আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিখে কি কিছু হয়?



মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আমাদের সবারই খুব প্রিয় একজন ব্যাক্তিত্ত্ব। যাঁর লেখায় আমরা পাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। গত বছর ২২ জুলাই, ২০০৭ “একটি লঙ্গরখানার কাহিনী” শীরোনামে তাঁর একটি লেখা পড়েছিলাম। যেখানে তিনি খালিশপুরের পাটকলের অসহায় শ্রমিকদের দূর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন। ৪টি পাটকল বন্ধ হলে ১৪ হাজার শ্রমিক বেকার হচ্ছে এমনই একটি হিসেব তিনি তুলে ধরেছিলেন।

আসলে সত্যিকথা বলতে কি এই বেকারত্বের ফাঁদে কিন্তু ১৪ হাজার পরিবারও পড়ছে। এই চিন্তা নিশ্চই সরকার করে দেখেনি। সে যাই হোক জাফর ইকবাল স্যার আরও অনেক কিছুই উল্লেখ করেছেন। এধরনের লিখা পড়লে আমার মনে প্রায়ই একটি প্রশ্ন জাগে সেটি হচ্ছে- লিখে কি কিছু হয়? এই যে খালিশপুরের কথা বলা হলো। এর আগে জাফর ইকবাল স্যার চরেশ রিছিলকে নিয়ে একটি লিখা লিখেছিলেন।

এই বিষয়টি তো এখন পুরোপুরি আড়ালে। ভ্যালোরি টেইলোর কে নিয়েও তিনি লিখেছিলেন। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। গত ৩০মে, ২০০৭ প্রথম আলোর পাঠকের কলাম পাতায় আমি একটি প্রতিষ্ঠানের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেছিলাম। প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ একমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান “টেলিফোন শিল্প সংস্থাা (টেশিস)”।

বন্ধ প্রায় প্রতিষ্ঠানটিকে তুলে দাড় করানোর এক আকুল আবেদন জানিয়েছিলাম সরকারের প্রতি। সেখানকার শ্রমিকদের প্রতি দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করেছিলাম সরকারের প্রতি। এই লিখাটি ছাপার পর পর আমার সাথে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার যোগাযোগ করেন। তিনি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান টংগিতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের সচিবের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

তাই টিভি রিপোর্টও করা হলো না। আমি বেশ কয়েকবার কথা বলেছি সেই টিভি রিপোর্টারের সাথে কিন্তু তিনি বারবারই বলেছেন আমরা অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করছি। হয়ত মিডিয়ার আড়ালে আছে বলেই এই প্রতিষ্ঠানটির কথা মানুষের আড়ালেই রয়ে গেল। অথচ একটি বাস্তব সত্যি হচ্ছে গত বছর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটির বহু শ্রমিককে চাপের মুখে সেচ্ছায় অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার অনেককে ছাটাই করা হয়েছে।

তাই এখানেও চলছে শ্রমিকদের অশ্রুর বন্যা। আমি জানি না সরকার এর খবর রেখেছেন কিনা। তবে একটা প্রশ্ন আমার মনে রয়েই যাবে সেটি আমি আগেই বলেছি এখন আবারও বলছি- লিখে কি কিছু হয়? কারণ? কারণ এই সব সমস্যা নিয়ে আগে বহু লিখালিখি হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয় নি। সরকারের কেউ কেউ হয়তো পড়েছেন আর ভুলে গেছেন বা আবার অনেকে প্রশ্নের উত্তর তৈরী করে রেখেছেন।

কিন্তু কেউই সমস্যা উত্তরণের উপায় খঁজে বের করেননি। তাইতো আমি বলি লিখে কিছুই হয় না। বি:দ্র: টেশিসকে নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আমার ব্লগে ‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ 'টেশিস এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ' ‍‍ ‍‍‍ শিরোনামে লিখাটি পড়ে দেখতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।