আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়!! বাতাসে কিসের জানি গন্ধ ভাসে!?

কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...

আমাগো দেশে আর রাজনীতি দরকার আছে কি নাই সেইটা আসলে বড় বিতর্ক না, রাজনৈতিক শক্তিরে যে এখনো লাঠিয়াল বাহিনী ডরায় সেইটা ধীরে ধীরে প্রমাণিত হইতেছে। শেখ হাসিনা কিম্বা খালেদা জিয়া দুইজনেই এই দেশের আর্থ-সামাজিক বিনিময়-বন্টনের ব্যবস্থারে ধ্বংস কইরা দিছে দেশের নিয়ন্ত্রক ব্যবসায়িগো টাকা বাড়ানের কৌশলরে জায়েজ করনের লেইগা, দুর্নীতির দ্বার খুইলা দিয়া তারা সুযোগ পাইছে নিজেগো জীবনের মান বাড়ানের, এক্কেরে বাঙালীর বেসিক চিন্তা...সন্তান-সন্ততি যাতে দুধে-ভাতে থাকে তার নিশ্চয়তায় তারা ক্ষমতায় আরোহনের মালমসলা মজুত করছে, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াইছে, সব ঠিক! কিন্তু এর সাথে তারা একটা সমর্থক বেইজও তৈরী করছে...আমরা মুখে ফ্যানা তুলি...শার্টের বোতাম খুইলা বুক পাইতা দেই বন্দুকের নলের সামনে...ভালোবাসার চরম প্রকাশ দেখাই দুই নেত্রীর সম্মান বাচাইতে। মধ্যবিত্তের এই প্রকাশে ব্যক্তি নিজে থাকে অনেক...যেই কারনে তার ভালোলাগাও থাকে, নেতা-নেত্রী বিহীন লাইফ সহজ হওনের কথা আরো! কিন্তু মধ্যবিত্ত আমাগো রাষ্ট্রে এখনো সংখ্যালঘু...এখনো সংখ্যা তাত্বিক দিক দিয়া গরীবেরাই বেশি... সেনাবাহিনী যেহেতু ক্ষমতার পূর্ণ দখল নিতে চায়...নিয়ন্ত্রণ করতে চায় দেশের বড় অংশরেও, তাই তারা ইমেজ কেন্দ্রীক গরিবী ধারণারে ভাঙতে চায় আগে। শেখ হাসিনা কিম্বা খালেদা জিয়ার বিচার কইরা গরীব খেপাইয়া আসলে তারা থাকতে পারবোনা এইটা তারা অতীত অভিজ্ঞতা থেইকা বুঝে পুরাপুরি। আর তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলির মাজা ভাইঙ্গা দেওনের খেলাতে তারা নামছে। আপাতঃ দৃষ্টিতে এইটা অনেক কার্যকরী খেলা, কিন্তু অনেক ক্লীশেও! এমনকি আমিও এইরম ভাবছিলাম শুরুতেই...তয় এইবার তাগো ফর্মটা মনে হইতাছে একটু ডিফারেন্ট...তারা চাইতেছে কারো কান্ধে বন্দুক রাইখা দেশ চালাইতে...নাইলে মিশনের টাকায় টান পরবো! সাথে তারা পাইছে ধান্দাবাজ মধ্যবিত্ত হাই প্রোফাইলগো... অবাক হওনের কিছুই নাই এই খেলাতে...তয় আমি একটা ভবিষ্যৎ দেখতাছি...এই দেশে এইবার সুযোগ আইছে সঠিক একটা শক্তির রুইখা দাঁড়ানের। মনে হয় তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়!! বাতাসে কিসের জানি গন্ধ ভাসে!?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।