আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমানের বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ 'দিস ইজ নট দ্য ফাইনাল, সামনে আরো দিন আছে' সাকা (ক্লোজআপহাসি) দেশ ছাড়ছেন জমিরউদ্দিন

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

ধরাপড়ার আশঙ্কায় পিতার মাজারে গিয়ে ফাতেহা পাঠও করতে না পারার বেদনা তাড়া করে ফিরছে তাকে। তিনি তারেক রহমান। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র। ঘটনাটি গত 19 জানুয়ারি জিয়ার জন্মবার্ষিকীর দিনের।

আসলে তার আগে থেকেই যৌথবাহিনীর নাগালের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। কার্যত তারেক রহমানের ক্যান্টনমেন্টের শহীদ মইনুল সড়কের বাড়িটির চারপাশে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে তাকে। গত বেশ কিছুদিন যাবৎ তারেক রহমানকে যৌথবাহিনী হন্যে হয়ে খুঁজলেও গতকাল সোমবার ভোর থেকে তারেক বাসায় অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়ার পর ওই বাসার ওপর কঠোরভাবে নজরদারি আরোপ করা হয়। ওই সড়কে যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রিত করা হয়।

সরকারের ওপর মহলের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তারেককে গ্রেপ্তার করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে একথা জানা যায়। সূত্র জানায়, যৌথবাহিনীর তাড়া খেয়ে গত কয়েকদিন ঘরে না থাকা তারেক রহমান শেষ পর্যনত্দ ঘরে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে এক রকম আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন এক সময়ের প্রচণ্ড প্রভাবশালী তারেক রহমান। মা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ ছিল না।

স্ত্রী জোবায়দা রহমানও জানতেন না তার স্বামী কোথায় আছেন, কি অবস্থায় আছেন। ক্ষমতায় থাকার 5 বছরে যারা তারেকের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তারাও আর কোনো সাহায্য করতে রাজি ছিলেন না। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যৌথবাহিনীর অভিযান শুর" হওয়ার পরেও তারেক রহমান নিয়মিত হাওয়া ভবনে এসে অফিস করেছেন। যায়যায়দিন পত্রিকা অফিসে গিয়েও বসেছেন দলের লোকজনকে সাথে নিয়ে। কিন' তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার খবরে ভীত হয়ে পড়েন তিনি।

নিজের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করেন। 25 জানুয়ারির পর থেকে হঠাৎ করেই ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে লাপাত্তা হয়ে যান তারেক রহমান। যৌথবাহিনীর ভয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন সত্দরের নেতাদের কাছে তিনি আশ্রয় চান। কিন' কেউই তাকে এখন আর আশ্রয় দিতে রাজি হচ্ছেন না।

সপ্তাহখানেক আগে তারেক বিএনপির এক নেতার কাছে গিয়ে আশ্রয় চান। কিন' ঐ নেতা নিজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশ্রয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারেক তার কাছে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য 3 ঘণ্টা সময় চান। ঐ নেতা তাতেও রাজি না হওয়ায় তারেক ফিরে যান। 4 দিন আগে সন্ধ্যার দিকে তারেক রহমান যান যায়যায়দিন অফিসে।

কিন' সেখান থেকে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। ফলে 20 মিনিট অবস্থান করার পর তারেক বেরিয়ে যান। সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তার হতে পারে, মায়ের এই সতর্কবাণীর পরেই গা-ঢাকা দেন তারেক রহমান। এরপর থেকে তার মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের কারো সঙ্গেই তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানও জানতেন না তার স্বামী কোথায় আছেন।

তিনি বেশ কয়েকবার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি ঢাকাতেই আত্মগোপন করে ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে। গতকাল হঠাৎ করে তিনি তার আত্মগোপন অবস্থা থেকে বাসায় এসে হাজির হন। এরপরই তার বাসায় গোয়েন্দা নজরদারি শুর" হয়। তারেকের মতোই গা-ঢাকা দিয়েছেন তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো।

প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে গা-ঢাকা দেন আরাফাত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.