আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাধু সাবধান!!!

Service holder

”গত দু’বছর দেশের অনেক ক্ষতি হয়ছে, আমার পরিবারের উপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে...” আমাদের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রির এই বক্তব্য আবারও আমকে গত ২৮ অক্টোবরের কথা মনে করিয়ে দিল। যে ঘটনা নিয়ে ”সুরজ্ঞিত সেনগুপ্ত” টেলিভিশনের টকশোতে হাসতে হাসতে বলছেলিনে ”আমরা যদি আজ প্রতিবাদ না করতাম, এ রকম ঘটনা যদি রাজপথে না ঘটত তাহলে কি এই সরকার ক্ষমতায় আসতো”, ঢাকা ইউনিভার্সিটির র্পাথ’র মৃত্যুর আগের দিন গোপন মিটিং এ সিদ্ধান্ত: ”একজনকে ফেলে না দিলে হল দখল করা যাবেনা, আলোচনায় বসানো যাবেনা ওদেরকে” এবং পরদিন পার্থ জীবন দিল! আসলে এরই নাম রাজনীতি! যাহোক যা বলছিলাম, এই সব ঘটনার জন্য কে দায়ী? কারা এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, কারা? খাম্বা মামুন কার র্স্বাথে সৃষ্ট? ফালু’র উত্থান কার ফায়দা লুটতে ”উই আর লুকিং ফর শত্রুজ” কে কারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রির পদে বসয়িছেলি এবং কার র্স্বাথ হাসিল করতে? টঙ্গিতে প্রবীন সাংসদকে হত্যা করে কারা ফায়দা লুটতে চেয়েছিল? এ সবই তাদের কর্মের ফল। তবে আমি শুধু নিদিষ্ট একটি দলকে আঙ্গুল তুলে বলছি না, বলছি ঐ সব রাজনীতিবিদদের যারা আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী। মুলত প্রধান দুই দলের নীতিভ্রষ্ট রাজনীতিই এই সব পরস্থিতির সৃষ্টি করছে। এক দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের ”বার” বাজিয়েছেন, আর এক দলের নবীন এবং মাথা গরম রাজনৈতিক নেতা ”সোনার ডিম পাড়া হাসকে এক বারে জবাই করে খেতে চেয়েছিল”।

এই তফাত। নিজেদের রাজনৈতিক র্স্বাথকে বড় করে দেখতে গিয়ে মাঝখান থেকে রাজকার দ্বারা গঠিত ”জামাতে ইসলামী”কে দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আর্ভিভুত হতে সাহায্য করল! এদের কাছে আসলে ক্ষমতাই হচ্ছে বড়, দেশ জনগন কিছুইনা। কিন্তু এত কিছুর পরও কিছু হলনা। ঐ সব লোভী, ভন্ড জনদরদীর কাছেই আবার আমাদের আত্মসর্মপন করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য এই দেশের জনগনের যে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিই এই দেশের রাজনীতির ভিত।

ভেবেছিলাম একটা পরিবর্তন আসবে, স্ব-ইচ্ছায় ভোটার হয়েছিলাম ৩৮ বছর বয়সে জীবনের প্রথম ভোট দেবার জন্য। ভোট দেবনা, জাতীয় আই.ডি র্কাড যত্ন করে রেখে দিয়েছি আলমারীত, সুভেনির হিসাবে থাক ওটা। সকলের কাছে অনুরোধ দু’টাকা, দু’শ টাকা নিয়ে নয়, নিজের অভজ্ঞিতার আলোকে ভোট দিন যাতে কোন মুক্তিযোদ্ধা সরকারের করুনার সার্টিফিকেট নিয়ে রাস্তায় চানাচুর বিক্ত্রি না করে। নিজের জোয়ান ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধের মাঠে বলি দিয়ে বুড়ো বাপ আজ রিক্সা না চালায়, লোক দেখানো মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিতে কোন রাজাকাররে কাছে সুপারিশ নিয়ে যেতে না হয়, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে যেন ভিক্ষা করতে না হয়। যেন সোনার ডিম পারা হাস এই দেশটার অভাগা জনগন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পায়।

বাড়ি ঘর নদীর কাছে সপে দিয়ে ঢাকা শহরের খোলা ফুটপাতে বউ বাচ্চা নিয়ে কাউকে রাত কাটাতে না হয়, রিক্সা ভ্যানকে বিছানা বানিয়ে তাতে ঘুমাতে না হয় সারাদিনের পরিশ্রম করা ভ্যান ড্রাইভারক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.