আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গঙ্গার গল্প বলি আজ

সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! রাজা সমরের ষাট হাজার পুত্র। সফল রাজা একদিন ভাবলেন অশ্বযজ্ঞ করবেন। এ যজ্ঞ হলে দেবতারা বিপদে পড়ে যাবেন। দেবরাজ ইন্দ্র রাতের আঁধারে অশ্ব চুরি করে পাতালের মুনির ঘরে রাখলেন। মুনি কিছু জানলোই না।

এদিকে সকালে উঠে রাজা দেখলেন অশ্ব ই নাই। পুত্রদের সেই অশ্বই খুঁজে আনতে বললেন। সারা পৃথিবীতে খুঁজে না পেয়ে পুত্ররা পাতাল খুঁড়তে শুরু করে। পাতালে মুনির ঘরে অশ্ব দেখে মুনিকে চোর বলে যাতা অপমান করলো আর মুনিও দিলো অভিশাপ। ষাট হাজার পুত্র মরে পড়ে রইলো।

জানা গেলো পুত্ররা অভিশাপ মুক্ত হবে যদি দেবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে নেমে এসে পুত্রদের ভেজাতে পাতালে আসতে রাজি হয়। গঙ্গা দেবী ভীষন অহংকারী। রাজা সমর ত্রিশ হাজার বছর তপস্যা করেও গঙ্গা কে ধরায় আনতে পারলেন না। তাঁর মৃত্যুর পর তার সন্তান তপস্যা করে সেও পারেন আনতে। সন্তানের প্রপৌত্র ভগীরথ তার আবার নিচের অর্ধেক শরীর বিকলাঙ্গ।

সে তপস্যা করতে করতে ব্রক্ষ্মাকে খুশি করে ফেলে বর চায় দেবী গঙ্গাকে। ব্রক্ষ্মা উপায় বলে দেয় আগে মহাদেবকে খুশি করতে হবে। তপস্যায় তাকেও সন্তুষ্ট করে ভগীরথ। এদিকে অহংকারী গঙ্গা বলে আমি নামবো তবে মহাদেবকে ভাসিয়ে দিবো স্রোতে। মহাদেব মুচকি হাসে আর বলে তবু তুমি নামো।

কৈলাসের চূড়ায় বসে থাকে মহাদেব। দেবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে নামে আর মহাদেবকে ভাসাতে গেলে নিজেই মহাদেবের মাথার জটায় আটকে যায়। মহাদেব ধীরে ধীরে জটা খুললে সাত ভাগ হয়ে গঙ্গা ধরায় ছড়িয়ে যায়। আর এক ভাগ যায় ভগীরথের পিছু পিছু। গঙ্গা নিয়ে আরেকটি গল্প বলি।

জাহ্নমুনিকে গঙ্গা বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হলে রাগে গঙ্গা সমস্ত মুনিদের ভাসিয়ে নেয়। মুনিও প্রতিশোধ নিতে গঙ্গার সব জল খেয়ে ফেলে। চারদিকে পানি নিয়ে হাহাকার। দেবতারা জাহ্নমুনিকে অনেক কষ্টে তুষ্ট করে গঙ্গাকে মুক্তি দিতে বলে। জাহ্ন তখন গঙ্গাকে বের করেন কানের ভেতর দিয়ে।

একারনে গঙ্গাকে জাহ্নের কন্যা বলে অনেকেই। আর গঙ্গার আরেক নাম তাই জাহ্নবী! বলে রাখা ভালো যে কৈলাস থেকে স্বর্গ হতে মর্ত্যে গঙ্গা নামলো সে কৈলাস কিন্তু আমাদের এভারেস্ট ! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।