আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাহার আমও গেলো, ছালাও গেলো, তাহার গল্প শোনো (প্যারেন্টিয়াল গাইডেন্স এডভাইসড)

ইমরোজ

সকালে উঠিয়া চোখ ডলিতে ডলিতে উঠানে আসিয়া কাদরি তো চমকাইয়া উঠিল। সবাই তাহাকে দেখিতেছে। হটাত করিয়া একটা মানব শিশু জন্মাইয়াই হাটিতে শুরু করিলে মানুষের যেমন টি বোধ হইবে, সবার যেন সেরকমটিই লাগিতেছে। কাদরির হইলো কি? কাদরি খুব ভাল করিয়া মনে করিতে চেষ্টা করিতেছেন, কাল রাতে কি বউ পিটাইয়াছিলেন? শ্বশুরকে কয়েক লাথি মেরে যৌতুকের কথাটা মনে করাইয়া দিয়েছিলেন? তাহা না হইলে সবার চোখ খানা আমার দিকে কেন? এরপর কি মনে করিয়া ঘরে ঢুকে গেলেন, বাইরের চোখগুলো যেন তার দিকে আটকাইয়া আছে, উনি যেখানে যাইতেছেন, তাহাদেরও চোখ ঘুরিয়া যাইতেছে, যেন টেলি-ভিষণ দেখিতেছে সবাই। ঘরে ঢুকিয়া মনে পড়িলো, আরে বউ তো নাই।

তাহার মনে পড়িয়াছে, এক-খান চুক্তির কথা। জনসন নামের এক ফরাসী লোক তাহার বউ আর দুইটি মেয়েকে প্রদর্শনীর জন্য নিয়া গেছেন। চুক্তি মোতাবেক তিনি তাহার বউ আর মেয়েদেরকে চুদিবেন না, এবং সহিসালামত ফেরত দিবেন। এ তো খুব ভাল খবর, হা হা, সবাই তাহাকে কি বোকা ভাবিতেছে। তাহার বউ আর মেয়েগুলোকে পতিতালয়ে প্রদর্শনীর জন্য জনসন নামের কুলাঙ্গারটি তাহাকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়াছেন।

ফেরত না দিলে যা টাকা দিবেন বলিয়াছেন, তাহাতে তিনি ১০টা বিয়ে করিতে পারিবেন। চিন্তা কি? হটাত করিয়া কিসের শব্দ হইলো, তাকাইয়া দেখেন মোবাইল নামক একটা যন্ত্র বাজিতেছে। যন্ত্রটি বাইরে নিয়া গিয়া সবার সামনে তিনি দেখাইয়া দেখাইয়া কথা বলিতেছেন। কিন্তু ক্রমশ তাহার মুখ কাল হইতে শুরু করিলো। কী ব্যাপার, তাবত গ্রামের লোকজনের চক্ষু-তো বাহির হইয়া যায়, যন্ত্রটি দেইখ্যা।

কেউ বলে এইটা ফেরানস নামক দ্যাশ থেইক্যা প্রদর্শনীর জন্য আইসে। কাদেরির একটি মেয়ে নাকি জাহাজ ঘাট থেকে উধাও হইয়া গ্যাছে। আর উনার বউ আর আরেক মেয়ে ঠিকই আছেন, তবে বুঝা মশকিল তাহাদের বর্তমান অবস্থান। তিনি জনসন নামের অথর্বকে ফোন করিলেন। "ভাই, আমার মাল আমারে ফিরাইয়া দাও, আমার টাকা লাগবে না, আমার বউ আর মেয়ে চাই"।

-তোমার একটি মেয়ে পাই-নাই, সুতরাং তুমি চুক্তি ভঙ্গ করিয়াছো। তোমার সাথে কোন কথা নাই। কাদেরি সাহেব তো আকাশ থেকে পড়িলেন। তিনি বললেন, "আমার বউ আর বাচ্চার কি হইবেক"। -কার বউ বাচ্চা? -আমার ক্ষতিপূরণ? -তুমি চুক্তি ভঙ্গ কইরা ক্ষতিপূরণ চাও? -আরে... লাইনটা ভদ্দরলোক কাটিয়া দিলেন।

এরপর কাদেরি সাহেব তো পথে বসিলেন। তিনি গৃহকর্তার পদ থেইক্যা পদত্যাগ করিলেন। কিন্তু ফেরান্স থেকে তাহার পত্র আসিতো। তাহার বউয়ের নাকি ৩টি অপত্য সন্তান হইয়াছে, আর মেয়েটির নাকি জড়ায়ু নষ্ট হইয়া গ্যাছে। এখন মরিবার আর একটুই বাকি আছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.