আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশ

এই পৃথিবীতে সবাই আগন্তুক,সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে,কিন্তু তাতে ভয় কিসের।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ দিনপঞ্জির হিসাবে কবে সেটি আমাদের কাছে নগন্য হলেও ১৪ এপ্রিল যে পহেলা বৈশাখ এটিই সবার জানা। শহুরে কালচারে হালে যোগ হয়েছে পান্তা ইলিশ খাবার চল। ‍একদিন বাঙালী ছিলাম রে... কুমার বিশ্বজিতের গানটিকে শহুরে পান্তা ইলিশের আয়োজনকে যেন আর গাঢ় করে। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি দেশের বড় শহর থেকে শুরু করে মফস্বল শহরেও।

এত অভাবের মাঝেও একদিনের বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্লাব,সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্ষবরনের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় পান্তা ইলিশের। কেউ কেউ গ্রামের চিরাচরিত প্রথার ব্যতিক্রম করে গরম ভাতের পান্তা সঙ্গে ইলিশ মাছের ভাজি (ফ্রিজে রাখা ইলিশ,গন্ধ নেই), আলু ভর্তা (দাম তুলনামুলক কম), আর মরিচ পিয়াজের ব্যবস্থা করেছিলেন। এ যেন আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সাময়িক সাক্ষাত! ছোটবেলায় বাংলা ব্যকরন পড়তে গিয়ে পড়েছি পানি+ তা + পানতা। বড় হয়ে যখন পান্তা দেখেছি এবং দুই একদিন খেয়েছি তখন বুঝেছি পান্তার ধরন। গ্রামবাংলার মানুষেরা রাতের অবশিষ্ট ভাত যেন নষ্ট না হয় (কারন সেখানে বিদ্যুত না থাকায় ফ্রিজ নেই) সেজন্য গরমকালে ভাতে পানি দিয়ে রাখত।

সকালে পানি দেয়া ভাত সামান্য তরকারি কিংবা ভর্তা ভাজি দিয়ে খাওয়া কিংবা বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে ক্ষেতে খামারে নিয়ে গিয়ে দিনজুড়ে খাওয়া হতো। পান্তা এমন এক খাবার যা মানুষের শরীরে অলসতা বয়ে আনে। এ বারের পহেলা বৈশাখে আমাদের মফস্বল শহরে সরকারী কর্মকর্তাদের একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে পান্তা ইলিশ খাবারের আয়োজনকরা হয়েছিল। যাতে একজন কর্মকর্তা একাই ১০ প্লেট পান্তা, ৮ পিস ইলিশ, ২০টি আলু ভর্তা, ৫০টি কাচাঁ মরিচ খেয়েছেন। কি সুন্দর তাই না!



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।