আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্ক টোয়েন (পর্ব ৩৬)

timursblog@yahoo.com

এলমিরাতেই মার্ক টোয়েন তাঁর অষ্টভুজ আকৃতির স্টাডিতে তাঁর একটা গল্প লিখলেন 'এ ডগস টেল । ' ঊনত্রিশ বছর আগে টম সয়্যার লিখেছিলেন তিনি এ ঘরে । এ ঘরে এটাই হবে তাঁর শেষ গল্প । মার্ক টোয়েন বুঝতে পারছিলেন, এবার ইউরোপে গেলে হয়তো পুরো জীবনের জন্যই যেতে হবে । অক্টোবরের শুরুতে ডায়েরিতে লিখলেন, 'আজ সুজির কবরে ফুল দিলাম, সম্ভবত শেষবারের মতো ।

' অক্টোবরের ২৪ তারিখে জাহাজে উঠলেন । নেপলস আর জেনোয়া হয়ে ফ্লোরেন্সের কাছে ভিলা রিয়ালে দে কোয়ার্তো তে উঠলেন তাঁরা । বাড়িটা দেখতে খুব বিষন্ন দেখতে ছিল, পুরনো বিবর্ণ দেয়াল, জঙ্গল হয়ে ওঠা সাইপ্রেস, আঙ্গুরের বাগান । আবহাওয়াও ছিল বৃষ্টিভেজা মনখারাপ করা । পরের বছর মে মাসের দিকে আরেকটু আলো হাওয়া আসে এমন বাড়ি দেখতে বের হলেন ।

জুনের পাঁচ তারিখে জিনকে নিয়ে একটা বাড়ি পছন্দ করে ফেললেন । বাড়িটা ভারী সুন্দর, বাড়িতে ফিরে এই ভাল খবরটা দিলেন লিভিকে । লিভির শরীর কয়েকদিনে বেশ উন্নতি হয়েছিল । রোদ পোহানোর জন্য মাঝে মাঝ টেরেসে বসতেন তিনি । ডিনারের পর অনকখন গল্প করলেন তাঁরা ।

তারপরে মার্ক টোয়েন পিয়ানোতে বসলেন । মার্ক টোয়েন কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে শেখা আধ্যাত্ব সংগীত 'সুইং লো সুইট চ্যারিয়ট' বাজাচ্ছিলেন । অন্য ঘর থেকে লিভি সেটা শুনতে পেয়ে পরিচারিকা ক্যাটি লিয়ারিকে বললেন 'তিনি আমাকে বিদায় সংগীত শোনাচ্ছেন । ' বাজনা শেষ হলো, লিভি নিজেকে তুলে ধরতে ডাকলেন লিয়ারিকে । ।

পিয়ানো থেকে উঠে লিভির ঘরের সামনে জটলা দেখে ঘরে ঢুকলেন মার্ক টোয়েন । লিভি মারা গেছেন । "At a quarter-past nine this evening she that was the life of my life passed to the relief and the peace of death, after twenty-two months of unjust and unearned suffering. I first saw her thirty-seven years ago, and now I have looked upon her face for the last time....I was full of remorse for things done and said in these thirty-four years of married life that have hurt Livy's heart." মার্ক টোয়েনের আর ইউরোপে থাকা হলো না । লিভির কফিন নিয়ে আবার এলমিরাতে ফিরে এলেন তিনি । ছোট্ট ল্যাংডন আর সুজির পাশে কবর দেয়া হলো তাঁকে ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।