আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ - দারোয়ান (সেনারা) যখন দেশ চালায় ।

আজিজ

কিছুদিন আগে একটা লেখা পরলাম । প্রসঙ্গ দারোয়ান যখন দেশ চালায় । লিংকটি আমার লেখার শেষে দিলাম.... লেখাটা পরে বেশ হাসলাম। হয়ত অনেকেই ঠিক ধরতে পারছেন না যে কেন হাসলাম? তাদের জন্য বলছিঃ হাসলাম এই কারনে যেঃ আমরা কত সহজেই একটা কথা বিশ্বাস করি... লেখাটা পডে আমার ছোট বেলার একটা কবিতার কথা মনে পড়ল : "কান নিয়েছে চিলে, চিলের আজি ভুত ছোড়াব লাঠি জুতো কিলে..." এবার আসি ইমরোজ ভাই এর কিছু কথা নিয়ে। ঊনি সেনাবাহিনির ইন্টারভিউ বোর্ড সম্পর্কে লিখেছেন।

প্রশ্নকর্তা জানতে চান : "আমাদের মাথার উপর যে ফ্যান ঘুরছে তার কয়টি পাখা?" এই সহজ প্রশ্নটি আসলে ইন্টারভিউ বোর্ড এর সামনে আসা দুরুদুরু বুক কাপা (যা সাধারনত ইন্টারভিউ এর সময় যে কোন মানুষের ঘটে থাকে) ছেলেটিকে ইজি করতে করা হয়েছে । যা থেকে একই সাথে ছেলেটির আই কিউ এর পরিচয় পাওয়া সম্ভব। ছেলেটিও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে নিশ্চিত হয়েই উত্তর দিয়েছে। এতে সমস্যা কি? লেখোক কি বলতে চান যে আমাদের দেশে চার বা ছয় পাখার ফ্যান নেই? একটু বাজার পরীক্ষা করে বলবেন। এরপর ছেলেটিকে প্যান্ট খুলটে বললে সে খুলে ফেলে।

সাবাস !!! বাঘের বাচ্চা। আসলে আমি নিজে দুইবার সেনাবাহিনিতে পরীক্ষা দিয়েছি, আমার বেলায় তো এমন হয় নি!!!!??? এমন কি আমার যে সমস্ত বন্ধু সেনাবাহিনিতে আছে তাদের কাছেও তো এমন কিছু শুনিনি??? সেনাবাহিনির ইন্টারভিউ বোর্ডএ তো ডাক্তারী পরীক্ষা হয় না!! ওটা আলাদা ভাবে হয়। শুধু সেনাবাহিনির ইন্টারভিউ বোর্ড কেন? অন্য কোন ইন্টারভিউ বোর্ডে এভাবে ডাক্তারী পরীক্ষা হয় বলেও তো কখনো শুনিনি। লেখকের কথাগুলো আসলে স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ এর মত স্বপ্নে দেখা ইন্টারভিউ বলে মনে হয়। ইমরোজ ভাই তার মামির কথা বলেছেন যিনি সেনাবাহিনির মহিলা ডাক্তার।

উনি আরো বলেছেন যে : "আর্মির বুদ্ধি হয় পাছাতে থাকে নয় হাটুতে। " আমি তাই যুক্তিতে ধরে নিচ্ছি যে তার মামির বুদ্ধিও হয় পাছাতে নয়তো হাটুতে। । আমি আসলে এ যাবত শুনেছি যে আর্মির বুদ্ধি থাকে হাটুতে কিন্তু পাছার কথাটা প্রথম জানলাম। ইমরোজ ভাই নিশ্চই তার মামির কর্ম কান্ড দেখেই পাছার কথাটা বলেছেন।

অন্য কাউকে পাছা দেখে সেনাবাহিনিতে নেওয়া হোক আর নাই হোক উনার মামিকে যে পাছা দেখে নেয়া হয়েছে তা হলফ করে বলছি। করন ইমরোজ ভাই এর মামির পাছা দেখে হেড দারোয়ান নিশ্চই আর নিজেকে রুখতে পারেন নি। (আরো কত কিছু যে হয়েছিলো সেই ইন্টারভিউ এ!!,?, ইস,, ভাবতেই লজ্জা লাগে,,,,) লেখক নিশ্চই জোড় দিয়ে বলবেননা যে "ভাই আপনি দুইবার সেনাবাহিনিতে পরীক্ষা দিয়েও কেন ভুল বলছেন, আমি জানি, আমি সাক্ষী, কারন আমি নিজেই তো ঐ ইন্টারভিউ এর ছেলেটা ছিলাম!!!!!!" বোঝা যাচ্ছে ইমরোজ ভাই অনেক তথ্য তার মামি ও পরিচিত দের কাছ থেকে পেয়েছেন ( মানে উনার তথ্যের উৎস হলো এমন সব ব্যক্তি যাদের বুদ্ধি হয় পাছাতে নয়তো হাটুতে) সাবাস ভাই, একেই বলে বুদ্ধি!!! নইলে কি আর পাছা থেকে বুদ্ধি ধার করেন?? ভাই আপনার মামির বুদ্ধি তো পাছায়, পরিচিত জনদের হাটুতে, এদের কাছে বুদ্ধি নিলেন? তাও আবার ভুল?? ইস!!, দেখুনতো, পাছায় বুদ্ধিওয়ালা মানুষ গুলো আপনাকে কিরকম বোকা বানিয়েছে!!! আসলে আপনার বুদ্ধির স্থান কোথায়?? মাথায় যে নয় তা এতক্ষনে অন্যান্য পাঠকরাও বুঝে ফেলেছেন... লেখায় সেনাবাহিনিকে দারোয়ান বলা হয়েছে। আসলে দারোয়ানকে তো "দারোয়ান" ই বলা হবে তাইনা? উনি নিজেই বলেছেন "ঠিক যেমন আপনার আমার এলাকায় বা বাড়িতে দারোয়ান থাকে, তেমনি পুরো দেশের দারোয়ান এরাই। " কেউ আপনাদের বাড়ি পাহারা দেয় আর সেনাবাহিনি দেশ কে পাহারা দেয়, এখানে আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না।

কিনতু সমস্যা একটা আছে.... লেখক নিশ্চই অন্য কোন দেশের চর, তাই তিনি এই দেশের দারোয়ানদের সহ্য করতে কষ্ট পাচ্ছেন। আর নইলে তার বিশেষ কোন দুরভিসন্ধি মারাত্তক হুমকির মুখে পরেছে। উনি আরো লিখেছেন "তবে যেখানে ঢুকতে গেলে পশ্চাতদেশ দেখে মানুষের বুদ্ধি ও সামর্থ পরীক্ষা করা হয় সেখানটার মানুষেরা কেমন হয় তা আর কী বলব? " আসলে যাদের পশ্চাতদেশ দেখে বুদ্ধি ও সামর্থ পরীক্ষা করা হয় তাদের সম্পর্কে যারা না জেনে মন্তব্য করেন তাদের সম্পর্কে কি আর বলবো? উনি আরো লিখেছেন "দেশের দারোয়ানরা যখন দেশ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন কী কী হতে পারে তাই দেখা যাচ্ছে এখন। দারোয়ানের চোখে চোর তো ধরা পড়বেই। " তার মানে উনি কিনতু স্বীকার করলেন যে চোর ধরা পরেছে।

দারোয়ান এর কাজ পাহারা দেয়া, চোর তার কাছে ধরা পড়তেই পারে। চোরের বিচার করার কাজ তো মালিকের। এখন মালিক জদি বিচার না করেন, সেজন্য আমরা বুদ্ধিমান মানুষরা কি দারোয়ান কে দোষ দিতে পারি? চুরি হয়েছে সেটা সত্য, চোর ধরাও হলো। কিন্তু যদি কোন কারনে প্রমান না হয়, তবেকি ধরে নিতে হবে যে চোর আসলে সাধু? নাকি চুরির মামলা হওয়ায় ডাকাতদের মুক্তি হলো এই জন্য যে মামলাটা আসোলে ডাকাতির হওয়া উচিত ছিল। নাকি দারোয়ান এর কারনে চুরি, ডাকাতি করতে আপনার বিশেষ সমস্যা হওয়ায় এখন "দারোয়ান হটাও" আন্দোলনে নেমে পড়েছেন? দেখুন ভাই অর্ধেক গ্লাস পানিকে দুই ভাবে বলা যায়।

এক, এই গ্লাসের অর্ধেকটা পানি পূর্ণ আর চিরাচরিত দুই, আরে আরে কি গ্লাস দিলো? এই গ্লাসের অর্ধেকটাই খালি !!!! লেখক কেনো যে শুধু খালিটাই দেখেন? হাজার হলেও লেখক বলে কথা, খালিটাতো ওনারই চোখে পড়বে। নইলে সস্তা পাবলিসিটি হবে কিভাবে? পরিশেষে বলব, আমি সেনাবাহিনির সাফাই গাওয়ার জন্য লিখছিনা বরং গ্লাসের ভরা অংশের দিকে নজর দেয়ার চেষ্টা করলাম। যারা সেনাবাহিনিতে আছেন তারাও তো আমাদের মতই মানুষ। তারা আমাদের এই দুর্নিতী গ্রস্থ সমাজেরই প্রতিনিধি, কেউ আমাদের ভাই, কেউ সন্তান আবার কেউবা ঐ মামির মত আত্নীয়। তাদের মধ্যে কেউ যদি অসৎ, বাটপার, নির্বোধ হয় তাতে তো আমি অবাক হওয়ার মত কিছু দেখিনা!!?? নাকি তাদের মধ্যে দুই একজনকে দেখেই সবাইকেই চেনা যায়? যদি দুই একজনকে দেখেই সবাইকেই চেনা যায় তাহলেতো সেনাবাহিনির বাহিরের সবাই এরশাদ শিকদার বা লালটু।

সবাই আমরা দুর্নিতীগ্রস্থ , খুনি, নেশাগ্রস্থ মাতাল, আমরা সবাই ধর্ষক ও নারী পাচারকারী। এমন কোন পাঠক আছেন যিনি আমার সাথে একমত হবেন??? যদি একমত না হন তাহলে সেনাবাহিনিকে আলাদা করে দেখার সুযোগ আছে কি??? আমার কলেজের প্রিন্সীপাল স্যারের একটা উক্তি দিয়ে শেষ করছি, উনি বলতেন " বাবারা, কারো দিকে আংগুল তুলে কথা বলার আগে মনে রেখো, তোমার তিনটি আংগুল তোমার নিজের দিকেই থাকে। " সুতরাং যারা না বুঝে বিভিন্ন কথা ব লছেন তারা একটু ভেবে বলুন। মুল লেখার লিংক ...। Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।