আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হালিম খেয়ে অবসহা টাইট

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

গত আড়াই দিন অফিস কামাই করেছি। অফিস ফাকি দেওয়ার মাঝে ও কি পরিমান আনন্দ তা বলে বুঝানো যাবে না। আমার বস বেশ ভাল লোক। ছুটি চাইলেই পাওয়া যায়।

(ক্লোজআপহাসি) বন্ধু মিউনিখ থেকে বেড়াতে এসেছে। ব্যস, একটা বাহানা তৈরী করে বসকে দেড় দিনের ছুটি ম্যানেজ করেছিলাম। আরো কয়েকজন মিলে অর্ধেক রাত আড্ডা । আড্ডার ফাকে ফাকে রান্নার আয়োজন। কঠিন ঝাল দিয়ে আলুভর্তা আর মাছ রাতে খাবার।

ভর্তায় এতো ঝাল হয়েছি যে, পরের দিন (ausgang )টের পেলাম। দুস্তের ফ্রাংফুটে একটা কাজ ছিল। সারা দিনের টিকেট মুল্য প্রায় 13 ইউরো। দুপুরের খাবার আমাদের বাসায়। মায়ের হাতের খাবার একগাদা খেয়ে আবার ডার্মষ্টার্ড।

টিকেটের মেয়াদ রাত 12 টা পর্যন্ত ছিল। অথচ আমরা বিকেলেই ফিরে এসেছিলাম। এখন টিকেট বিক্রি করতে পারলে কিছু লাভ হবে (পুর্ব অভিক্ষতা)। এক মক্কেলকে পেয়ে 10 ইউরো বিক্রিকরেছি। নরমালি টিকেট ফেলে দিতে হতো।

এখন 10 ইউরো দিয়ে 4টা ডুনার কাবাব পাওয়া যায়। দোস্ত বেশ কতোক্ষন চাপাচাপি করলো খাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার অবসহা বেশ খারাপ। ডায়েটে আছি, তাই কষ্ট করে লোভ সামলেছি। আগের দিন হালিম খাওয়ার প্রস্তাব ছিল।

যাওয়ার সময় হালিম তৈরীর সব উপকরন বাঙালি দোকান থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। রাতে হালিম মাস্টার হায়দার 1 কিলো মাংস দিয়ে প্রায় 2 হাড়ি (মাঝারি আকারের) হালিম রান্না করেছে। আমরা পেয়াজ, মরিছ, রসুন, আদা সহ যা যা দরকার ছিল সাপ্লাই দিয়েছি। রান্না শেষ হতে রাত প্রায় 10টা, সবাই এতো পরিমান খেয়েছি যে জায়গা থেকে নড়তে ও কষ্ট হচ্ছিল। কোন মতে 12 টার সময় নামাজ পড়ে আরো কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে ঘুম।

শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছিলাম কালকে অফিসে যাবো নাকি? ঘুম থেকে উঠেই ফাইনাল । অফিস কামাই দিবো। ব্যস, বসকে একটা মেইল দিলাম "প্রচন্ড পেট ব্যথা"। বস ও রিপ্লেই দিলো " তোমাকে আসতে হবে না। সোমবার দেখা হবে"।

আবার ঘুম। একটু পর মায়ের ফোন । " তুই আজকে অফিস যাসনি?" । মা যে কিভাবে বুঝতে পারছে। এদিকে হালিম খেয়ে পেটের অবসহা আসলেই খারাপ।

কয়েকবার ঘরে বাইরে অনুষ্টানের পর এখন অবসহা ভাল। কাল আবার একটা পার্টি। পরশু ও একটা। (আম্মাআআ)। আমার যে অবসহা বাসা থেকে পলাতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.