আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হঠাত আবিষ্কার - ০৬

leo_abdullah@yahoo.com

স্কচগার্ড গত পর্বের হঠাত আবিষ্কারে আপনি জেনেছেন পোস্ট-ইট-নোট আবিষ্কারের গল্প যা আবিষ্কৃত হয়েছিল থ্রি-এমের গবেষনাগারে। থ্রিএম বা মিনেসোটা মাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানির আরেক যুগান্তকারী আবিষ্কারের নাম হলো স্কচগার্ড। এটি একটি ব্রান্ড পণ্য যদিও আমাদের দেশে এর প্রচলন নেই খুব একটা। সুরক্ষার আরেক নাম হলো স্কচগার্ড। ১৯৫৩ সালের শেষ দিকের কথা।

প্যাটসি শারমান এমন এক ধরণের রবার তৈরীর চেষ্টা করছিলেন যা এয়ারক্রাফট ফুয়েলের সংষ্পর্শে এলে যার করূণ দশা হবেনা। মহিলার একজন অ্যাসিস্টেন্ট এক্সপেরিমেন্টাল যৌগকে অ্যাক্সিডেন্টালি উল্টিয়ে ফেলে দিলো। কথায় বলে, পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে। জিনিষটা পড়লো প্যাটসির নতুন টেনিস শ্যুয়ের মধ্যে। তিনি মোটেও প্রীত হলেন না যখন দেখলেন সেটাকে ছাড়ানো যাচ্ছেনা।

এমনকি সাবান ও অ্যালকোহল ব্যবহার করলেন, তাতেও ফল হলোনা। ব্যাপারটা এই পর্যায়ে শেরমানকে অনুপ্রাণিত করলো। তিনি ওই যৌগের তরল অবস্থার ক্ষতিকারক অবস্থার উন্নতি ঘটানোর কাজে লেগে পড়লেন। এর ঠিক তিন বছরের মাথায় বিশ্বের সকল জুতোয় ভেলভেটের আস্তরন দিতে স্কচগার্ড বাজার কাপিয়ে দিলো। কেবল লেদার প্রোডাক্টের সুরক্ষা দিতেই নয় বরং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে, যেকোন বস্তুর উপরিভাগকে পানি বা ফাংগাসের হাত থেকে রক্ষা করতে কিংবা দাগ ওঠাতে স্কচগার্ড অনন্য।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।