আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হঠাত আবিষ্কার - ০৮

leo_abdullah@yahoo.com

এক্স-রে এক্সরে হলো কঠিন বস্তুভেদকারী এক ধরণের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন যার মাধ্যমে আজ অনেক জটিল রোগের ডায়াগোনাইসিস করা হয়। জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী উইলহেম কনরাড রঞ্জেন ১৮৯৫ সালে এক্স-রে আবিষ্কার করেন। আসলে ওই সময় তিনি কাজ করছিলেন ক্যাথোড রে নিয়ে। ক্যাথোড রে হলো ফসফোরিসেন্ট থেকে ইলেকট্রনের বিচ্ছুরন যেটা আজকের দিনে টেলিভিশন থেকে আরম্ভ করে ফুরোসেন্ট বাল্বেও ব্যাবহৃত হয়। উইলির আগ্রহ ছিল কালো কার্ডবোর্ডে ঢাকা একটা গ্লাস টিউব থেকে ক্যাথোড রশ্মি বের হয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা।

সেটা তিনি জানতে পারলেনা বটে তবে ঘটনাক্রমে খেয়াল করলেন যেখানে দাড়িয়ে কাজ করছিলেন তার কয়েক ফুট দুরে তার অন্ধকার ল্যাবোরেটরিতে একধরণের আলোক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। প্রথমেই তার মাথায় এলো, কার্ডবোর্ডটা নিশ্চয়ই ফেটে গেছে কোথাও যার ফলে টিউবের ভেতরকার হাই ভোল্টেজ কয়েল থেকে আলো বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুব শিগগিরই তিনি বুঝতে পারলেন কোন ফাটল নয় বরং কার্ডবোর্ড ভেদ করেই আলো সরাসরি বের হচ্ছে। যেহেতু এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিলনা তাই কঠিন বস্তু ভেদকারী রশ্মির নাম তিনি দিলেন এক্স-রে। পরবর্তিতে অবশ্য তিনি খেয়াল করলেন কঠিন বস্তুকে ভেদ করার পাশাপাশি এটা মানবদেহের কংকালের ফটোগ্রাফিক নেগেটিভ ইমেজ তৈরীতেও খুব চমতকার কাজে লাগছে।

ডাক্তাররা বেশ আগ্রহের সাথেই এটাকে একটা স্ট্যান্ডার্ড মেডিকেল টুল হিসেবে গ্রহণ করলো আর এর মধ্যে দিয়েই ১৯০১ সালে রঞ্জেন পদার্থ বিজ্ঞানের জন্য ঘোষিত প্রথম নোবেল প্রাইজটি নিয়ে গেলেন তার বাড়িতে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।