আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্যারদের জেলে রেখে ক্লাসে ফিরবো?

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি

(লেখাটি ৫ সেপ্টেম্বর লেখা। ব্লগে ঢুকতে না পারায় আজ দেয়া হলো। ) আমার ৩ স্যার জেলে। অপরাধ- উষ্কানিমূলক বক্তব্য আর গোপন মদদ। ঘটনা ২১ আগস্টের।

ঘটনার দিন আমি নিজেও ক্যাম্পাসে ছিলাম। আমার বিভাগের সামনে থেকেই বের হলো মৌন মিছিলটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লজ্জাজনক ঘটনার বিবেকী মননের রুচিশীল প্রতিবাদ। মিছিলে ছিলেন আমার বিভাগের ৩ শ্রদ্ধেয় স্যার দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, সেলিম রেজা নিউটন আর আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন নাট্যকার ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মলয় ভৌমিক।

মিছিলে দুদফা বাধা দেয়া হলো। কোন শ্লোগান ছিল না। দ্বিতীয় দফা বাধার পর লাইব্রেরির সামনে মিছিল শেষ হলো। কোন বক্তব্য ছিলো না। শুধু নিউটন স্যার সবাইকে ধৈর্যধরে মিছিল শেষ করায় ধন্যবাদ দিলেন মাত্র দেড় মিনিট ধরে।

এটাই যদি উষ্কানিমূলক বক্তব্য হয়ে থাকে তাহলে এ দেশে আর কী রইলো দেখার বাকি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে ওটুকুই করেছেন আমাদের স্যারেরা। কিন্তু আগের দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সূত্র ধরে ধ্বংসের গোপন মদদের মত জঘন্য অভিযোগ আনা হলো আমার স্যারদের বিরুদ্ধে। এ লজ্জা কোথায় রাখি। আমার ৩ শিক্ষক জেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিভিন্ন চ্যানেলে আমাদের ৩ স্যারকে জেলে নেবার দৃশ্য দেখে আমার বহু সহপাঠী বন্ধু আমায় ফোন করেছে।

এতো ফোন ওরা আমার জন্মদিনেও করে না। অনেকে কেঁদেছে। আমাকে সবাই বলেছে, কিছুই কী করা যায় না, সুজন, স্যারদের জন্য? আমি একটু নিরত্তর থেকে বলেছি, ক্যাম্পাস যদি খুলেও দেয় আমার স্যারদের জেলে রেখে আমরা ক্লাসে ফিরবো না। আপনারাই বলুন, আমার শিক্ষাগুরুদের জেলে রেখে আম কি ফিরতে পারি ক্লাসে? তা কি শোভা লাগে? অন্ততঃ মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। এ যে আমাদের প্রতিবাদ নয়; কর্তব্য।

ছবিতে:বা থেকে সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা নিউটন, সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.