আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দুইডা মানিকরে কেমনে শোয়ায় দিমু

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই পৃথিবীতে সবয়ে ভারী বস্তু হলো পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এরচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক আর কিছু নেই। বাহরাইনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড প্রাণ কেড়ে নিয়েছে চাঁদপুরের দুই সহোদর শাহাদাত ও টিটু আহমেদের। মঙ্গলবার বিমানবন্দরে দুই পুত্রের কফিনে মোড়া লাশ নিতে এসে বুক চাপড়ে শাহ্ আলম বারবার বলছিলেন, “আমার দুইডা মানিকরে কেমনে শোয়ায় দিমু। ” চাঁদপুরের কচুয়া থানার নাওপুরা গ্রামে বাস করতেন শাহ আলম।

কুষিকাজই ছিল তার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায়। সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য তার বড় ছেলে শাহাদাত হোসেনকে প্রায় সাত বছর আগে বাহরাইনে পাঠান। এরপর বেশ ভালই চলছিল তার সংসার। এরপর ছয় মাস আগে তার দ্বিতীয় পুত্র টিটু আহমেদকেও বাহরাইনে পাঠান শাহ আলম। এরপরই ঘটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা।

প্রাণ হারায় তার দুই আদরের ধন। শাহ আলম পরিবর্তন ডটকমের প্রতিবেদক যাকারিয়া ইবনে ইউসুফকে জানান, “বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর পর তেমন টাকা পাঠাতে পারেনি। এরপর আমার আরেক ছেলে টিটু আহমেদকে বড় ভাইয়ের কাছে পাঠাই। কিন্তু আমার বুকের মানিকেরা যে লাশ হয়ে ফিরবে এটা ভাবতেও পারি নাই। ” তিনি বলেন, “মনে কতো আশাছিল পোলা আমার টাকা পয়সা কামায়া দেশে ফিরবো।

সুন্দর লাল টুকটুকে দুইডা বউ আনুম। আর অভাব অনটন থাকবো না। ঘরবাড়ি হইবো, সুখের সংসার হইবো। ” ছেলেদের বিদেশ পাঠানোর টাকা জোগার প্রসঙ্গে তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, “ছোট ছেলেকে পাঠানোর সময় প্রায় ৭ লাখ টাকা সুদের ওপর কর্জ নিয়ে পাঠাই। এখন আমি কেমনে এতো টাকা শোধ করমু।

আমার আরো তিনটা ছোট-ছোট পোলা আছে। ” পুত্রের কফিন দেখে বৃদ্ধ পিতা যেন শোকে পাথর হয়ে পরেন। দুই ছেলের ছবি বুকে নিয়ে চোখ বেয়ে নেমে আসে কষ্টের লোনাজল। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.