আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়ার চিন্তা ইইউর

বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশের উন্নয়নে উত্সাহ জোগাতে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সাভারে ভবনধসের ঘটনায় তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীসহ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় তারা এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, এই ‘যথাযথ ব্যবস্থা’র আওতায় ইইউর বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা-সুবিধার বিষয়ও বিবেচনা করা হবে। সাভারে রানা প্লাজা ভবনধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৩৮২ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর ইইউ এমন কথা জানাল।


ইইউ বলছে, তারা বাংলাদেশের শ্রম-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংস্থাটি মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির বিদেশি নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন ও বাণিজ্য কমিশনার ক্যারেল ডি গুচ বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জিপিএস বিষয়সহ ইইউ বর্তমানে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা ভাবছে।
এই ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় বিশ্বের নামীদামি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি পোশাক সরবরাহ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী এক ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কানাডা ইতিমধ্যে পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন ধরনের বাণিজ্য নির্দেশনা চালুর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।


বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পোশাকের নামী ব্র্যান্ড প্রিমার্ক এই বিপর্যয়ের পর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য খাদ্যসহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ওই ভবনের মালিক মোহাম্মদ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর ও ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার মালিকের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অবৈধ নির্মাণ, জোর করে কর্মীদের ফাটল ধরা ভবনে কাজে পাঠানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ছাড়া ভবনের নকশা অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত দুই প্রকৌশলীকেও আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন বলছে, এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ। গত বুধবার ওই ভবনধসের ঘটনার পর থেকে শতাধিক পরিবার এখনো তাঁদের প্রিয়জনের পরিণতি জানার অপেক্ষায় ধ্বংসস্তূপের আশপাশে অধীর হয়ে অপেক্ষা করছেন।
বিশ্বের অন্যতম বড় তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানার অবস্থান বাংলাদেশে। এই খাত থেকে দেশের বার্ষিক রপ্তানির ৮০ শতাংশেরও বেশি অর্জিত হয়।

তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে অন্তত ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে।
তবে কম মজুরি, শ্রমিকদের সীমিত অধিকার ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশ নিয়ে সমালোচনা আছেই। গত বছরের নভেম্বরেও সাভারের আশুলিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১১০ জনের মৃত্যু হয়। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.