আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের হাতে শুধু রক্ত আর রক্ত: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বতর্মান সরকারের দুঃশাসনে মানুষ অতিষ্ঠ। এই সরকারের হাতে শুধু রক্ত আর রক্ত। আজ সোমবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দলের নেতা বলেন, দেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে সরকার ক্ষমতায় বসেছে। তাঁরা নতুনদের ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নয়। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। দেশ ও জনগণের শত্রু। খালেদা জিয়া বলেন,  কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করে সরকার জনগণের টাকা পকেটে ভরেছে। ব্যাংকের টাকা নিয়ে গেছে।

ব্যাংকগুলো খেলাপী ঋণের জালে আটকে আছে। তিনি বলেন, এই সরকার কথায় কথায় আইন করে।
সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, সাংবাদিকদের  নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। সাগর-রুনির কাছে সরকারের দুর্নীতির গোপন তথ্য ছিল। তাঁরা তা প্রচার করতে চেয়েছিল।

সেকারণেই তাঁদেরকে হত্যা করা হয়েছে।   তাঁদের বাড়ি থেকে কিছুই চুরি হয়নি। শুধু ল্যাপটপ আর সিডি চুরি হলো। কারণ তার মধ্যেই ছিল গোপন তথ্য। তিনি বলেন, সরকারের হাতে শুধু রক্ত আর রক্ত।


পিলখানার বিদ্রোহীদের সরকার প্রশ্রয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, হেফাজতের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে তাঁরা গুলি চালিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ওইদিন যদি অবস্থানকারীদের বের করেই দেওয়া হয় তাহলে মাইকিং কেন করলেন না? রাস্তার আলো নেভালেন কেন? কেন ইসলামিক টিভি বন্ধ করলেন?’
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির নেতা বলেন, সীমান্তে ফেলানীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তারপরেও খুনিরা খালাস পেয়ে গেল। সীমান্তে পাখির মতো মানুষ হত্যার বিচার হয় না।


খালেদা বলেন, নৌকার তলা ফুটো হয়ে গেছে। ডুবন্ত নৌকায় কেউ উঠবে না।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারের বয়স আর মাত্র তিন মাস। আপনারা  সরকারের অন্যায় আদেশ মানবেন না। দেশের কল্যাণে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।

’ তিনি বলেন, ‘সরকারকে  ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে, নিতেই হবে, নিতেই হবে। ’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো তাঁদের। এই দাবিতে তখন বহু মানুষ হত্যা করেছিলেন। লগিবৈঠার আন্দোলন করেছিলেন। আজ দেশের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।

৯০ ভাগ মানুষ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় তখন কেন দেবেন না? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবে তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করুন। ’ তিনি বলেন, কোনোভাবেই হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.