আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাকওয়া বিহীন আত্ন শুদ্ধি সম্ভব নয় । (আট)



আগের পর্ব দেখুন। খাটি বা আন্তরিক ভাবে তাওবাহ , অন্তর থেকে পাপ ও খারাপ কাজের ময়লা দুরীভুত করে দেয়। এবং ভাল কাজের জন্য আগ্রহী করে তুলে। রাসুল(সাঃ) বলেনঃ "অন্যমনস্কতা আমার অন্তরকে ঢেকে নেয়। তাই আমি দিনে আল্লাহর কাছে একশত বার ইসতেগফার কামনা করি।

" (আহমাদ ১৮০০২) অন্তরের সংশোধনের জন্য আল্লাহকে ডাকা ও তার কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা, কারন দুআ বা প্রার্থনা করা অন্তরের সংশোধনের দরজা সমূহের একটি বড় দরজা বা প্রবেশ পথ। আল্লাহ পাক এরশাদ করেনঃ " সুতারাং তাদের প্রতি যখন আমার শাস্তি পৌছলো তখন তারা কেন নম্রতা ও বিনয় প্রকাশ করলোনা? বরং তাদের অন্তর আরও কঠিন হয়ে পড়লো, আর শয়তান তাদের কাজকে তাদের সামনে শোভাময় করে দেখালো। " (সুরা আনআম ৪৩) নবী,রাসুল শহীদ এবং সালেহীন ও অন্যান্য আল্লাহর আউলিয়াদের জীবন চরিত্র বা ঘটনা অন্তরকে স্থির রাখে এবং অন্তরকে সঠিকতা ও সৎকর্মশীল এর উত্তরাধী কারী বানিয়ে দেয়। আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ " এবং রাসুলদের ঐ সব বৃত্তান্ত আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি, এর দ্বারা আমি তোমার চিত্তকে দৃঢ় করি। " (সুরা হুদ ১২০) উত্তম এবং সৎ ও ধার্মিক লোকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার মাধ্যমে, নিজের অন্তরকে ও ঠিক রাখা যায়।

আল্লাহ পাক বলেনঃ " [হে রাসুল!] নিজেকে তুমি রাখবে তাদেরই সংসর্গে যারা সকাল ও সন্ধায় আহবান করে তাদের প্রতিপালককে তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না; যার চিত্তকে বা অন্তরকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, সে তার খেয়াল খুশির অনুসরণ করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে তুমি তার আনুগত্য করো না । " ( সুরা কাহফ ২৮) ইহকালের কথা ভেবে আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাসী ব্যক্তিদের কারণেই সমাজে অসান্তির সৃষ্টি হয় বেশি। আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ব্যক্তিই শুধু পারে ধর্মের পবিত্র উত্তম চরিত্র গ্রহনের আহবানে সাড়া দিয়ে নৈতিক চরিত্রের রিতিনীতি ও আচার-আচরণের খুটিনাটির ওপর সুদৃঢ় ও অবিচল হয়ে থাকতে। দুনিয়ার লোভ লালসাই হচ্ছে পাপের মূল উৎস। দুনিয়ার স্বার্থেই মানুষ প্রতারণা করে, ভেজাল মেশায়, ঘুষ খায়, আপনজনকে হত্যাকরে, ওয়াদা ভঙ্গকরে, অন্যের সম্পদ ধ্বংস করতে একটুও চিন্তাকরে না, নিজের কথা না ভেবে অন্যের দোষ খুজে বেড়ায়, আলেম নামধারী কিছু লোক দ্বীনের মূল সত্য প্রকাশ করে না, অত্যাচারী শাসকের মহিমা কীর্তন করে শুধু দুনিয়ার সুখ-সুবিধা পাওয়ার আশায়।

এদের মধ্যে তাকওয়া কাজ করে না। সত্যিকার মুমিন যা করে তা শুধু পরকালের স্বার্থেই করে। পরকালের চিন্তা ছাড়া দুনিয়ার জীবন সুন্দর হয় না। কারণ পরকাল হলো চির স্থায়ী। আর দুনিয়া হলো ক্ষণস্থায়ী।

সুতারাং যে চিরস্থায়ী জীবনের কথা ভাবে তার পক্ষে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে কোন রকম অসৎ কাজ করা সম্ভব হয় না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.