আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানব সভ্যতার বিবর্তন এবং স্রষ্টা [ প্রাপ্তমনস্কদের জন্য]-2

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

আমার প্রথম পোস্টে আমরা কথা বলেছিলাম ইনফিনিট পসিবিলিটি, র্যানডমাইজেশন এবং এর সাথে মানুষের ফ্রিডম অফ উইল নিয়ে। এর সাথে এক জন ক্যাওস থিওরী এবং কনসেকোয়েন্স অফ মেনি ফাংশন্স থিওরীর কথাও বলেছেন। সুমনদার অসাধারন লিংক পাবেন ঐ পোস্টে আর উনার দারুন লেখা গুলো উনার নিজের পোস্টে, ঈশ্বর ভাবনায়। দীক্ষক দ্্রাবিড়ের লেখার প্রশংসা করতেই হয়, যদিও তার সব লেখা পড়ার সময় পাই নি। শিখছি, নিরন্তর শিক্ষা চলছে।

মন্তব্যকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা !!! যখন নিয়ন্ত্রিত বস্তু জগতকে আমরা লক্ষ্য করি, তখনই আমাদের মাথায় আসে - কেউ তাহলে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সম্পূর্ণ বস্তু জগতের নিয়ন্তা থেকে ই হয়ত একক স্রষ্টা বা সত্ত্বা যিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী - এই ধারনার উৎপত্তি। মানবের প্রাপ্ত ইতিহাসে পাওয়া যায়, আমরা সব সময়ই খুঁজে বেড়িয়েছি, এই সত্ত্বা টা কে? তবে, এটা কে স্রষ্টা র খোঁজ না বলে আত্ম অন্বেষণ বলতে বেশি পছন্দ করি। কারন , মানুষের বোধ প্রাপ্তির পর পরই প্রথম যে প্রশ্ন সে নিজেকে করে, তা হলো, আমি কে? আমি কোথায়? আমি এখানে কি করে এলাম? এবং, সবচেয়ে জটিল, কেন এলাম? এরপর কোথায় যাব, এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অসীম ক্ষমতার মালিককে খুঁজতে গিয়ে আমরা পেয়েছি কখনো সূর্য, কখনো পাহাড়, কখনো সাপ - কখনো সমষ্টি!! অবশেষে একক স্রষ্টার ধারনা সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করলো যখন প্রকৃতি হাতের মুঠোয় আসা শুরু হলো।

এই দুটো বিষয় পাশাপাশি রাখলে যুক্তিবাদীদের যা চোখে পড়ে তা হলো, যতদিন সাগর ছিলো মানব নিয়ন্ত্রনের বাইরে , ততদিন সাগরের স্রষ্টা রুপ। আবার যতদিন সূর্য ছিলো বোধের বাইরে , ততদিন সূর্য এর স্রষ্টা রুপ। তাহলে কি মানুষ যেদিন মহাশূন্যকে সম্পূর্ণ বুঝবে বা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে, মানুষের মনে স্রষ্টার নতুন কোন রুপ জন্ম নেবে? আমি কোথা থেকে ,কেমন করে এলাম, এই জিজ্ঞাসা চিরকালীন। তবে মানব সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে এবং বিজ্ঞানের উত্তরনের সাথে সাথে স্রষ্টার রুপ ও প্রকৃতির পরিবর্তন দেখে যুক্তিবাদীদের ধারনা হয়, " স্রষ্টা কি তাহলে মানুষের সৃষ্ট কোন সত্ত্বা"? [ আগামী পর্বের আগে অনুরোধ, ম্যাট্রিক্স এবং স্টার ট্রেক ছবি দুটি দেখুন। আর ডাইকোটমি ও সমাজ বিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রনে স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভাবতে থাকুন!]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।