আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রদল শাহবাগে যাবে না এটা তার দলীয় স্বাধীনতা তাতে বাকশালী ও প্রআলোর গত্রদাহ কেন?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ শাহবাগের গণ জমায়েত হওয়া নিয়ে বিএনপি ও এর ছাত্র সংগঠন দলীয় ভাবে এর বিরুদ্ধে কিছু বলছে তা আমার জানা নেই। কারো যেমন সভা, সমাবেশ করার অধিকার আছে ঠিক তেমনি কেউ না যাবে সেটাও তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা। তাই কেউ গেলে যেমন এর বিরুদ্ধে বলা নৈতিকতা না তেমনি কারো না গেলেও তাকে কটাক্ষ বা গালি দেওয়াও নৈতিকতার মধ্যে পরে না। কিন্তু অতীতের বদভ্যাসের কারণে আজকে বিএনপি ও ছাত্রদলকে অহেতুক এই নিয়ে গালাগালি করছে আওয়ামী-বাকশালী ও সমমনা সুশীল গং। অথচ হাসিনার ৭১এর ঘাতকদের বিচারের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি।

শুধু বলেছে এটা যেন সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানদন্ডে হয়। কিন্তু বাকশালী গং এটা মানতে নারাজ। তাদের কথা হল তারা যেভাবে চায় সেভাবেই বিএনপিকেও মানতে হবে। মনে হয় বিএনপি তাদের ক্রীতদাস। যদি আমরা ১৯৯১, ৯৬, ২০০১ ও ২০০৮তে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার দেখি তাতে ৯১ বাদ দিলেও বাকী তিনটি নির্বাচনের কোনটিতেও খালেদা জিয়া বলেননি যে তারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।

তারপরেও বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ বিএনপিকে ভোট দিছে। তাই বিএনপি কোন পানিতে ভেসে আসা জনসমর্থনহীন কোন দল নয়। এই দেশের বাকশালী ও সমমনা জ্ঞানপাপী কুলাঙ্গারগণ তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার মতলবে কোন বিশেষ ইস্যুতে বিএনপি ও ছাত্রদলকে যেতেই হবে তা সভ্য জগতে ভাবা অকল্পনীয়। এটা কেবল মাত্র জংলী আইনেই সম্ভব। যেমন আমরা মুজিব আমলে দেখেছি তার ভাগ্নে শেখ মণি বলত; আইনের শাসন নয়, মুজিবের শাসন চাই! তাতে ঐ সময়কার সে নিজে(মণি) সহ তার মামা শেখ নাসের, গাজী গোলাম মোস্তফা গংদের চুরি, বাটপারি ও হরিলুটের সুযোগ বহাল থাকে।

মুজিব আমলের প্রথমে বিচারপতিদের স্বাধীনতা থাকলেও বাকশালী আইন দ্বারা তাদেরকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা নিয়ে নেয় জাতীয় সংসদ। কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বলেন সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গড়েই কেবল একজন বিচারপতিকে অপসারণ করা যাবে। শুধু তাই নয় একদলের বদলে বহুদল, ৪টির বদলে বহু সংবাদপত্রের পুনঃ প্রচলন ঘটান জিয়া। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির বদলে চাউল রফতানীর দেশে পরিণত করেন। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে।

তাই দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দলে পরিণত হয় বিএনপি। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে আলীগ নিজেরা সরকার গঠনের জন্য জামাতের সমর্থন না পেয়ে তাদেরই সমমনা বুদ্ধিজীবি দিয়ে ঘাদানিক গঠন করে। ১৯৯২-৯৫ প্রচন্ড জামাত বিরোধী তথা ৭১এর ঘাতকদের বিচার দাবী করলেও যেই জামাত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে আলীগের সাথে যোগ দেয় তখন আলীগ ও তার মদদপুষ্ট ঘাদানিক মুখে কুলুপ আটে। তাই হাসিনা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে যুদ্ধাপরাধের ইস্যু ধামাচাপা দেয়। এই কারণেই ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কোন বিচার হয়নি।

এরপর জামাত যখন বিএনপির সাথে এসে চারদলীয় জোটে যোগ দেয় তখন আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যু পুনুরুজ্জীবিত করে আলীগ। এরপর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১/১১ ঘটিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে ২৩০টি সিট জিতে ক্ষমতায় আসে হাসিনা। প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরবর্তী এই বিচারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও একে যুদ্ধাপরাধের বিচার না বলে মানবতা বিরোধী বিচার নাম দিয়ে ICT গঠন করে। হাসিনা তখন বিদেশী বিশেষ করে মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ষ্টিফেন র‌্যাপের কাছে বলে; Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina says her country’s first ever war crimes trial relating to the 1971 war of independence will be fair, impartial and conform to international standards—this according to the Bangladeshi newspaper The Daily Star. According to the paper, the Prime Minister made the comments to US ambassador-at-large for war crimes Stephen Rapp on Tuesday in Dhaka, following his pointed criticism of the judicial process. Click This Link কিন্তু যে কারণেই হৌক হাসিনার সরকার তা না করে জগা খিচুড়ী করে ফেলে।

বলা হয় যে এটা দেশীয় ফৌজদারী বিধি মোতাবেক হবে। আমাদের দেশের ফৌজদারী আইনে চাক্ষুশ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য ছাড়া কাউকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন দেওয়া যায় না। বরং বেনিফিট অব ডাউট দিয়ে বিচারক খালাস দেন। আর কেউ মিথ্যা স্বাক্ষী দিলে তার শাস্তি হয়। কিন্তু দেখা যায় যে এই বিধানও রাখেনি।

কিন্তু যখন খালেদা জিয়া বলেন যে তথা দাবী করেন যে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বিচারের তখনই আওয়ামী-বাকশালী গং ঘেউ ঘেউ করে মিথ্যা কথা বলে যে বিএনপি বিচার চায় না? এরই নাম হল আজব দুনিয়া। খালেদা জিয়া এই বিচার শুরু হওয়ার পর কখন বলল বিচার বাতিলের? নাকি বলছে যে এমন বিচার হয় যেন সেটা সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হয়। হাসিনা যা পূর্বে বলছে তখন কোন প্রতিবাদ হয়নি বা আলীগের কেউই তাকে কোন বাজে কথা বলেনি তবে এখন কেন খালেদা জিয়া বা বিএনপিকে গালাগালি করা হচ্ছে? এতেই আওয়ামী-বাকশালীদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পরিস্কার যে তারা নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও ন্যায্য বিচার না করে নোংরা রাজনীতির মাধ্যমে পানি ঘোলা করে তাদের পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাবস্থা পাকাপোক্ত করতে চায়। তারা ইদানিং শিবিরের সাথে সংঘর্ষে ভয় পেয়ে গেছে। তাই মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মাওলানা আযাদের চেয়েও গুরুতর অভিযোগে জামাতের কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়।

এরই প্রতিক্রিয়ায় যারা আলীগকে ভোট দিয়েছিল অথবা সমমনা তাদের একটা অংশ ঢাকার শাহবাগে জমায়েত হয়ে কাদের মোল্লা সহ বাকীদের ফাসীর দাবী করছে। ফলশ্রুতিতে নোংরা রাজনীতির অনুসারী BAL এর নেতা ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন এই ধরণের সাপোর্ট আগে পেলে বিচারের রায় অন্য রকম হত; Click This Link আমি এই মন্তব্যে মোটেও অবাক হইনি। কারণ স্কাইপির স্ক্যান্ডালই সব বলে দেয় যে বিচারকরা সরকারের বিশেষ মনোনীত। সুযোগ সুবিধা মত সরকার যেমন চাইবে তেমন রায়ই হবে এটাই কামরুল ইসলাম ইঙ্গিত দিয়েছে। এখন এই সমস্ত বিবেচনায় বিএনপি বা তার ছাত্রদল কারো মতলবী নোংরা রাজনীতিতে যাবে এটা একমাত্র ভন্ড, বেকুব ও বাকশালীরাই ভাবতে পারে।

বর্তমান মহাজোটের র্দূনীতি, জুলুমের শাসনের কারণে পায়ের তলায় জমিন নাই তাই শিবিরের ধমকিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এই শাহবাগের জমায়েত তাদেরকে এই মনোভাব এনে দিয়েছে যে আমরা এটাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারি। এখানেই বিএনপির আপত্তি যে তারা আলীগের অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতায় থাকার জন্য জেনে শুনে কোন কর্মসুচীতে যেতে পারে না। তা যতই নির্দলীয় বলা হউক না কেন। এখন যখন বিএনপি আসছে না তখন আলীগের সমমনা দৈনিক প্রথম আলোও ছাত্রদলের নাম করে বিএনপিকে কটাক্ষ করছে; শাহবাগে নেই শুধু ছাত্রদল Click This Link দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টে মনে হয় বিএনপি শাহবাগে না এসে মহাঅপরাধ করে ফেলেছে।

কোটি কোটি সমর্থকের দল বিএনপিকে এভাবে অপরাধী বানানো বাকশালী কায়দায় গণতন্ত্রকেই অস্বীকার করার শামিল। বিএনপির সমর্থকগণ কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০০৮ বা তার আগে ভোট দিয়েছিল? তবে কেন তাকে এখানে না যাওয়ার জন্য কথা শুনতে হয়? প্রআলোর এই বিষয়ে ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত! আজকে শাহবাগে হয়ত অনেক বিবেকবান মানুষ জমায়েত হয়েছেন সেটা তাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই আপনারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেও যদি কিছু অর্জন করতে চান সেটার অধিকার কেবল আপনাদের। কিন্তু বিএনপি ও ছাত্রদল এই বিষয়ে আপনাদের সাথে সহমরণে যাবে না। এটাও তাদের গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার।

এবার কয়েকটি বক্তৃতায় খালেদা জিয়া বলছেন যে তারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এই ৭১এর অপরাধের বিচার পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানদন্ডে করবেন। যেখানে বিদেশী বিচারক ও বিদেশী আইনজীবি থাকবে। আমার ব্যাক্তিগত দাবী এই বিচার পুরোপুরি জাতিসংঘের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। যাতে সাবেক যূগেশ্লাভিয়া, রুয়ান্ডায় একই অপরাধের জন্য যে সকল বিচারক ছিলেন তাদেরকেই যেন আমাদের ৭১এর ঘটনার বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই ৭১এর যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার যেন পুরোপুরি রোম সনদ অনুসরণ করে।

তাতে বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় অন্ধ আওয়ামীলীগার মেনে না নিলেও দেশের সকল বিবেকবান মানুষের কাছে সহ সারা বিশ্বে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.