আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাকওয়া বিহীন আত্ন শুদ্ধি সম্ভব নয় । (চার)



আগের পর্ব পড়ুন........ তাকওয়ার মুল হলো অন্তরের পরহেজ গারী এবং একই ভাবে অন্যায় ও ব্যভিচার এর স্হান ও হলো অন্তর। অন্তরের বিষয়টি হলো খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ও তার প্রভাবও হলো বিরাট গৌরবময়। কারণ আল্লাহ পাক অন্তরের সংশোধনের জন্য কিতাব [আল কুরআন] অবতীর্ন করেছেন। এবং অন্তরের সংশোধন, সজ্জিত করণ এবং সুবাসিত ও সুগন্ধযুক্ত করার জন্য রাসুলগনকে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, "হে মানব জাতি! তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে এমন এক বস্তু সমাগত হয়েছে যা হচ্ছে নসীহত এবং অন্তর সমুহের সকল রোগের আরোগ্যকারী, আর ঈমানদারদের জন্য ওটা পথ প্রদর্শক ও রহমত।

(সুরা ইউনুস ৫৭) অন্তরের বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার আবশ্যকতার কারণ হলো যে, অন্তর এমন একটি সুক্ষ্ম বা কমনীয় মাংস খন্ড যা আল্লাহ পাক তার জ্ঞান ও বিচক্ষণতার দ্বারা মনোনীত করেছেন এবং তাকে তার আলোর স্হান এবং হিদায়েতের জন্য মূলকেন্দ্র বানিয়েছেন। আল্লাহ পাক তার কিতাবে অন্তরের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেছেন, "আল্লাহ আকাশ মন্ডলীও পৃথিবীর জ্যোতি, তার জ্যোতির উপর উপমা যেন একটি দীপাধার, যার মধ্যে আছে এক প্রদীপ , প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরনটি উজ্জল নক্ষত্র সাদৃশ্য; এটা প্রজ্জ্বলিত করা হয় পূত ও পবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা যা প্রচ্যের নয়,প্রতিচ্যের নয়, অগ্নি ওকে স্পর্শ না করলেও যেন ওর তৈল উজ্জ্বল আলো দিচ্ছে, জ্যোতির উপর জ্যোতি! আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন তার জ্যোতির দিকে; আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ। " (সুরা নুর ৩৫) আল্লাহর দেওয়া কিতাব মনোযোগ দিয়ে সুন্দর ভাবে বুঝে পড়লে আমরা আল্লাহর অস্থিত্ব সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পারি। অন্তর হলো পরিচয়ের স্থান, অন্তর দিয়েই বান্দাহ তার প্রতিপালকের পরিচয় লাভ করতে পারে। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, "তবে কি তারা কুরআন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? " (সুরা মুহাম্মদ ২৪) এই অন্তর দিয়েই বান্দাহ আল্লাহ পাকের মাখলুকাত, যেমন : দিন, রাত,এবং চন্দ্র ও সখ ইত্যাদি এবং দিগন্ত ও সুদুর প্রান্তের নিদর্শন নিয়ে চিন্তা ও গবেষনা করে থাকে।

আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, "তারা কি ভ্রমণ করে নাই? তাহলে তারা জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতি শক্তি সম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারতো। বস্ততঃ চক্ষুতো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্তিত হৃদয়। "(সুরা হাজ্জ ৪৬) আল্লাহ পাক সু স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়েছেন যে, মানুষ নিজের মধ্যে এবং আল্লাহর মাখলুকাত,দিগন্ত ও সুদুর প্রান্তের নিদর্শন নিয়ে অন্তর ও বোধশক্তি দ্বারাই চিন্তা ও গবেষনা করে থাকে। এবং অন্তরের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার আবশ্য কতার তাকিদের কারণ হলো যে তা এমন এক বাহন বা এমন আরোহণ যার মাধ্যমে বান্দাহ তার আখেরাতের পথকে অতিক্রম করতে পারে। আরো আছে......।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.