আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চ্যানেল ফোরে শরিয়া টিভি ও ব্রিটেনে নতুন মুসলিম প্রজন্ম

যা বুঝি, যা দেখি, যা শুনি এবং যা বলতে চাই

মা-বাবারা ছিলো ধর্মপ্রাণ মুসলিম। অর্থনৈতিক কারণে তারা তাদের ধর্মের ও সংস্কৃতির দেশ ছেড়ে এসেছে ব্রিটেনে। নির্বিঘ্নে পালন করেছে তাদের ধর্ম ও যাপন করেছে তাদের স্বপ্নের জীবন। যে স্বচ্ছল ও দারিদ্রতামুক্ত জীবন ছিল তাদের স্বপ্ন। যার আশায় তারা ছেড়ে এসেছিল দরিদ্রঅথচ প্রিয় জন্মভূমি।

ব্রিটেন থেকে তারা যা চেয়েছিল তার চেয়ে তারা বেশি পেয়েছে বলেই মনে করে। তাদের ছেলেমেয়েরা জন্মেছে এই দেশে ব্রিটিশ হয়েই। কিন্তু ধর্ম-কর্মে তারা মা-বাবার চেয়ে অনেক গোঁড়া। তাদের ধারণা মা-বাবা ধর্মের আসল রূপের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। এইসব ছেলেমেয়েরা নিজেদেরকে ব্রিটিশ হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় না।

তাদের কাছে মৌলিক পরিচয় তাদের ধর্মসূত্র। তারা মুসলিম। একটি কসমোপলিটন দেশে যেখানে বিশ্বের তাবৎ দেশের আর ধর্মের মানুষ একটি রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন মেনে চলে সেখানে এদের এই ধর্মীয় বিশ্বাসের গোঁড়ামি উদ্বিগ্ন করে তুলছে অন্য নাগরিকদের। সবচে' উদ্বিগ্নতার বিষয় ব্রিটেনে জন্ম নেয়া এই তরুণ প্রজন্ম ব্রিটেনের/পাশ্চাত্যের/সভ্য পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞানের স অনেক নিয়ম-কানুনের বিষয়েই আপত্তি তুলছে। কারণ এইসব নিয়ম মানুষের তৈরি।

এবং তারা মনে করে এইসব নিয়মের সাথে ইসলামে যে আল্লাহর আইনের কথা বলা হয়েছে তার বিরোধ রয়েছে। তারা মনে করে এইসব নিয়ম-কানুন যদি চলতে থাকে তবে আল্লাহর আইনকে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। সুতরাং যেকোনো সহিংস প্রতিবাদ করতে তাদের আটকায় না। নিজের শরীরে বোমা বেঁধে আত্মঘাতীও হচ্ছে তারা। তাদের ধারণা এই 'কিতাল' ও 'জেহাদ' মানুষের তৈরি আইন ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবে আর আল্লাহর আইনকে কায়েম করবে পৃথিবীজুড়ে।

ধর্মবিশ্বাসের কারণে তারা গণতন্ত্র মানে না। ফতোয়া দেয়, নির্বাচনে ভোট দেয়া হারাম। তারা মনে করে তাদের ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ, সুতরাং বাকীদের অবশ্যই এই ধর্মের ছায়ায় আসা উচিত। ব্রিটেনের সমাজ এখন এই তরুণ মুসলিমদের আশা-আকাঙ্খা-হতাশাকে বুঝার চেষ্টা করছে। এরকম একটি উদ্যোগের ফলে চ্যানেল ফোরে মাঝরাতে পরিবেশিত হয় শরিয়া টিভি।

ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়গুলো আলোচনা হয় এই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত থাকেন ইসলাম বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে নানা ধর্মেরও চিনত্দার মানুষ। অনেক কৌতুহলোদ্দীপক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয় আর ইসলামের আলোকে তাতে মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা: * পাশ্চাত্যদেশে থেকে কি ইসলাম পালন সম্ভব? *কেন মুসলিম পুরুষরা অন্য কেতাবি ধর্মের নারী বিয়ে করতে পারে কিন্তু মুসলিম নারীরা অন্য কেতাবি ধর্মের পুরুষদের বিয়ে করতে পারে না? *নিউক্লিয়ার অস্ত্র কি ইসলামসম্মত? এসব বিষয়ে আলোচনাগুলো আপনারা পাবেন চ্যানেল ফোরের শরিয়া টিভিতে। হাতে সময় থাকলে ঢুঁ মারেন। http://www.channel4.com/shariatv ছবি: ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেক প্রদেশে মসজিদের সামনে শরিয়া আইন অনুযায়ী বেত্রাঘাত ।

সাল: 2006। সূত্র: এপি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.