আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুল জীবনে দেখা বিশ্বপ্রেমিকের দল

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

স্কুলের বিশ্বপ্রেমিক ব্যাচ বললেই ২টা ব্যাচের কথা মনে পড়ে ৯৭ আর ৯৮ ব্যাচ। এর মধ্যে ৯৭ ব্যাচ আবার গ্রুপসহ প্রেমে পড়তো আমাদের ক্লাসের এক মেয়ে ছিল সুমি তার উপর। মেয়েটা ছিল বিশ্ব ফাজিল, সে ক্লাস ফোর থেকেই প্রেম করতো। এই হিসেবে ৯৭ ব্যাচের কাছে সে খুব নামীদামী সুন্দরী ছিল। মেয়েটা বিল্ডিং এর ভেতর দিকের জানালার কাছে ছাড়া বসতে পারতো না, ওই ছেলেগুলো যতবার যেত পানি খেতে ততবার তারা পুরো স্কুলের এ মাথা থেকে ও মাথায় যেয়ে অডিটোরিয়ামের পাশ দিয়ে ছেলের টিউবওয়েলে না যেয়ে হোস্টেলের টিউবওয়েলে পানি খেতে যেত।

একিদন স্কুলের করিডোর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাবার সময় জানালার পাশে সুমিকে দেখে এক দিওয়ানা সুমিকে ক্রস করার পরেই কোলাপসেবল গেটের সাথে ধাক্কা খেল, সাইকেল নিয়ে পড়ে গেল, ধড়াম আওয়াজ শুনে আমরা গেলাম দেখতে, দেখি নায়ক মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছে....আরেকবার একছেলে সুমিকে দেখে ভাব মারতে যেয়ে পিছলে স্কুলের ভিতরের রাস্তা দিয়ে পড়ে গেল। এটা এক স্যার দেখলেন, ছেলেটাকে স্যার সবার সামনে অপমান তো করলেনই আর টেবিলের নিচে মাথাও ঢুকিয়ে রাখলেন সমস্ত ক্লাস। (তথ্যসূত্র: আমার বোন ৯৭ ব্যাচ) ৯৭ ব্যাচের কথা বলতে গেলে আবার আমার বোনের সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়ার দরকার হবে। স্কুল জীবনে সে বদমেজাজী হিসেবে ক্লাসে বিশেষভাবে খ্যাত ছিল। ক্লাসের ছেলেরা তাকে সমীহ করে চলতো আমার মামাতো বোন ছিল ৯৮ ব্যাচ।

৯৮ ব্যাচের ছেলেরা আবার তার উপর বেশি ফল করতো। ওদের ব্যাচের বৈশিষ্ট্য ছিল তারা ক্লাসের মধ্যেই আত্নীয়তা তৈরি করার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। এদের মধ্যে ২টা ছেলে(বিচি আর চ্যাপ্টা মাছ) আবার আমাদের বাসার পাশের ছিল, আমরা একটা রিকশায় আসতাম ওরা আসতো আমাদের পিছনে পিছনে বকবক করতে করতে, বুবু রিকশা থেকেই ধমক দিতো, ওরা ভয়ে বকবক থামায় দিতো। একদিন বাসার সামনে এসে আমাদের রিকশার চেইন পড়ে গেল, ওরা চিল্লাতে লাগল, বুঝলি সব হিংসা!! সবই হিংসার ফল!! বুবু বলল, কি বললি?(খাইয়ালামু) ওরা একরকম হাতে পায়ে ধরে মাফ চাওয়া শুরু করলো, বড়আপা মাফ করে দেন, আর করবো না, আর কোনদিন বলবো না। এই ব্যাচের ছেলেরা প্রায়ই ভুল করতো।

পরীক্ষার সময় আমার মামাতো বোনের ব্যাগে চিঠি রাখতে যেয়ে আমার বড়বোনের ব্যাগে রেখে আসতো। তারপর তাদের কথা শুনিয়ে শুনিয়েই ক্ষান্ত হতো না, বুবু ওদের স্যারের কাছেও নিয়ে যেত। মাথাটা আজকে আউলায় আছে তাই অনেক কাহিনীই মনে পড়ছে না

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.