আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহলে বাইয়াত

এসো মোরা মাওলাইয়াত কে গড়ে তুলি। হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, "" হুব্বা - আলী বিন আবি তালিবিন তাকুলুজ্জুনুবা - কামা - তাকুলুন নারুল হাতাবা "" অর্থ্যাৎ হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ভালবাসায় মানুষ এর গুনাহকে তেমনি ভাবে খায় যেমনি ভাবে শুকনো খড়িকে আগুনে খায়। অর্থ্যাৎ শেরে খোদার ভালবাসায় গোনাহ থাকে না। ( নুজহাতুল মাজালিছ ২য় খন্ড ৬১ পৃঃ ) হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন যে, আমি বিদায় হজ্জের মধ্যে আরাফাতের দিন হুজুর সাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম কে দেখলাম যে , তিনি কাচুয়া নামক উটনির উপর আরোহিত অবস্থায় এবং বলতেছেন, "" ইয়া- আইয়্যু হান্নাছু ইন্নি তারাকতু ফি - কুম আমরাইনে - মান আখাজতুম বিহী, লান তাদিল্লাহু কিতাবাল্লাহি ওয়া ইতরাতি আহলু বাইতি "" অর্থ্যাৎ হে মানব মন্ডলী নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি রেখে গেলাম ২টি বস্তু যাহা গ্রহণ করলে তোমরা কখনো গোমরা হবে না। (১) আল্লাহর কোরআন, (২) আহলে বাইত বা নবির বংশধর।

( তিরমিজি ও মিশকাত ) হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, যখন এই আয়াত নাজিল হল, "" ইন্নামা আন্তা মুনজিরুন অলিকুল্লি কাওমিন হাদ। ওয়াজায়া রাসুলিল্লাহি সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইয়াদাহু কালা ছদরিহী ফাকালা আনাল মুনজিরু ছুম্মা আও মায়া ইলা মানকাবি আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওয়াকালা আন্তাল হাদী ইল মোহতদুনা মিন বা'দি। "" অর্থ্যাৎ হে মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি ভয় প্রদর্শন কারী ও প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য হাদি। তখন হুজুরে পাক নিজ সিনা মোবারকের উপর হাত মোবারক রাখলেন এবং বললেন আমি মানজির অর্থ্যাৎ আমি ভীতি প্রর্দশন কারি এবং হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কাঁদ মোবারকের উপর হাত রেখে বললেন, হে আলী তুমি হাদী এবং আমার পর সঠিক রাস্তা যারা পাবে তারা তোমার থেকে পাবে। ( তাফছিরে দুররে মানছুর, কানজুল ইমান, তাফছিরে কবীর ) নোটঃ বেলায়েতের সিলসিলা শেরে খোদা থেকে জারী থাকবে এবং উম্মতের আউলিয়া, ওলামা, গাউছ, কুতুব তার থেকে ফয়েজ পাবে।

এ ছাড়া অন্য পথে অগ্রসর হলে পথভ্রষ্ট হবে। কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, "" ইন্নাল্লাজিনা ওয়া মিলুছ ছালিহাতি ছাইয়াজ আলু লাহুমুর রাহমানু ওদ্দান"" অর্থ্যাৎ নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত লোক যাহারা ইমান গ্রহণ করেছে এবং সৎ কর্ম করেছে অচিরেই আল্লাহ পাক দয়া বান। তাহাদের প্রতি দয়া করে লোকদের অন্তরে তাদের মোহাব্বত সৃষ্টি করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাছউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, "" নবীজি বলেন আলীর ছেহরার দিকে নজর করাও ইবাদতের শামিল। ( মুছতাদরাকে হাকেম ) মুসলিম জননী হযরত মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, " নবী সাল্লালাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন আলীর জিকির বা স্বরণ করাও ইবাদত।

( কানজুল আয়মান ৬ খন্ড ১৫৬ পৃঃ ) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, "" নুরে খোদা সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি ইলমের শহর আর আলী ঐ শহরের দরজা"" ( তিরমিজী ও হাকিম শরীফ ) হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমাকে রাসুলে খোদা এক হাজার ইলমের দরজা শিক্ষা দিয়েছেন। উক্ত ইলমের প্রতিটি দরজা থেকে হাজার হাজার দরজা উম্নোক্ত রয়েছে। ( আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৭ খন্ড ৩৬০ পৃঃ ) হযরত ওমর ফারুকে আজম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, "" লাইয়াফ তিয়ান্না আহাদুন ফিল মাছজিদে ওয়া আলিউন হাজিরুন "" অর্থ্যাৎ যে কোন ব্যক্তি মসজিদে ফতওয়া দিতে পারবে না যখন আলী উপস্থিত থাকে। কেন না হযরত আলীর ফতওয়ার উপর কাহারো ফতওয়া চলবেনা। সুতরাং আহলে বাইতের ভালবাসা নিজের জীবনের সবকিছু এমন কি জানের চাইতে ও অত্যাধিক স্থান।

কেন না আহলে বাইত কে ভালবাসালেই জান্নাত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.