আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শৈশবের মাতব্বরি

আল বিদা

যখন ক্লাস এইটে পড়ি আমরা বেশ কয়েকজন একই ক্লাসে পড়তাম। আবার একই এলাকায় থাকতাম। এক গ্রুপে চলতাম সবাই। নতুন গোফ উঠলে যে কয়টা ডানা গজায় তার সব কয়টাই গজিয়েছে। আমি ঐ বয়সে মারাত্বক বোকা ছিলাম।

তাই আমাকে নেতা বানানো হত। এতজন বাঙ্গালী ছেলে একসাথে থাকলে যা হওয়ার তাই হল। একটি ক্লাব গড়ে উঠল। আমরা ফুটবল ক্রিকেটের টীম বানালাম। সিনিয়রিটির দিক থেকে একজন হেড হবে ঠিক হল।

তখন আমাদের আরও দুই জন ক্লাস টেনে পড়ত। বড় হলেও তাদের নাম ধরে ডাকতাম। আমি দেখলাম এই ক্লাবে সবাই সদস্য হলে ঐ দুজনই হেড হবে। আমার কোন পাত্তাই থাকবে না। এদিকে আমরাও বিশাল এক গ্রুপ একই ক্লাসে পড়ি।

তাই ক্লাবের প্রথম নিয়ম হল সদস্য ক্লাস এইট পর্যন্ত হবে। তাতে ঐ দুজন বাদ আর আমার উপরে কেউ থাকল না। কিন্তু ঐ দুজন একথা মানবে কেন? একদিন তাই কথায় কথায় মারামারি হয়ে গেল। অল্পের জন্য ওরা আমার হাতে মার খায় নাই! আমার বন্ধুরা ওদের(!) আটকায়ছিল বলে। মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগ থেকে কয়েকজনকে ক্ষেপায় বিদায় করে দেই।

তখন আমরা অল্প কয়জন থাকব। যারা ব্লগে আসবে তারা বাধ্য হয়ে আমাদের ২/৪ লাইন পড়বে। আহা উহু করবে। ছোটবেলায় ভাবতাম আমাকেই মাতব্বরি করতে হবে। যতই বয়স বাড়ছে ততই সহনশীল হচ্ছি।

বুঝতে শিখছি সবাইকে নিয়ে চলতে না পারলে চলার আর মূল্য থাকে না। এইবোধটুকু না আসলে হয়ত ব্লগের অনেককেই খোচাতাম। হ্যাপি ব্লগিং।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।