো, ‘ভাই, আপনি কি আগে নিটিং-এ কাজ করতেন ?’ সোহেল খুব আক্ষেপের সুরে জানায়, ‘ আর ভাই কি বলবো সেই কথা, আমি আগে নর্দান নিটিংসে ছিলাম। ওখানের এমডি সারা জীবন আমার কথা মনে রাখবে। এখনও ফোনে আমার বাচ্চাকাচ্চার খবর নেয়। ঐ সময় আমি একটা ভুল করছিলাম।

একটা থানের রোলে ১০০% কটন দেবার কথা ছিল। ভুল কইরা ৫০ % কটন আর ৫০% পলিস্টার পইড়া গেছিল। কাপড় হবার পর এমডি কয়, সোহেল তুমি এটা কি বানাইছো ? একপাশে খসখস অন্যপাশে তুলাতুলা। জানেন সেই রোলের কাপড় দিয়াই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম জার্সি বানায়! ফিফার খেলোয়াড়রা যে জার্সি পড়ে ঐটাও এই কাপড়েরই !’ সোহেল প্রচন্ড খুশির সাথে বলে,‘এমডি সাহেব খুশি হইয়া নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছেন---------------!!!!!!! ‘ফিফার খেলোয়াড়রাও আপনার ভুল করা জার্সি পরে ? !!’ ‘হ্যাঁ। আমি হাত দিয়া দেখছি।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.