আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাজের খোজে-৬ (২য়)



আজকের দিন ব্যাস্ততার মধ্যে গেছে। নতুন জবে ঢুকলাম। সিটি থেকে অনেক দূর। ভাবলাম এতদূর পথে মানে প্রায় ৪৫মি. ট্রেনে যেতেহ হবে যেহেতু, সেহেতু গান শুনে শুনে যাওয়া মন্ধ হয় না। ট্রেন থেকে কাঙ্কিত লোকেশনে চলে আসলাম।

সোজা গেটে ঢুকে পড়লাম। প্রথমেই বসের সাথে দেখা। চিনতে সমস্যা হয় নি যে উনিই বস্। আমাকে দেখেই নাম ধরে ডাকল। আর স্বাগতম জানাল।

এবং সবার সাথে পরিচয় করে দিল। সবাই মহিলা। চারজন। তারপর একজন গাইড দিল পুরো রেস্টুরেন্ট চেনার জন্য। নীচে এবং দোতালা সব চিনে আসলাম।

আর শুরু করে দিলাম। অনেক খাটুনি। চলছে তো চলেছ অবিরাম। অনেকক্ষন পর ব্রেক কষল সবার। মানে কিছু সময়ের বিরতি।

এই ফাকে কিছু নাস্তা ছেড়ে নিলাম। অবশ্য আমার কিছুই করতে হয়নি। তারাই সব মানে নিয়ে আসল আমার জন্য। তৎমুহুর্তে ওখানকার ওয়েটার ভিন দেশী লেডিস তার সাথে খোশ গ্লপ মেতে উঠলাম। দেখলাম সে আমার প্রতি বেশ মনোযোগ দিচ্ছে।

আমিও হাতচাড়া করলাম না। এমনই সময় আমার ফোন বেজে উঠল। বিচ্ছেদ হয়ে গেলাম তার সাথে। তারপর পারি দিলাম নিজের গন্তব্য স্থলে। তখন সিডনী রাত ৩:১৫।

এত দূরের পথ জানিনা ট্রেন পাব না বাস পাব। হাটা দিলাম ভরসা করে। স্টেশনে পৌছলাম। দেখি কিছুই নাই। নো ট্রেন নো বাস।

দুই তিনটা ট্রক্সি দাড়িয়ে আছে অদূরে। ভড়া কমপক্ষে ৬০$ হবে। কি আর করার। এদিকে হার কাপুনি শীত। ভাবছিলাম রাতটা না হয় খোলা আকাশের নীচে কেটে দেই।

কিন্তু বাধ সাধল শীতের। প্রচন্ত শীত। সহ্য করতে পারছিলাম না। খালি পায়াচারি করছিলাম। বাস পাব, নাকি ট্রেন পাব, নাকি শীতের প্রবাহ থেকে কোথাও আশ্রয় নিব।

শেষ পর্যন্ত পেয়েও গেলাম। একটা শপ্ খোলা দেখতে পেলাম। ভিতেরে ঢুকে জেনে নিলাম টাইম সিডিউল ট্রেন ও বাসের। যাতে সামনে আসলে আবার যেন সমস্যা না পোহাতে হয়। এই ফাকে দোকানের স্যালস্ ম্যানের সাথে আড্ডা জমিয়ে দিলাম।

দেখলাম দোকানের ভিতের গরম বাতাস বইছে মানে ইয়ারক্যান্ডিশনের মাধ্যমে। দোকানওয়ালারও বুঝতে দেরী হয় না। আমি আমার কিচ্ছা বল্লাম। সে শুধু হা হা বলে চল্ল মাঝে মধ্যে কিছু জিজ্ঞাসা করছে। ভারতীয় ছেলে গুজরাটের।

একসময় ট্রেনে উঠে পড়লাম। এবারও আগের মতো গান শুনতে শুনতে আসলাম। অবশ্য পুরো চেহারাটা টুপি দিয়ে ডেকে রাখলাম। নিশ্ছিদ্র নিরিবিল গান শুনার জন্য। গানটাও আমার বেশ প্রিয় ছিল।

ফেরদৌস উয়াহিদের গান আমি এক পাহারাদার.... একসময় বাসায় এসে পৌছলাম। এসেই হাত মুখ ধোয়ে ব্লগে লেখতে বসলাম। তখন ঘড়ির কাটা ৬:৪৫ মি.। গুড বাই সবাইকে......


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.